নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ০৩ মে, ২০২১
এ মাসে একদিকে আকস্মিক বন্যা, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস আছে, আবার অন্যদিকে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত ও তীব্র দাবদাহও দেখা দিতে পারে। আগামী এক মাসের আবহাওয়ার আগাম পরিস্থিতি তুলে ধরতে আবহাওয়া অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শ ম সাজু জানান, প্রতিমাসের শুরুতে অধিদপ্তরের পরিচালকের সভাপতিত্বে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠক থেকেই চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরি করা হয়। এর সাথে আগের মাসের একটি পর্যালোচনাও থাকে।
অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন বলা হয়েছে- এপ্রিলে আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত পর্যালোচনাকালে পরিলক্ষিত হয় যে, সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম (-৭৯ শতাংশ) বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা ও পূবালী লঘুচাপের প্রভাব কম থাকায় স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি মে মাসেও সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা কম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বায়ুপ্রবাহের সংযোগে এবং বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে জলীয় বাষ্পের যোগান বাড়ায় ৪, ০৮, ১৬, ২১ ও ৩০ এপ্রিল সময়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া এবং বিজলী চমকানোসহ সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হয়। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠেছিল ২১ এপ্রিল ঢাকায়, ৮৩ কিমি।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর দেশের উত্তর ও মধ্য অঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
এ মাসে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রির ওপর) এবং সারা দেশে ১-২টি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ২ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট
জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে সপ্তমবার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এই
হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলেন, আজ সন্ধ্যা
৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত
থাকতে পারে।
এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা
বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানো
হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৪৯ শতাংশ।
এরপর রাত ৮টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ওই সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ। এই বৃষ্টিপাত রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সংস্থাটি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে। ওই সময়ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। এই দুই ঘণ্টা ঢাকার আকাশের বেশিরভাগ অংশ মেঘলা থাকবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।
টানা গরমে অসহ্য হয়ে পড়া সাধারণ মানুষ এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। কখন বৃষ্টি নামবে সেই প্রহর গুণছেন তারা। বিশেষ করে শহুরে এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
বর্তমানে, বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। এতে করে তাপজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
ঢাকা বৃষ্টি রাজধানী আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
তীব্র
তাপপ্রবাহের পর অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশের কয়েকটি জেলায়
বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। আর বজ্রঘাতে পৃথক
পৃথক স্থানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২ মে) সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এর
আগে গতকাল বুধবার (১ মে) রাতেও কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে,
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় বজ্রাঘাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এসব
জায়গায় অনেকে আহত হয়েছে বলেও জানা যাায়।
আজ
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়ও
বজ্রাঘাতে ৭ জন আহতও হয়। এঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি রাঙামাটি সদরের সিলেটি পাড়ার
বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ির বাহার জান বেগম (৫৫) ।
বাঘাইছড়ি
উপজেলা নির্বাহী অফিসর শিরিন আক্তার বলেন, ‘উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক
গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রাঘাতে বাহারজান বেগম (৫৫) নামে একজন নারী নিহত
হয়েছেন।’ এছাড়াও মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা
হয়েছে বলে তিনি জানান।
খাগড়াছড়ি
মাটিরাঙ্গায় বজ্রাঘাতে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে)
সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম
ইয়াছিন আরাফাত।
জানা
গেছে, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াতে যায় আরাফাত। এ
সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।
কক্সবাজারের
পেকুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই লবণচাষীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে
উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে।
নিহত
ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে
দিদারুল ইসলাম (৩৫) ওরাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান
(২৫) ।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে দিদার লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে হঠাৎ বজ্রাঘাতে দগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস
এছাড়াও বুধবার (১ মে) রাতে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, পীরগাছা ও মিঠাপুকুরে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাছাড়াও ফেনী, নেত্রকোণা সহ আরও বেশ কিছু জায়গা হতে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস
এদিকে,
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়ার খবর বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু
জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো
হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে
শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ
আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত
চলতি মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও
এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে
দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে
গেছে। গত ৭৬ বছরে এমন অবস্থা হয়নি বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশের ৭৬ বছরের ইতিহাসে গেল এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই দেশের
বিভিন্ন স্থানে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ।
তবে চলতি মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে। এই
মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায়
যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।
মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে
জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী
হতে পারে। এছাড়াও চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে
আবহাওয়া অফিস। মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও এ বার্তায়
বলা হয়েছে।
কালবৈশাখী ঝড় আবহাওয়া অধিদপ্তর তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
চিলতি বছরের এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ এতটাই অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে
যে বাংলাদেশের
সরকার বাধ্য হয়ে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।
বুধবার (০১ মে) বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানায়, আগের যেকোনো বছরের
এপ্রিল মাসের চেয়ে চলতি বছরের এপ্রিল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ
দীর্ঘ, ঘন ঘন ও আরও তীব্র হচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক এএফপিকে
বলেন, 'এ বছর এপ্রিলে দেশের ৮০ শতাংশ জায়গায় তাপপ্রবাহ ছিল। এর আগে আমরা এমন অবিচ্ছিন্ন
এবং বিস্তৃত তাপপ্রবাহ দেখিনি।'
তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে গরম ও তাপপ্রবাহের
বিস্তৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই এপ্রিল ছিল এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণ এপ্রিল মাস।
তিনি জানান, ২০১০ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর যাবত এপ্রিল মাসের দৈনিক সর্বোচ্চ
গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের
বিভিন্ন আবহাওয়া স্টেশনে এ তাপমাত্রার চেয়েও দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি দৈনিক
সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র সেলিম রায়হান এএফপিকে জানিয়েছেন,
গত ১০ দিনে হিট স্ট্রোকে অন্তত ১১ জন মারা গেছেন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েকদিন
৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে
বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।
মল্লিক জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে সাধারণত এপ্রিল মাসে
ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বছর হয়নি। এ কারণে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে গড়ে ১৩০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত
হয়। কিন্তু এই এপ্রিলে গড়ে এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।'
তিনি জানান, আগের যেকোনো বছরের চেয়ে এবারের এপ্রিলে এটিই সবচেয়ে
কম বৃষ্টিপাত কি না, সেটিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৪৯ শতাংশ। এরপর রাত ৮টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ওই সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ। এই বৃষ্টিপাত রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সংস্থাটি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে। ওই সময়ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। এই দুই ঘণ্টা ঢাকার আকাশের বেশিরভাগ অংশ মেঘলা থাকবে।