তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। এতে মানুষ অস্বস্তি পড়তে পারে।
বছরের সবচেয়ে গরম মাস এপ্রিল মাস। এই মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাড়াতাড়ি এই তাপপ্রবাহ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বুধবার( ৩ এপ্রিল ) তিন বিভাগে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার ( ২ এপ্রিল ) এর আগের দিনের চেয়ে তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। আর এতে মানুষের অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আর তা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলা ও ঈশ্বরদীতে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ গতকাল জানান, বুধবার তাপমাত্রা মঙ্গলবারের মতোই থাকতে পারে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে।
এপ্রিল মাসে দেশের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন দেশের ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। গতকাল এই ৪৪ স্টেশনের মধ্যে ৩৩টি স্টেশনেই তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে এ পরিস্থিতিতে মানুষের অস্বস্তি বাড়তে পারে।
এমন অবস্থার কারণ কী, জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা প্রচুর জলীয় বাষ্প এখন বাতাসে রয়ে গেছে। এ অবস্থায় মানুষের ঘাম হয় প্রচুর। তাপমাত্রা যা–ই থাকুক না কেন, গরমের অনুভব অনেক বেশি থাকে। তাই এই অস্বস্তি।
এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দুই বিভাগের দু-একটি স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তারা বলেছে, আজও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও এর প্রভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতি মাসের শুরুতে ওই মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেয়। এপ্রিল মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ মাসে এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখীর সম্ভাবনার কথাও বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে দু–একটি লঘুচাপ সৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপও নিতে পারে।
মন্তব্য করুন
দেশের সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগের দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার রাত সোয়া ১১টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সিলেট কিশোরগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৃষ্টি আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা আজকেও বাড়তে পারে। তবে বুধবার (১ মে) থেকে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার ( ২৮ এপ্রিল ) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৩১ মার্চ থেকে দেশে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এরমধ্যে কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড তাপে পুড়ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রচণ্ড গরমে ঘটছে হিটস্ট্রোকের ঘটনা।
আবহাওয়াবিদ জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ আবহাওয়াবিদ আরও জানান, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন