নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০১৮
যারা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না, তাদের বার্তা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফেরার পর, বাদ দের আগে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের সাধারণ সম্পাদককে ডেকে, যারা আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাবে না, তাদের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এরা যতো প্রচারণা করবে ততোই দলে বিভক্তি সৃষ্টি হবে। ঢাকার বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক নেতা বিশাল বিশাল বিলবোর্ড, পোস্টার লাগিয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের অনতি বিলম্বে এসব বিলবোর্ড এবং পোষ্টার নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিটি কর্পোরেশনকে এসব ব্যানার ফেস্টুন নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কেউ যদি সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে পোস্টার করে, তাহলে আপত্তি নেই। কিন্তু নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে এখনই কেউ ভোট চাইলে, তাতে বাঁধা দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগ তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এর মধ্যে ১৭৫জন প্রার্থীকে ইতিমধ্যে দলের সভাপতি ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন। যারা তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা করছেন। কিন্তু ঐ ১৭৫ আসনের অনেকগুলোতেই আওয়ামী লীগের অন্য কেউ প্রচারণা করছে। ঐ প্রার্থী যত না তাঁর পক্ষে প্রচারণা করছেন, তাঁর চেয়ে বেশী সবুজ সংকেত পাওয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণা করছেন। তাঁর দূর্নীতি, ব্যর্থতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছেন। এর ফলে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহকারী প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ টীম এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট দলীয় সভাপতির কাছে জমা দিয়েছেন। ঐ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলের চেয়েও কঠিন ভাষায় আওয়ামী লীগের নেতারাই একে অন্যের সমালোচনা করছেন। এজন্য যেসব আসনে প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে, সেখানে আওয়ামী লীগের অন্য কেউ যেন ভোট প্রার্থনা বা প্রচারণা না করে, সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরকম অন্তত ১৩ জনকে নির্বাচনের মাঠ খালি করতে বলেছেন। ঢাকার একটি আসনে এরকম মনোনয়ন প্রত্যাশীকে বলেছেন, ‘এরপর তোমার প্রার্থী হওয়ার একটি পোস্টার দেখলে, আমি ব্যাবস্থা নেবো। একই বার্তা দেয়া হয়েছে, খুলনা, নাটোর, পাবনা, নওগাঁ, চট্টগ্রামের আসনগুলোতে। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহেই ১৭৫ টি আসনে সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, বাকী ১২৫টি আসনে একাধিক প্রার্থী বিবেচনায় আছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে বিএনপি কি করে, বিরোধী জোট কেমন হয় ইত্যাদি দেখেশুনে তারপর প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া শরিকদের আসনগুলোও এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রী সারা দেশে পরিচালিত জরিপ থেকে মনোনয়ন মোটামুটি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে মনোনয়ন কমিটি। তবে এখন থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী এবং দলীয় কোন্দলের ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থান নিচ্ছি।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।