রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত শনিবার রাতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। রাজধানীতে যার গতি ঘণ্টায় ৯২ কিলোমিটার ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার বিকেলেও রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে, এ মাসে বৃষ্টি কম হতে পারে- এমনটি বলা হলেও মাসের শেষ দিকে এসে দাপট দেখাতে শুরু করেছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতেই থাকবে। সঙ্গে হতে পারে কালবৈশাখী। এতে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় থাকবে।
এখন বোরো ফসল মাঠে। আবার আমের গাছে মুকুল থেকে গুটি হওয়া শুরু হয়েছে। উভয়ের জন্যই এই বৃষ্টি ইতিবাচক বলে মনে করছেন কৃষিবিদেরা।
প্রতি মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তর পুরো মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। এ মাসের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছিল, স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। আবার দেশের মধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে অবশ্য বৃষ্টি কম হয়েছে। আবার কয়েকটি জেলায় মৃদু আকারে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। শনিবার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে, ৬৩ মিলিমিটার। এ সময় রাজধানীতে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৫ মিলিমিটার।
মার্চ মাসে দেশে গড় বৃষ্টির পরিমাণ ৫২ দশমিক ৪ মিলিমিটার। দেশের সার্বিক বৃষ্টিপাত এখনো সেই গড় পার করে গেছে কি না, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র তা জানাতে পারেনি। তবে রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি জানা গেছে। রাজধানীতে ইতিমধ্যে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে গেছে। এ মাসে রাজধানীর গড় বৃষ্টিপাত হয় ৬৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, এ সময়টায় বৃষ্টি হয় পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে। পশ্চিমা বাতাসের সঙ্গে থাকে শুকনো এবং ঠান্ডা হাওয়া। এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া দক্ষিণি গরম হাওয়া মিলে মেঘের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হয় তখনই।
স্থানীয়ভাবেও অনেক সময় প্রচুর আর্দ্রতা সৃষ্টি হয়ে তা বৃষ্টি ঘটায়। এ বৃষ্টি হয় সাধারণত বিকেল বা রাতের দিকে। যেমন শনিবার রাতের বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, গত রাতে মেঘ সৃষ্টি হয়েছে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের দিকে। সেখানে তাপের সঙ্গে যমুনা নদী থেকে বয়ে আসা আর্দ্রতা মিলে মেঘের সৃষ্টি আর তাতেই হয়েছিল বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এ মাসের বাকি কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হবে। কালবৈশাখীও হতে পারে। এতে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় থাকবে।
আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকায় আজ সোমবার বিকেলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এমন অবস্থা দুই দিন থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টি খানিকটা কমতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই।
এ মাসে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম থাকলেও আগামী এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, এপ্রিলের শুরুর দিকে তাপপ্রবাহ হতে পারে। তবে তা তীব্র না-ও হতে পারে।
এদিকে এখন বোরো ধান ফলনের সময়। এ ধানে ব্যাপক সেচের দরকার হয়। সেই সেচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানি নির্ভর। তবে এ বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের জন্য তা খুব উপকারই হবে বলে মনে করেন কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায়। তিনি বলেন, ধানের পাশাপাশি এখন আম গাছে গুটি এসে গেছে। এখন বৃষ্টি হলে আমের আকার বড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও অধুনা আমের ‘নতুন রাজ্য’ নওগাঁয় খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি। তাই আম এবং ধানের জন্য আরও বৃষ্টি হলে তা উপকারই হবে বলে মনে করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নওগাঁ জেলার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একেএম মনজুরে মাওলা। তিনি বলেন, এখন বৃষ্টি শুধু পেঁয়াজের বীজ তৈরির ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য পেঁয়াজ উৎপাদনে এগিয়ে থাকা পাবনা, ফরিদপুর ও রাজশাহী অঞ্চলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে তিন বার জারি হয়েছে হিট অ্যালার্ট। তবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আপাত্ত কোন সম্ভবনা নেই। বর্তমানে এ অবস্থা যে শুধু বাংলাদেশে চলছে তা নয়, এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা এরইমধ্যে ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গেছে। একই পরিস্থিতি পাকিস্তানেও।
ইরানে গত বছর সর্বাধিক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই নিরিখে এ বছরের চলতি মাসের চিত্র বিশেষ আশার আলো দেখাতে পারছে না। দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সেই সমস্ত শহর যার তাপমাত্রা এখন সর্বাধিক।
ভারত: ভারতের ওড়িশার বারিপদা ও পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে এরই মধ্যে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হবে আগামী তিনদিনে। গত এক সপ্তাহে ওই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে।
হরিয়ানাতেও তাপমাত্রার দিল্লির কাছাকাছি রয়েছে। বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির একাধিক অঞ্চলসহ পূর্ব উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
পাকিস্তান: সিন্ধ প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সিন্ধের নওয়াব শাহতে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি, মহেঞ্জোদারোতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লাহোরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
উষ্ণতম শহরের তালিকায় বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলের নাম অনেক আগেই নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলুচিস্তানের ন্নকুন্দিতে ৩৭ ডিগ্রি এবং সিব্বিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
অন্যদিকে করাচিতে চলতি মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে করাচির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মালদ্বীপ: চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।
মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস।
নেপাল: চলতি মাসে নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গেছে। চলতি সপ্তাহে কাঠমান্ডুর বাগমতি অঞ্চলের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
অন্যদিকে নেপালের লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, বিরাটনগর বিমানবন্দর এলাকায় গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
নেপালের জ্বালানি, জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের জলবায়ু রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের সারা বছরের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৬ শতাংশ বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে বছর তরাইয়ের নাওয়ালপারাসির দামকাউলি রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা (৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে যা গত ৪৪ বছরে দেখা যায়নি।
শ্রীলঙ্কা: চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার গড় তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলম্বোতে এ সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শহর অনুরাধাপুরার বিমানবন্দর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর রত্নপুরায় সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চল প্রদেশে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে গত এক সপ্তাহে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে তা হল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহ আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে
দিনে গরম তো থাকছেই, রাতেও যে তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী
মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী মাসের শুরুতে সিলেট ও
চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তখন ওই দুই বিভাগে গরমের কষ্ট
কমে আসতে পারে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে অবশ্য রাজধানী ঢাকা এবং রাজশাহী ও খুলনার মতো
এতটা উষ্ণতা নেই। তবে মে মাসের বাকি সময়জুড়ে উত্তরেও গরমের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কমার
সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে দিনে গরম তো থাকছেই, রাতেও যে তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত
থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের অন্তত
১৪টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে। অর্ধেকের বেশি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা উঠে ৩৯
দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি। গতকাল দেশের
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম বলেন, ‘এপ্রিল ও মে এমনিতেই
আমাদের এখানে সবচেয়ে উষ্ণ মাস। এবার পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া
হয়ে লাওস পর্যন্ত আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তান
ও আফগানিস্তান পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর তীব্র তাপপ্রবাহ বৃষ্টি
মন্তব্য করুন
সিলেটে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর গুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আগামী তিন দিনেও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে স্বস্তির খবর, আগামী ৩ দিনে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে তিন বার জারি হয়েছে হিট অ্যালার্ট। তবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আপাত্ত কোন সম্ভবনা নেই। বর্তমানে এ অবস্থা যে শুধু বাংলাদেশে চলছে তা নয়, এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা এরইমধ্যে ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গেছে। একই পরিস্থিতি পাকিস্তানেও। ইরানে গত বছর সর্বাধিক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই নিরিখে এ বছরের চলতি মাসের চিত্র বিশেষ আশার আলো দেখাতে পারছে না। দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সেই সমস্ত শহর যার তাপমাত্রা এখন সর্বাধিক।
সিলেটে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর গুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।