আসন্ন জাতীয়
নির্বাচন পর্যন্ত আগামী এক মাস গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা মন্টু।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর)
মোহাম্মদপুরে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সম্মিলিত
বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
তিনি বলেন,
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে এক মাসের জন্য ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি মাসে গরু কেনাকাটার ওপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ
করা হবে। একমাস পর আবার বসে দাম পুনরায় নির্ধারণ করা হবে।
মাংস ব্যবসায়ী
সমিতির সভাপতি বলেন, গাবতলী থেকে দশটি গরু কিনে সেখানে জবাই করে মাংস বিক্রির পর কত
টাকা কেজি বিক্রি হলো, সেটার উপর কত টাকা কেজি পড়লো, সেটি ভোক্তা অধিকারকে নির্ধারণ
করতে হবে।
শাহজাহানপুরের
আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, আমি গাই, মহিষ জবাই করি না। আমি গত ২৫ বছরেও
গাই মহিষের মাংস জবাই করিনি। আমি যে টাকায় বর্তমানে মাংস বিক্রি করছি তাতে আমার লাভ
হয় এবং আমি সবচেয়ে বেশি মাংস বিক্রি করি।
এ সময় মাংস
ব্যবসায়ী খলিলের উপর অন্যান্য মাংস ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত হয়ে যান। পরে তিনি অনুষ্ঠান
শেষ না করেই চলে যান।
মাংস বিক্রেতা
নাজমুস শাকিব বলেন, মাংসের দাম নির্ধারণ করতে হলে সরকারকে গরুর দাম নির্ধারণ করে দিতে
হবে। কেননা আমরা সস্তা গরু কিনতে না পারলে বিক্রি করবো কীভাবে? বর্তমানে প্রতি কেজি
মাংস কিনতে হচ্ছে ৭০০ টাকা করে।
বাংলাদেশ ডেইরি
ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী একমাস শর্তসহ
৬৫০ টাকা করে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা একমাস পর চেষ্টা করব যেন এটিকে
কমিয়ে ৬০০ টাকা করা যায়। আমাদের ভোক্তার চাহিদাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। গরুর খামারিরা
যদি দাম কমায় তাহলে গরুর মাংসের দাম কমানো সম্ভব। ১ কেজি মাংসের মধ্যে ৭৫০ গ্রাম মাংস
২০০ গ্রাম হাড্ডি ও ৫০ গ্রাম চর্বি থাকতে হবে। ভোক্তারা চাইলে তারা আলাদা করে মেপে
তাদের মাংস ক্রয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশ মাংস
ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ২০১৯ সালে সিটি করপোরেশন মাংসের মূল্য নির্ধারণ
বাদ দেওয়ায় সে বছর দাম ৫০০ টাকা কেজি হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালে ৬০০, ২০২১ সালে ৭০০ ও
চলতি বছর ৮০০ টাকা কেজি হয়েছে। কত করে গরু কেনা পরে এবং সেটিকে কমে কীভাবে বিক্রি করা
যায়, সেটিই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খতিয়ে দেখুক। তারা নির্ধারণ করে দিক কত
টাকায় মাংস বিক্রি করা যায়।
এ সময় উপস্থিত
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মাংস ব্যবসায়ীরা মাংসের দাম বৃদ্ধি ও কমানোর পক্ষে বিভিন্ন
মতামত দেন।
মাংস ব্যবসায়ী সুপারশপ প্রতিনিধি ভোক্তা অধিকার
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।