বাজারে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেলের মতো অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল। এর মধ্যে কোরবানির ঈদ ঘিরে মাছ-মাংস ও ডিমের দাম একটু কমতির দিকে গেলেও এখন আবার তা বাড়ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ টাকা। জায়গাভেদে গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় চাহিদা বেড়েছে অন্যান্য মাছের। মাছ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে গত এক সপ্তাহে আরেক দফা বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি। এই সপ্তাহে দরদাম করে সেই ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়। ব্রয়লারের সঙ্গে বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। গত সপ্তাহে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজির সোনালি মুরগি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।
মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা আবদুর রহমান বলেন, কোরবানির ঈদে চাহিদা কম থাকায় মুরগির বাজার নেমে এসেছিল। দুই সপ্তাহ ধরে বাজারটা আবার বাড়তি। চাহিদাও বেড়েছে। তবে বাজারে মুরগির সরবরাহে বড় কোনো সংকট নেই।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা। গত সপ্তাহেও বাজারে তা ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিমের দামও বেড়েছে। ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিমের দাম পড়ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা ডজন। সাদা রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।
ভরা মৌসুম হলেও বাজারে ইলিশের জোগান এবার বেশ কম। এতে অন্যান্য মাছের চাহিদা বেশি। এই সুযোগে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে। এক কেজি আকারের ইলিশের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা।
অন্যান্য মাছের মধ্যে রুই মাছের কেজি পড়ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। পাবদা, বোয়াল, আইড়, দেশি মাগুরের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। মানভেদে পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
মিরপুর বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. সেলিম বলেন, ইলিশ মাছ এবার বাজারে কম আসছে। গত কয়েক মাসে অন্য মাছের দাম একটু একটু করে বেশ বেড়েছে।
এদিকে অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, আটা-ময়দা, চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম আগের মতোই আছে। গুটি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি। বিআর আটাশ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা। মানভেদে মসুর ডালের কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। চিনির কেজি পড়ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।
সবজির বাজারে কিছুটা কমে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম। ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। পেঁপে, পটোল ও আলুর কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অন্যান্য সবজির দাম পড়ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।
শুক্রবার সকালে মিরপুর বাজারের নিয়মিত ক্রেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে নাজিম উদ্দিন নামের বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়তি হওয়ায় মাছ-মাংস কেনা কমাতে হয়েছে। বাজেটের মধ্যে বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় নিয়মিত।
রাজধানী খুচরা বাজার মাছ মাংস ডিম দাম
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।