গতকাল শুক্রবার থেকে সারাদেশেই বৃষ্টির পরিমাণ আবার কমে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মাত্র দুই জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে এবং সারা দেশের অবস্থা এখনও বেশ শুকনো খটখটে। ফলে আজ আরও বাড়বে সারা দেশের তাপমাত্রা।
খররোদে ঘরের বাইরে কাজকর্ম, চলাফেরা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। গুমোটে ঘরের ভেতরেও স্বস্তি নেই। মৃদুমন্দ হাওয়া যা বইছে, তার অবস্থাও উষ্ণ। তবে আবহাওয়া বিভাগ স্বস্তির পূর্বাভাস দিয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বাড়তে পারে। সারা দেশে অবিরাম বৃষ্টি নামবে- এমন পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ এবং তার সংলগ্ন এলাকায় এখন একটি পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ- পশ্চিম দিক থেকে হাওয়া বইছে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে। দমকা হওয়া উঠলে এর বেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে দেশের কোথাও কোথাও কালবৈশাখী বা বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান। এছাড়া সারা দেশে আগামী অন্তত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার খুব বেশি তারতম্য হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দেশে বৃষ্টি হয়েছে কেবল খেপুপাড়ায়, ২৯ মিলিমিটার আর পটুয়াখালীতে ৩ মিলিমিটার। আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার ঝাপটা লাগতে পারে। সেই সঙ্গে আছে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা।
এছাড়া, রোদের দহন থাকবেই। তাপমাত্রা কমার লক্ষণ নেই, বরং পূর্বাভাস হলো দিন-রাত মিলিয়ে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ফেনী ও বান্দরবানে, ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দেশেই গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর সর্বনিম্ন ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে, ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর বাতাসের আর্দ্রতা কিছুটা কমেছে। গতকাল সকালে আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ, আজ ৭২ শতাংশ। আর্দ্রতা কমলে সাধারণত ঘাম কম হয়, এতে গরমের অস্বস্তির ভাব খানিকটা লাঘব হয়। তবে আর্দ্রতার এই যৎসামান্য পরিবর্তনে গরম লাগার যন্ত্রণার তেমন হেরফের হবে না।
মন্তব্য করুন
দেশের সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগের দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার রাত সোয়া ১১টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সিলেট কিশোরগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৃষ্টি আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা আজকেও বাড়তে পারে। তবে বুধবার (১ মে) থেকে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার ( ২৮ এপ্রিল ) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৩১ মার্চ থেকে দেশে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এরমধ্যে কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড তাপে পুড়ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রচণ্ড গরমে ঘটছে হিটস্ট্রোকের ঘটনা।
আবহাওয়াবিদ জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ আবহাওয়াবিদ আরও জানান, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন