ইনসাইড ওয়েদার

চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এনিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।’


তাপমাত্রা   রেকর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার (০২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু।

আরও পড়ুন: আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি করল আবহাওয়া অফিস

এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: ঢাকায় সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


বায়দূষণ   তীব্র দাবদাহ   বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি করল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ২ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে সপ্তমবার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এই হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছিল।


হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

ঢাকায় সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৪৯ শতাংশ।

এরপর রাত ৮টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ওই সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ। এই বৃষ্টিপাত রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সংস্থাটি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে। ওই সময়ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। এই দুই ঘণ্টা ঢাকার আকাশের বেশিরভাগ অংশ মেঘলা থাকবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

টানা গরমে অসহ্য হয়ে পড়া সাধারণ মানুষ এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। কখন বৃষ্টি নামবে সেই প্রহর গুণছেন তারা। বিশেষ করে শহুরে এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

বর্তমানে, বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। এতে করে তাপজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।


ঢাকা   বৃষ্টি   রাজধানী   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

অবশেষে নামল স্বস্তির বৃষ্টি, বিভিন্ন জেলায় বজ্রাঘাতে নিহত ৫

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। আর বজ্রঘাতে পৃথক পৃথক স্থানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (১ মে) রাতেও কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় বজ্রাঘাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এসব জায়গায় অনেকে আহত হয়েছে বলেও জানা যাায়।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়ও বজ্রাঘাতে ৭ জন আহতও হয়। এঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি রাঙামাটি সদরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ির বাহার জান বেগম (৫৫) ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসর শিরিন আক্তার বলেন, ‘উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রাঘাতে বাহারজান বেগম (৫৫) নামে একজন নারী নিহত হয়েছেন।’ এছাড়াও মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রাঘাতে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়াছিন আরাফাত।

জানা গেছে, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। 

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই লবণচাষীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫) ওরাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান (২৫) ।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে দিদার লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে হঠাৎ বজ্রাঘাতে দগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

এছাড়াও বুধবার (১ মে) রাতে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, পীরগাছা ও মিঠাপুকুরে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাছাড়াও ফেনী, নেত্রকোণা সহ আরও বেশ কিছু জায়গা হতে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়ার খবর বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


বৃষ্টি   বজ্রপাত   বজ্রাঘাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চলতি মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত ৭৬ বছরে এমন অবস্থা হয়নি বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।

বাংলাদেশের ৭৬ বছরের ইতিহাসে গেল এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ।

তবে চলতি মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে। এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।

মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। এছাড়াও চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও এ বার্তায় বলা হয়েছে।


কালবৈশাখী ঝড়   আবহাওয়া অধিদপ্তর   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন