পৃথিবীর আবহাওয়ার চরিত্র ওলটপালট হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। অসময়ে
মরুভূমির বুকে হচ্ছে শীলাবৃষ্টি-বন্যা। নাতিশীতোষ্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত মানুষের প্রাণ। তপ্ত মরুর দেশগুলোতে যখন সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তখন বাংলাদেশে তাপমাত্রা ৪২
ডিগ্রিরও বেশি। এই তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ইতোমধ্যে বৈশাখের ২০ দিন পার হলেও স্বাভাবিক ঝড়বাদল বা কালবোশেখির
দেখা তেমন মেলেনি। অন্যদিকে গরম তীব্র থেকে অতিতীব্র আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন এলাকায়
বইছে মৃদু থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে
আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সাত দিন বন্ধ ঘোষণা
করা হয়েছে। হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে না যাওয়ার
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে বা হিটস্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে
বলে জানা গেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২
দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪০ দশমিক ৪
ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল দেশের ১২টি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা,
কুষ্টিয়ার কুমারখালী, বাগেরহাটের মোংলা, পাবনার ঈশ্বরদী ও রাজশাহীতে।
অন্যদিকে গতকাল মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। এর মধ্যে ওমানে ৩০য ডিগ্রি, কাতারে ৩২ ডিগ্রি, সিরিয়ায়
২৮ ডিগ্রি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৯ ডিগ্রি, বাহরাইনে ৩২ ডিগ্রি, ইরানে ২৬ ডিগ্রি এবং
সৌদি আরব, কুয়েত ও ইরাকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও মরুভূমির তপ্ত বালুর এই দেশগুলোতে
এক সময় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেও তাপমাত্রা রেকর্ড হতো। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ওমানে
৫৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই কুয়েতের সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৌদিতে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয় ২০১০ সালের ২২ জুন।
গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) স্মরণকালের রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নজিরবিহীন
বন্যায় তলিয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই শহর। বন্ধ হয়ে যায় বিশ্বের দ্বিতীয়
ব্যস্ততম বিমানবন্দর। ২৪ ঘণ্টার অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে সড়কে জমে যায় বুকসমান পানি। শপিং মলের
মধ্যে হাঁটুসমান পানি ঢুকে যায়। মরুর দেশে এপ্রিল মাসে এমন বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে বিস্ময়।
যেখানে আরব আমিরাতে বছরে ১৫০-২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, সেখানে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত
হয় ২০০ মিলিমিটার।
এদিকে বাংলাদেশে যখন তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, তখন দুবাইয়ে সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের বেলায় তাপমাত্রা নামছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দুবাই
সফররত বাংলাদেশের
একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা শামসাদ হুসাইন তানভীর ফেসবুকে লিখেছেন, সেখানে এসি
চালাতে হচ্ছে না। একটি ফ্যান চালালেও কমফোর্টার গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।
গবেষণা বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাপমাত্রার চরিত্র
বেশি বদলাচ্ছে। এ অঞ্চলে গত ২০০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙে গত বছরের এপ্রিল-মে মাসে।
থাইল্যান্ডের ইতিহাসে ১৫ এপ্রিল ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৪ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। ১ জুন ভিয়েতনামের ইতিহাসেও রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৪৩.৮ ডিগ্রি
সেলসিয়াস, যা ছিল ভিয়েতনামের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম জুন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি
দেশে এমন ঘটনা ঘটে। চলতি বছর তাপমাত্রার ওই রেকর্ডও ভাঙতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আবহাওয়া এমন বিরূপ
আচরণ করছে। খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিচ্ছে। আর্দ্র
এলাকাগুলো শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে, আবার শুষ্ক এলাকায় বৃষ্টিপাত বাড়ছে। কখনো শীতকাল দীর্ঘায়িত
হচ্ছে, কখনো ছোট হয়ে যাচ্ছে। কখনো অতিবৃষ্টিতে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কখনো খরায়
মাটি ফেটে যাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস বাড়ছে। জলবায়ু
পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হয়েও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ।
তবে অস্বস্তির খবর হলো, আবহাওয়াবিদরা বলছেনÑচলমান তাপপ্রবাহ আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত
চলবে। দেশের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও কমবে না তাপমাত্রা।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গরম বেশি অনুভূত হবে। মাসজুড়েই এ অবস্থা থাকবে।
