প্রকৃতিতে তাপমাত্রা
বাড়তে শুরু করেছে মধ্যফাল্গুনে
এসে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া চলতি মার্চ মাসের
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ
মাসে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। মার্চের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে
তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আর এ মাসেই দেশে
কয়েকটি কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার শঙ্কা
রয়েছে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান
বলেন, চলতি মাসে ২-৩ দিন বজ্র
ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের
এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম
ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ১-২টি মৃদু বা
মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ মাসে দিনের তাপমাত্রা
স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি থাকতে পারে।
থার্মোমিটারের
পারদ ৩৬ থেকে ৩৮
ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে
মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে
৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা
হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০
ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র
তাপপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়া
অধিদপ্তরের দেওয়া এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি
পূর্বাভাসে গত ফেব্রুয়ারি মাসের
আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে।
দেখা গেছে, মে মাসে সারা
দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৩৬ ভাগ কম
বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে ময়মনসিংহ ও
সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি এবং ঢাকা,
রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে
স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মার্চ মাসেও সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে
কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
গত জানুয়ারি
মাসে ৩ ধাপে দেশের
অনেক জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি
ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। গত
২৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
রেকর্ড করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি
মাসেও দুই ধাপে মৃদু
থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
রোববার (৩ মার্চ)
সকালে
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮
ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।
একদিন আগে যা চুয়াডাঙ্গা
ছিল ১৩ দশমিক ৩
ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি থেকে
বেড়ে হয়েছে ১৯ দশমিক ২
ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৩
দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা
কমলেও বায়দূষণ কমেনি।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু।
আরও পড়ুন: আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি করল আবহাওয়া অফিস
এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা
শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০
মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১
থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত
হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে;
যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের
জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই
ক্ষতিকর।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ২ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট
জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে সপ্তমবার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এই
হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলেন, আজ সন্ধ্যা
৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত
থাকতে পারে।
এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা
বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানো
হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৪৯ শতাংশ।
এরপর রাত ৮টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ওই সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ। এই বৃষ্টিপাত রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সংস্থাটি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে। ওই সময়ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। এই দুই ঘণ্টা ঢাকার আকাশের বেশিরভাগ অংশ মেঘলা থাকবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।
টানা গরমে অসহ্য হয়ে পড়া সাধারণ মানুষ এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। কখন বৃষ্টি নামবে সেই প্রহর গুণছেন তারা। বিশেষ করে শহুরে এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
বর্তমানে, বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। এতে করে তাপজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
ঢাকা বৃষ্টি রাজধানী আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
তীব্র
তাপপ্রবাহের পর অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশের কয়েকটি জেলায়
বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। আর বজ্রঘাতে পৃথক
পৃথক স্থানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২ মে) সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এর
আগে গতকাল বুধবার (১ মে) রাতেও কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে,
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় বজ্রাঘাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এসব
জায়গায় অনেকে আহত হয়েছে বলেও জানা যাায়।
আজ
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়ও
বজ্রাঘাতে ৭ জন আহতও হয়। এঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি রাঙামাটি সদরের সিলেটি পাড়ার
বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ির বাহার জান বেগম (৫৫) ।
বাঘাইছড়ি
উপজেলা নির্বাহী অফিসর শিরিন আক্তার বলেন, ‘উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক
গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রাঘাতে বাহারজান বেগম (৫৫) নামে একজন নারী নিহত
হয়েছেন।’ এছাড়াও মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা
হয়েছে বলে তিনি জানান।
খাগড়াছড়ি
মাটিরাঙ্গায় বজ্রাঘাতে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে)
সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম
ইয়াছিন আরাফাত।
জানা
গেছে, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াতে যায় আরাফাত। এ
সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।
কক্সবাজারের
পেকুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই লবণচাষীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে
উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে।
নিহত
ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে
দিদারুল ইসলাম (৩৫) ওরাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান
(২৫) ।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে দিদার লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে হঠাৎ বজ্রাঘাতে দগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস
এছাড়াও বুধবার (১ মে) রাতে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, পীরগাছা ও মিঠাপুকুরে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাছাড়াও ফেনী, নেত্রকোণা সহ আরও বেশ কিছু জায়গা হতে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস
এদিকে,
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়ার খবর বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু
জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো
হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে
শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ
আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত
চলতি মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও
এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে
দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে
গেছে। গত ৭৬ বছরে এমন অবস্থা হয়নি বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশের ৭৬ বছরের ইতিহাসে গেল এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই দেশের
বিভিন্ন স্থানে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ।
তবে চলতি মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে। এই
মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায়
যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।
মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে
জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী
হতে পারে। এছাড়াও চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে
আবহাওয়া অফিস। মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও এ বার্তায়
বলা হয়েছে।
কালবৈশাখী ঝড় আবহাওয়া অধিদপ্তর তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৪৯ শতাংশ। এরপর রাত ৮টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ওই সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ। এই বৃষ্টিপাত রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সংস্থাটি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে। ওই সময়ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। এই দুই ঘণ্টা ঢাকার আকাশের বেশিরভাগ অংশ মেঘলা থাকবে।