বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান এখন দ্বিতীয়। বিশ্বের বড় বড় শহর ছাড়াও ছোট ছোট শহরগুলোতেও বাড়ছে বায়ুদূষণ। ঢাকার বাতাসেও নেই স্বস্তির খবর।
আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকার’ অবস্থায় রয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে একিউআই অনুযায়ী দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার স্কোর ২৬৩, যা খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। এ সময় একিউআই স্কোর ৩১৪ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের কলকাতা শহর। এ ছাড়া তৃতীয় স্থানে থাকা গানার আক্রা শহরের একিউআই স্কোর ২২৭। চতুর্থ স্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৯২ এবং ১৮২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাজধানী সারায়েভো।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বায়ুদূষণ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ঢাকা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও ।
রোববার (১৯ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে চোখ রাঙানি দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আইলা এবং আম্ফানের মতো ক্ষতি হতে পারে রেমালে। ২৫ মের পর যে কোনো সময় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়ার অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে কেটেছে তাপপ্রবাহ। এ সময়ে ঢাকার তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (১৮ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের নয়টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রশমিত হবে। একইসঙ্গে দেশের আটটি বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা তাপমাত্রা ডিগ্রি সেলসিয়াস
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব জেলায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গত এপ্রিল থেকে
তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ । এশিয়ার ছয়টি দেশে যা এখনো অব্যাহত। আগামী বছরগুলোতে
গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়া জুড়ে আঘান হানা তাপপ্রবাহ আরও প্রাণীঘাতি হয়ে উঠতে
পারে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন ও রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশ করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গতকাল এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ওই গবেষণার ফলাফলকে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাপপ্রবাহকে একটি দুর্যোগ হিসেবে মনে করছি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ও মৃত্যুর শিকার হওয়া মানুষদের সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করছি। কৃষি, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা মোকাবিলায়ও সরকার কাজ করছে।’
ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদনে ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে দেশের ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকাকে তা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ লাখ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এ তাপপ্রবাহের ফলে সরকারি ও বেসরকারি হিসাব মিলিয়ে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে অনেক মানুষ পানিশূন্যতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরে ভারসাম্যহীনতা, বমি, জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল। ওই দিন রাজধানীতে মোট ৬ জন মারা যান। তখন বাংলাদেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বেশির ভাগ সময়জুড়ে তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে তার চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি।
জাতিসংঘের হিসাবে, তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাগুরা জেলায়। এপ্রিলের শুরু থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও তা মারাত্মক তীব্রতা পায় ২১ এপ্রিল। আর সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল ২৪ এপ্রিল। ওই দিন রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। গত এপ্রিলের তাপপ্রবাহ আগের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। এসময় বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ এলাকা তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকিতে ছিল।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের তীব্র গরমে স্বস্তি ফিরে এসেছে রাজধানীবাসীদের মাঝে। শনিবার (১৮ মে) সকালে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়।
ঢাকার আকাশ ভোর থেকেই ছিল মেঘলা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রামপুরা বাড্ডা, নতুনবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
এদিকে বৃষ্টি প্রশান্তি আনলেও অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেকে ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজছেন। তবে বৃষ্টি নামায় সবাই স্বস্তিবোধ করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে কেটেছে তাপপ্রবাহ। এ সময়ে ঢাকার তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত এপ্রিল থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাই। এশিয়ার ছয়টি দেশে যা এখনো অব্যাহত। আগামী বছরগুলোতে গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়া জুড়ে আঘান হানা তাপপ্রবাহ আরও প্রাণীঘাতি হয়ে উঠতে পারে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন ও রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশ করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গতকাল এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ওই গবেষণার ফলাফলকে উল্লেখ করা হয়েছে।