বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে, ফলে দেশের ৬ বিভাগে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়াও কক্সবাজারে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এতে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই দিন কক্সবাজার প্রশাসনও সতর্ক সংকেত এবং জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া গুমোট ছিল। সাগর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ জাহাজঘাটের ইজারাদারের উশুল আদায়কারী সূত্র জানায়, টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৩২ জন, আটল্যান্টিকে ৮৯ ও এমভি বার আউলিয়া করে ২৯৮ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছেন। পরে জাহাজে করে দুপুর ৩টায় তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত আসলেও অন্যরা দ্বীপে রয়ে গেছেন। আগের দিন মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়ে রাতযাপনের জন্য ছিলেন দেড় শতাধিক পর্যটক। ফলে দ্বীপে এখন চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করায় বৃহস্পতিবার (আজ) সকাল থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ, স্পিডবোট, কাঠের বোট বা যেকোনো জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সাগরে নিম্নচাপ ভারী বর্ষণের সেন্টমার্টিন
মন্তব্য করুন
সোমবার থেকে দেশজুড়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ বৃষ্টি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার ই তথ্য দিয়ে কালবৈশাখীর সতর্কও করে দিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।
সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। সেখানে বলা হয়, আজ সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে আজ বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর, মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। এসব স্টেশনের মধ্যে গতকাল ১১টিতে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায়, ৩৭ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তাতে রাজধানীর তাপমাত্রা সামান্য কমেছিল।
আবহাওয়াবিদেরা মনে করেন, দেশজুড়ে বড় ধরনের বৃষ্টি না হলে এই তাপপ্রবাহ শেষ হবে না।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে ঝড়ের সময় সবাইকে সাবধানে থাকতে বলেছেন আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
তিনি বলেন, মে মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি কালবৈশাখী হয়। এ মাসেও কয়েকটি কালবৈশাখী হতে পারে। এসময় বজ্রপাতে অনেক প্রাণহানি হয়। তাই ঝড়ের সময় অবশ্যই নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।
ঝড়বৃষ্টি আবহাওয়া অধিদপ্তর কালবৈশাখী
মন্তব্য করুন
বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে আজ ভারতের দিল্লি। তবে দূষণমাত্রার দিক থেকে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১০ম। শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ২৭৮। এর পরে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং এই শহরটির স্কোর ২১৭। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। এই শহরটির স্কোর ১৬৭। এরপর থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার, জাকার্তা, চীনের বেইজিং, মিশরের কাইরো, ভিয়েতনামের হ্যানয় ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে।
রাজধানী ঢাকা রয়েছে ১০ নম্বরে। এই শহরের স্কোর ১১৭ অর্থাৎ এখানকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুদূষণ ঢাকা ১০ম প্রথম দিল্লি
মন্তব্য করুন
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবার ( ১ মে ) স্বস্তি বৃষ্টি এনেছিল। রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা একলাফে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। পঞ্চগড়ের রাতের তাপমাত্রাও তো একলাফে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। তবে গতকাল শুক্রবার সকাল গড়িয়ে যত দুপুরের দিকে গিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী দুই দিন অন্তত উষ্ণতার ভেতর দিয়ে অর্থাৎ তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড গরমের কষ্ট আবারও ফিরে এসেছে। দিনের বেলা তো তাপপ্রবাহ থাকছেই, রাতের বেলার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের এলাকাও বিস্তৃত হতে পারে; পাশাপাশি বাতাসে জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা বেড়ে গরমের অস্বস্তিও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা গতকালের মতোই উষ্ণ থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কিছু জেলায়। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আগামী সোম ও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়লে তারপর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ এলাকা এবং রংপুরের কয়েকটি এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি ঝরেছে রাঙামাটিতে, ৪৪ মিলিমিটার।
মন্তব্য করুন
ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবার ( ১ মে ) স্বস্তি বৃষ্টি এনেছিল। রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা একলাফে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। পঞ্চগড়ের রাতের তাপমাত্রাও তো একলাফে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। তবে গতকাল শুক্রবার সকাল গড়িয়ে যত দুপুরের দিকে গিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে।