ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে নিশাত নামক একটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া আরও ২০টি ট্রলারসহ দুই শতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সাগর।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ট্রলারডুবি ও জেলে নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গোপসাগর মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটার ছালাম মিয়া নামে এক ব্যক্তির এফবি নিশাত নামের মাছ ধরা ট্রলারটি প্রবল দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় পাশে অবস্থানরত অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসে। এছাড়াও পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলাসহ ২০০ জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও জানান, ‘সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছে। তওব নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনকে অবগত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের
সব বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি
হতে পারে বলে জানিয়েছে
আবহাওয়া অফিস। ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা পরবর্তী
৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার
(১০ মে) সন্ধ্যা ৬টা
পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের
অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও
চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়
অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো
হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্র ও শনিবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে শনিবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরের দিন রোববার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চলমান এই বৃষ্টিপাত আগামী রবিবার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে আসছে ২৪ ঘণ্টায় ৮ বিভাগেই বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) নিয়মিত বুলেটিনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বা রাতে ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির প্রবনতা কমলে তাপমাত্রা বাড়বে। তবে ১৭ মে পর্যন্ত দেশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘু চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ সময় অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়- সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১২টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে
ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (৮ মে) সকালে নদীবন্দরের সতর্কবার্তায়
এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
আবহাওয়া অফিসের ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী,
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়োহাওয়া
সহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই
নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা, ময়মনসিংহ
এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার
বেগে দমকা ও ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায়
এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের ৩১ মার্চ দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে টানা ৩৭ দিন পর স্বাভাবিক
হয়েছে তাপমাত্রা। প্রথমে মৃদু তাপপ্রবাহ দেখা দিলেও এপ্রিলের শেষার্ধে তা তীব্র থেকে
অতি তীব্র হতে থাকে। পরে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় কমতে থাকে তাপমাত্রা। শেষ পর্যন্ত
মঙ্গলবার (০৭ মে) এসে পুরো দেশে থেকেই বিদায় নিল তাপপ্রবাহ। ৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭
দিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড।
গত ৩০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
রেকর্ড করা হয় যশোরে, যা গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায়
৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার (০৭ মে) দেশের সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। ঢাকার সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি হলে তাপপ্রবাহ
ধরা হয়। সে হিসাবে স্বাভাবিক স্তরে নেমে এসেছে তাপমাত্রা।
২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের ৯ বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ
৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ১৯৭২ সালের ১৮ মে।
চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
করা হয়, যা তার আগের ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে থার্মোমিটারের পারদ
উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪২
দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপপ্রবাহ তাপমাত্রা আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের ৩১ মার্চ দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে টানা ৩৭ দিন পর স্বাভাবিক হয়েছে তাপমাত্রা। প্রথমে মৃদু তাপপ্রবাহ দেখা দিলেও এপ্রিলের শেষার্ধে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হতে থাকে। পরে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় কমতে থাকে তাপমাত্রা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার (০৭ মে) এসে পুরো দেশে থেকেই বিদায় নিল তাপপ্রবাহ। ৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭ দিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড।