দাম কমেনি কিছুরই। বরং সপ্তাহান্তে বাড়তি দামের তালিকায় যোগ হয়েছে কয়েক পদের সবজি ও রসুন। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচ, আদা, আলু ও চিনির দামও অপরিবর্তিত। ভরা বর্ষায়ও কমেনি মাছের দাম। বরং তা আরও বেড়েছে। মাছ চলে গেছে সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বৃহত্তম মিরপুরের একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে তেলাপিয়ার কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা, পাঙ্গাশের কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, সিলভার কাপ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অথছ কিছুদিন আগেও এ তিন পদের মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকার কম ছিল। আর এ জাতীয় মাছেই আমিষের চাহিদা মিটতো নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। কিন্তু দাম বাড়ায় সেটিও এখন তাদের পাতে উঠছে না। সপ্তাহের ব্যবধানে অন্য মাছের দামও বেড়েছে। আকারভেদে রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চিংড়ি মাছের মধ্যে ছোট আকারের প্রতি কেজির দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি ৯০০ থেকে হাজার টাকার বেশি। আর আকারে বড় চিংড়ি ১২০০ টাকারও বেশি।
এদিকে ইলিশ মাছ আকাশছোঁয়া। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। এক কেজির কম ওজনের অর্থাৎ ৮০০ গ্রামের একটি ইলিশ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
বাজারে কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, আলু, পেঁয়াজ ও শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এসব নিত্যপণ্যের দাম চড়া। কোরবানির পর থেকে টমেটো, কাঁচা মরিচের দাম থেমে থেমে বাড়ছে, প্রতি কেজি কমবেশি ৩০০ টাকা। বাজারে আলুর কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭৫ টাকায়। আদার দাম প্রায় দুই মাস ধরে ৩০০ টাকার ওপর। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৭৯ টাকা। স্বস্তি ফেরেনি চিনিতে, প্রতি কেজি এখনো ১৪০-১৫০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগির কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। ফার্মের বাদামি ডিমের হালি এখনো ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।
একই অবস্থা সবজির বাজারেও। অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং কচুমুখি ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।