দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছে উপকূলীয় জেলেরা। মাছ ধরার অনুমতি পাওয়ার পর এখন সমুদ্র থেকে প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ নিয়ে তীরে ফিরছেন স্থানীয় জেলেরা। ফলে বাজারে অন্যান্য মাছের পাশাপাশি বেড়েছে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ রুপালি ইলিশের সরবরাহ। ফলশ্রুতিতে বাজারে ইলিশের দাম কমেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, ইলিশ মাছের দাম এখনও নাগালের বাইরে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাছবাজার ঘুরে যে চিত্রটি চোখে পড়েছে- তা হচ্ছে, মাছের বাজারে বেশ হইচই। মাছ বিক্রেতার পাশাপাশি, সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ক্রেতারা দাম জিজ্ঞেস করছেন। বিক্রেতাদের কেউ কেউ কোনো কোনো ইলিশ মাছের দাম এক হাজার, কোনটার ১২০০, আবার কোনটার ১৪০০ টাকা দাম হাঁকছেন। কারওয়ান বাজারের মাছ বাজারে পাইকারি ক্রেতার পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদের আনাগোনাও বেশ বেড়েছে। ফলে সরগরম মাছের বাজার। ক্রেতাদের চোখ রুপালি ইলিশ ঘিরেই, দাম-দর জিজ্ঞাসা। কেউ দাঁড়িয়ে কারও করা দাম শুনছেন, আবার কেউ দাম করেই যাচ্ছেন। দামে মিলে গেলেই কিনছেন কাঙ্খিত রুপালি ইলিশ মাছ।
ইলিশ মাছের পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমুদ্রের মাছ এবং বরিশাল অঞ্চলের নদীর মাছ সমান হারে পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। দিন যত বাড়বে, মাছের দাম তত কমতেই থাকবে। গতকাল যে মাছ ১৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি সেটি আজ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এভাবে সামনের দিনগুলোতে মাছের দাম আরও কমবে। তবে সমুদ্রের মাছের তুলনায় নদীর মাছের দাম একটু বেশিই রয়েছে। এখন বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী থেকে মাছ আসছে।
মাছ বিক্রেতা মনোরঞ্জন পাল জানান, এখন মাছের ব্যাপক আমদানি। যার ফলে বাজারে দাম কমেছে ইলিশের। আমদানি কমে গেলে দাম আবার বেড়ে যাবে। দাম কমের কথা জেনে ক্রেতারা ইতমধ্যেই বাজারে এসেছেন। ২ দিন আগের তুলনায় এখন বাজারে ইলিশের দাম কেজিতে ৩/৪শ টাকা কমেছে। তবে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- তারা আরও কম দামে মাছ কিনতে চান।
আরেক বিক্রেতা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দাম কমার কোনো শেষ নেই। যত দাম কমবে, ক্রেতারা আরও দাম কমাবে। ৫০০ টাকার মাছ ৪০০ টাকা হলেও তারা বলবে, দামটা আরও একটু কমান।
তিনি আরও বলেন, বাজারে এখন ২ ধরনের মাছই আছে। সমুদ্র ও নদীর মাছের মধ্যে নদীর মাছের দাম এখনও কিছুটা বেশি। কিন্তু সমুদ্রের মাছের দাম কম আছে। সমুদ্রে বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পরছে এখন।
সকাল বেলা কারওয়ান বাজারে ইলিশ কিনতে এসেছেন শিক্ষক জহিরুল আলম। তিনি বলেন, সবাই দাম কম বললেও বাজার ঘুরে আমার কাছে দাম কম মনে হয়নি। এক কেজি সাইজের ইলিশ কেউ ১৫০০ টাকার নিচে দিতে চাইছে না। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকা আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা দাম চাচ্ছে। এবার আপনিই বলুন, দামটা কোথায় কম?
আরেক ক্রেতা আরিফুল ইসলাম জিসান বলেন, বাজারে দেখছি প্রচুর মাছ উঠেছে, কিন্তু বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছে না। অল্প আয়ের মানুষের জন্য এই দামে মাছ কেনা প্রায় অসম্ভব। কারণ, বেশিরভাগ দোকানদারই আগের দাম ধরে রেখেছে। তারা দাম না ছাড়লে, ইলিশ মাছ না কিনেই হয়ত বাসায় ফিরতে হবে। কেউ এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে এলে তার আর মাছের বাজারে ঢোকার সাধ্য হবে না।
বাজার ইলিশ দাম মাছ বাজার কারওয়ান বাজার
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।