এবার
চিনি রপ্তানি বন্ধ করতে যাচ্ছে
বিশ্বের দ্বিতীয়
শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ
ভারত।
অক্টোবর
থেকে শুরু হতে যাওয়া
নতুন মৌসুম থেকে চিনি উৎপাদনকারী
কারখানাগুলোকে রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে জনিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, বৃষ্টির অভাবে
আখের ফলন কম হওয়ায়
আগামী মৌসুমে অক্টোবর থেকে এই উদ্যোগ
নিতে যাচ্ছে দেশটি। সাত বছর পর
এই প্রথমবারের মতো চিনি রপ্তানিতে
নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ভারত।
ইতোমধ্যে
কয়েক বছর ধরে চিনির
দাম বেড়েছে। তার উপর ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ
করলে বিশ্ব বাজারে, যেমন নিউইয়র্ক ও
লন্ডনে চিনির দাম আরও বাড়তে
পারে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য
বাজারে আরও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা
তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সরকারি সূত্র
রয়টার্সকে জানিয়েছে, 'আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য স্থানীয় বাজারে চিনির চাহিদা পূরণ করা এবং
উদ্বৃত্ত আখ থেকে ইথানল
উত্পাদন করা। তাই আগামী
মৌসুমে রপ্তানি করার মতো পর্যাপ্ত
চিনি আমাদের কাছে থাকবে না।'
এল নিনোর প্রভাবে সাত দশকে এবার
সবচেয়ে বেশি খরার মুখোমুখি
হয়েছে দেশটি। চলতি বছরের শেষ
দিকে তা আরো প্রকট
হওয়ার শঙ্কার কথা বলেছে আবহাওয়ার
পূর্বাভাস। এতে উৎপাদন কমে
যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে যাতে
তেঁতে উঠছে মূল্যস্ফীতি।
রয়টার্স
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যের বরাতে লিখেছে, ভারতের শীর্ষ আখ উত্পাদনকারী অঞ্চলগুলোর
মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের জেলাগুলোতে
মৌসুমি বৃষ্টিপাত ৫০ শতাংশ কম
হয়েছে। এসব জেলা থেকে
দেশটির মোট চিনির অর্ধেক
জোগান দেওয়া হয়।
এ বছরের শেষ দিকের সাধারণ
নির্বাচনের আগে পণ্যমূল্যের দাম
স্থিতিশীল রাখার চেষ্টার অংশ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা
ও শুল্ক আরোপের মাধ্যমে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় দেশটির
সরকার।
এ বছর সেপ্টেম্বরে শেষ
হতে যাওয়া মৌসুমে কারখানাগুলোকে ৬১ লাখ টন
চিনি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে গত
মৌসুমে রেকর্ড এক কোটি ১১
লাখ টন চিনি বিক্রি
করেছিল ভারত।
বাংলাদেশে
বছরে ২১ লাখ মেট্রিক
টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে এক
লাখ টনের মতো চিনি
দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি চিনি
ভারত, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা
হয়।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।