সারা দেশের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে।
গতকাল আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ প্রতিবেদেনে তাপপ্রবাহের বিষয়ে
বলা হয়েছে- যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী ও পাবনা
জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ময়মনসিংহ,
মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙামাটি জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশে
ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; তা অব্যাহত
থাকবে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, ‘শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৬৪ সালে যশোরে ৪৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি
সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তিনি বলেন, শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা
হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল
৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধারণা করা হচ্ছে এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্পর্শ করতে
পারে রাজধানী ঢাকায়। গত বছর ১৭ এপ্রিল ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল’।
আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্যানুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট
সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি
থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
হিটস্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু:
পাবনা শহরে ৬০ বছর বয়সী সুকুমার দাস নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
অতিরিক্ত গরমে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে
জাকির হোসেন (৩৩) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে তিনি মাঠে গেলে হিটস্ট্রোকে
আক্রান্ত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানাধীন জেলখানা
রোডের জমিদার মাঠ থেকে সোহেল রানা (৪২) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তীব্র তাপদাহের
কারণে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। কয়েকদিন ধরে ভারসাম্যহীন
অবস্থায় কোনাবাড়ি এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন সোহেল।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল ৯ বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তার আগে ২০১৪ সালের মে চুয়াডাঙ্গায়
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে বছরের ১৬ এপ্রিল
আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭৫
সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস,
যা এখনো ভাঙেনি।
দাবদাহ জলবায়ু আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশে আবারও ২৪ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (০৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের এই সতর্কতা জারি
করা হয়।
এসময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে
যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা ওই সতর্ক বার্তায় বলা
হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের
আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রথমবারের
মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো
হয়।
হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
দেশের ৮ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া রোববারের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
এর আগে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেশে আবারও ২৪ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
কয়েক দশক আগেও রাজধানীতে পরিকল্পনার
মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ এলাকা ও জলাশয় ছিল। কিন্তু পরিবেশের ভারসাম্য
নষ্ট করে খাল-পুকুর ভরাট, দখল ও ধ্বংস, সবুজ এলাকা নষ্ট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণে
কংক্রিটের জঞ্জাল বেড়েছে। নগরীর ভবনের নকশায় পরিবেশ ও জলবায়ুর ধারণা বাদ দিয়ে কাচ নির্মিত
ভবন ও এসিনির্ভর ভবনের নকশা তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে নগরীতে কোনো ধরনের বনায়ন করা হয়নি।
নগর এলাকায় সরু রাস্তার পাশেই সুউচ্চ ভবন নির্মাণ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো কর্তৃক
জলাশয়-জলাধার-সবুজ এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে।
ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্পকারখানার
ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণে নগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি বায়ুদূষণে সৃষ্ট অতি
ক্ষুদ্র কণার কারণে নগরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার বাতাসে উত্তাপ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন
ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস। ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া থেকে তৈরি
হচ্ছে গ্যাস।
গতকাল শনিবার (০৪ মে) বাংলামোটরে প্ল্যানার্স
টাওয়ারের বিআইপি কনফারেন্স হলরুমে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) উদ্যোগে
‘ঢাকায় তাপদাহ: নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় ও করণীয়’ শীর্ষক পরিকল্পনা
সংলাপে এসব তথ্য উঠে আসে। সংলাপের শুরুতে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ
মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি
পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সবুজ
যেমন কমেছে, ঠিক তেমনি গত দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ,
যা নগর এলাকায় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে মারাত্মক হারে, বাড়ছে আরবান হিট আইল্যান্ডের
প্রভাব। ২০১৯ সালে করা বিআইপির গবেষণা অনুসারে, কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল
৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ৭৭ দশমিক ১৮ শতাংশ, আর ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে
৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে।
২০২৩ সালে বিআইপির প্রকাশিত আরেকটি
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে
দাঁড়িয়েছে; অন্যদিকে জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশে। যদিও নগর পরিকল্পনার
মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার
থাকার কথা। এরই পাশাপাশি ভবনের নকশায় প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলকে ব্যাহত করে দিয়ে
আবদ্ধ ঘর, কাচ নির্মিত ঘর ও এসি ব্যবহারকে মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের প্রবণতার কারণে
মহানগরীতে তাপমাত্রা বাড়ছে।
শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, বৈশ্বিক
উষ্ণায়নের কারণে পুরো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ থেকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির
কথা বলা হলেও ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।
যার মূল কারণ মূলত ঢাকা শহরের আশপাশের প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার এবং নগরায়ণের নামে
চালানো ধ্বংসযোগ্য।
তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান, জাতীয় অভিযোজন
পরিকল্পনা এবং অন্যান্য যেসব নীতিমালা রয়েছে, তার যথাযথ চর্চায় নিয়ে আসতে হবে এবং বৈশ্বিক
প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংযোগ রেখে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তা ছাড়া বিভিন্ন
ধরনের যেসব জলবায়ুকেন্দ্রিক পলিসি অথবা নীতিমালা রয়েছে, সবগুলোকে একসঙ্গে করে একটি
সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। তা ছাড়া যে কোনো পরিকল্পনা বা মেগা প্রকল্প
শুরু করার আগে রাজউকের মাস্টার প্ল্যান অনুসরণ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। সঙ্গে
এসব প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজে পরিকল্পনাবিদদের যুক্ত করতে হবে।
এরই মধ্যে ঢাকা শহরের বায়ুর মানদণ্ড
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত নিম্নমানের মন্তব্য করেন বিআইপির ন্যাশনাল অ্যান্ড
ইন্টারন্যাশনাল লিয়াজোঁ পরিকল্পনাবিদ আবু নাইম সোহাগ। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত নগরায়ণের
নামে এসব পার্ক উদ্যান এবং জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে, যা আমাদের ঢাকা শহরে তাপমাত্রা
বৃদ্ধিতে অন্যতম কারণ। তা ছাড়া ঢাকা শহরে এসি ব্যবহারে যে বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা গড়ে
উঠেছে, তা থেকে আমাদের যত দ্রুত সম্ভব সরে আসতে হবে।
বিআইপির বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ হোসনে
আরা বলেন, ঢাকার তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে এবং তাপ সহনশীল নগর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে
আরবান হিট মিটিগেশন ও ম্যানেজমেন্ট কৌশল নগর পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ বিবেচনায় আনতে হবে।
পরিকল্পনাবিদ রেদওয়ানুর রহমান বলেন,
ঢাকা শহরে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ জনগণ মূলত এসি ব্যবহার করে থাকে, যা আমাদের ঢাকা শহরের
তাপমাত্রা পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ পাশাপাশি আমাদের জলবায়ুর ক্ষতি সাধন করছে।
পরিকল্পনা সংলাপে ড. আদিল মুহাম্মদ
খান ঢাকা মহানগরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিআইপির পক্ষ থেকে ২৩ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন
করেন। তাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে, সবুজ ও জলাশয় এলাকা সংরক্ষণে যথাযথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন,
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, হারিয়ে যাওয়া খালবিল-জলাশয়-জলাভূমি ও সবুজ বাস্তবতার
নিরিখে সম্ভাব্যতা যাচাই সাপেক্ষে পুনরুদ্ধার, ধ্বংসকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
ব্যবস্থা করা, নগর পরিকল্পনা ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার মাধ্যমে সবুজ এলাকা, জলাশয়
ও কংক্রিট এলাকার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হওয়া, নগর এলাকার প্রান্তে সবুজ বেষ্টনী
প্রকল্প গ্রহণ, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জলাশয় ও জলাধার রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা
প্রণয়ন করা, সরু রাস্তার পাশে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ প্রবণতা বন্ধ করা, বেসরকারি আবাসিক
প্রকল্পের বিধিমালা সংশোধন করে সবুজ ও জলাশয় এলাকা, পার্ক-উদ্যান-খেলার মাঠ বাড়ানোর
যথাযথ উদ্যোগ, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রস্তাবিত জলকেন্দ্রিক পার্ক, ইকোপার্ক, পার্ক,
খেলার মাঠ তৈরিতে দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
ব্যবস্থা গ্রহণ করা, মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে নগর সংস্থাগুলোর
মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করা, এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত করতে প্রয়োজনীয়
নীতিমালা এবং নির্দেশনা প্রণয়ন করা, এনার্জি এফিশিয়েন্ট ভবন ও গ্রিন বিল্ডিং কোড প্রণয়ন
করা, ভবনের ডিজাইনে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচল ও এনার্জি এফিশিয়েন্সির বিষয়টিকে প্রাধান্য
দেওয়া, প্রান্তিক, নিম্ন আয় ও বস্তি এলাকার মানুষের আবাসন পরিকল্পনা, নগর এলাকায় সবুজ
ও জলাশয় রক্ষা করতে কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠন সৃষ্টি ও কমিউনিটিভিত্তিক নজরদারি বাড়ানো।
ওয়ার্ডভিত্তিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা, তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহ বিবেচনায় নিয়ে নগর
পরিকল্পনা ও ভবনের নকশা এবং নির্মাণ নিশ্চিত করতে পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী,
উদ্যানতত্ত্ববিদদের অন্তর্ভুক্তি ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা। এ
ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে উদ্ধার পেতে ঢাকা মহানগরীর পরিকল্পনা
এবং উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা-২০২২-এর সুপারিশগুলো
বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এজন্য এসব প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনাবিদসহ প্রয়োজনীয় কারিগরি জনবল
বৃদ্ধি করতে হবে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর তাপমাত্রা দুই দিন ধরে কমছে। আজ শনিবার (০৪ মে) ২৪ ঘণ্টার
ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বর্তমানে দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
আগামী সোমবার (০৬ মে) থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। কালবৈশাখীর এ সময়ে নিজেদের
সুরক্ষার জন্য সতর্কও থাকতে হবে। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। আগের দিন এ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (০৪ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া
পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। সেখানে বলা হয়, আজ সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর,
ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো
হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি
হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক
থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে শনিবার (০৪ মে) বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা
ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর, মৌলভীবাজার জেলাসহ
ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর
দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন,
সোমবার (৬ মে) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রঝড় শুরু হতে পারে। এমনিতেই এখন কিছু কিছু
স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে তা আরও বাড়তে পারে। আর এ অবস্থা ছয় দিন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, মে মাসে দেশের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা
হলো ৩২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি
পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও
কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এই মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে।
এপ্রিল মাসে দেশে টানা তাপপ্রবাহের রেকর্ড হয়। এপ্রিলের প্রথম দিন
থেকে শুরু করে পুরো মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত ৭৬ বছরে
এমনটি হয়নি।
মন্তব্য করুন
কয়েক দশক আগেও রাজধানীতে পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ এলাকা ও জলাশয় ছিল। কিন্তু পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে খাল-পুকুর ভরাট, দখল ও ধ্বংস, সবুজ এলাকা নষ্ট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণে কংক্রিটের জঞ্জাল বেড়েছে। নগরীর ভবনের নকশায় পরিবেশ ও জলবায়ুর ধারণা বাদ দিয়ে কাচ নির্মিত ভবন ও এসিনির্ভর ভবনের নকশা তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে নগরীতে কোনো ধরনের বনায়ন করা হয়নি। নগর এলাকায় সরু রাস্তার পাশেই সুউচ্চ ভবন নির্মাণ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো কর্তৃক জলাশয়-জলাধার-সবুজ এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে।
রাজধানীর তাপমাত্রা দুই দিন ধরে কমছে। আজ শনিবার (০৪ মে) ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বর্তমানে দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী সোমবার (০৬ মে) থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। কালবৈশাখীর এ সময়ে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সতর্কও থাকতে হবে। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।