মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তবে দুদিন নেই বৃষ্টির পূর্বাভাস। এরমধ্যে দেশের ১৪ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বিস্তার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে সারা দেশেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তবে দুদিন নেই বৃষ্টির পূর্বাভাস। যদিও এ সময় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
রাঙ্গামাটিতে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এ ছাড়া ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৬ এবং সর্বনিম্ন ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবান জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়াও সারা দেশে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ প্রবণতা শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এর পর থেকে রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ‘বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। এ সময়ে তাপমাত্রাও বাড়বে।’
তিনি আরও জানান, ‘আগামী ১৫-১৬ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হলেও তাপপ্রবাহ চলতে পারে।’
আগামী ১৪ এপ্রিল রোববার পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৈশাখের শুরুতেই তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে দেশব্যাপী।
পরে ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
এদিকে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান, পাবনা, ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কোথাও কোথাও প্রশমিত হতে পারে।
রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যস্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
দেশের সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগের দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার রাত সোয়া ১১টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সিলেট কিশোরগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৃষ্টি আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা আজকেও বাড়তে পারে। তবে বুধবার (১ মে) থেকে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার ( ২৮ এপ্রিল ) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৩১ মার্চ থেকে দেশে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এরমধ্যে কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড তাপে পুড়ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রচণ্ড গরমে ঘটছে হিটস্ট্রোকের ঘটনা।
আবহাওয়াবিদ জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ আবহাওয়াবিদ আরও জানান, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন