বিশ্ববাজারে ধারাবাহিকভাবে কমছে সোনার দাম। গেলো এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ২৪ ডলারের ওপরে। এতে দুই সপ্তাহের টানা পতনে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে প্রায় ৫৩ ডলার। সোনার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্লাটিনামের দামও কমেছে। তবে রুপার দাম কিছুটা বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমার মধ্যে সম্প্রতি দেশের বাজারেও সোনার দাম কমানো হয়েছে। গত ১৭ আগস্ট বৈঠক করে বাংলাদেশে সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি।
বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৮ আগস্ট থেকে সব থেকে ভালো মানের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার ১ হাজার ৭৫১ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ লাখ ২৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ৯৪ হাজার ৫৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৯৯ টাকা কমিয়ে ৮১ হাজার ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৬৭ হাজার ৫৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামে সোনা বিক্রি হচ্ছে। তবে ভালো মানের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের লাখ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারিত দামের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়।
সোনার গহনা কিনতে বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ভ্যাট দিতে হয় ৫ শতাংশ। আর ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের এক ভরি সোনার গহনার দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৭৭ টাকা।
বিশ্ববাজারে দাম কমার মধ্যে বাজুস এ দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও বাজুস থেকে দাম কমানোর কারণ জানানো হয়েছে ভিন্ন। বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববাজারে গেলো এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ২৪ দশমিক ৫৭ ডলার বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৮ দশমিক ৯৬ ডলার।
আগের সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে ২৮ দশমিক ১৫ ডলার বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৫২ দশমিক ৭২ ডলার। এর মাধ্যমে এক মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমেছে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এদিকে রুপার দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে দশমিক ৩৪ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৭৪ ডলার। দাম কমে ৩ দশমিক ৮৯ শতংশ।
অপরদিকে গত সপ্তাহে প্লাটিনামের দাম দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ৯০৯ দশমিক ৮৮ ডলার। আগের সপ্তাহে কমে ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এর মাধ্যমে মাসের ব্যবধানে প্লাটিনামের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।