এই গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তিনি বলছেন, অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে, এমন জায়গায় না থাকা ভালো। বের হলে ছায়াযুক্ত স্থানে চলাফেরা করতে হবে। ঘরে-বাইরে আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে।
মঙ্গলবার ( ২ এপ্রিল ) ঢাকা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ প্রসঙ্গে ল্যাবএইডের ওয়েলনেস সেন্টারের পুষ্টিবিদ ফাহমিদা হাশেম বলেছিলেন, একজন নারীকে দিনে দুই থেকে আড়াই লিটার ও পুরুষদের আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। এখন যেহেতু রমজান মাস, তাই ইফতারের পর থেকে সাহ্রি পর্যন্ত সময়টিতে পানি পান করতে হবে।
প্রচণ্ড গরমে অনেক সময় শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য হারিয়ে যায়। তাই ডাবের পানি, আখের গুড়, লবণ ও লেবু দিয়ে ঘরে তৈরি শরবত ও স্যালাইন পান করতে হবে। অনেক সময় খাবার হজমেও সমস্যা হয়, পেট গরম হয়ে যায়। তাই বেলের শরবত, তরমুজের শরবত, টক দই দিয়ে মাঠা বা লাবাং তৈরি করে খাওয়া যায়। তবে কোনো শরবতেই অতিরিক্ত চিনি বা লবণ না দেওয়া। সাদা পানিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
এ ছাড়া শরীরে পানি ধরে রাখে এমন কিছু খাবারের ওপর জোর দেন পুষ্টিবিদ। যেমন ইসবগুল, চিয়া সিডস, তোকমাদানা, তরমুজ, নাশপাতি। আর সাহ্রিতে লাউ, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, পেঁপে, চালকুমড়া, পটোল, ধুন্দুল বা শসা দিয়ে হালকা মসলায় পাতলা ঝোলের তরকারি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা আজকেও বাড়তে পারে। তবে বুধবার (১ মে) থেকে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার ( ২৮ এপ্রিল ) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৩১ মার্চ থেকে দেশে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এরমধ্যে কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড তাপে পুড়ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রচণ্ড গরমে ঘটছে হিটস্ট্রোকের ঘটনা।
আবহাওয়াবিদ জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ আবহাওয়াবিদ আরও জানান, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাজধানীসহ সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ
পরিস্থিতিতে আরো ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট
জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক
বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৮ এপ্রিল) হতে
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি
পেতে পারে।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর
থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়।
হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন