ইনসাইড ওয়েদার

দেশের কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৩৪ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। কখনো টিপটিপ, কখনো ইলশেগুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি চলছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এবং রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে​।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় আরও জানানো হয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌসুমি বাতাস উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বাতাস বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

ভয়ংকর এপ্রিল দেখল দেশ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রার দিন দেখেছে বাংলাদেশ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি পর্যবেক্ষণাগারের ১৫টিতেই তাপমাত্রা ছড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রির ওপর। সে হিসাবে দেশের ৩৪ শতাংশ এলাকায়ই গতকাল তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের চারটি জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। এপ্রিল মাসের মধ্যে গতকালই প্রথম দেশের সব অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। গরমে অসুস্থ হয়ে গতকাল সারা দেশে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতির মাত্রা তুলে ধরে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এত বেশি জায়গাজুড়ে দীর্ঘ এক মাসব্যাপী তাপপ্রবাহ নজিরবিহীন ঘটনা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। এছাড়াও টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগে ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘মঙ্গলবার সারা দেশে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭৬ বছরের মধ্যে এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহের এ রকম রেকর্ড ছিল না এত বিস্তৃত অঞ্চলে।

এর আগে ১৯৯২ সালে সর্বোচ্চ একটানা ৩০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল দেশের পশ্চিমাঞ্চলে। সুতরাং তাপপ্রবাহের এলাকা ও বিস্তৃতি বিবেচনায় এবং এপ্রিল মাস হিসেবে এ রকম দীর্ঘ এক মাসব্যাপী তাপপ্রবাহ এর আগে ছিল না।’

তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি তাপমাত্রা হলে তখন তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আজও এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০২ মে) থেকে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। শুক্রবার থেকে দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এদিন দেশের পূর্বাঞ্চলে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে। তারপর থেকে সারা দেশে ক্রমে বৃষ্টিপাতের এলাকা বেড়ে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি যশোরে

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা কয়েক দিন ধরে গরমের তালিকার ওপরের দিকে থাকা চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি।

এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদী ও রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪৩.২ ও ৪৩ ডিগ্রি। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯৭২ সালের মে মাসে রাজশাহীতে, ৪৫.১ ডিগ্রি। এ ছাড়া ১৯৬৪ সালের ১৫ এপ্রিল যশোরে ৪৪.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল।

চুয়াডাঙ্গায় ৪০, রাজশাহীতে ১৯ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

চুয়াডাঙ্গায় এপ্রিল মাসজুড়ে ছিল রেকর্ড তাপমাত্রা। ঝাঁজালো রোদ আর ভাপসা গরমের কষ্টে মাসজুড়ে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। সব শ্রেণির মানুষকেই তীব্র গরমে কষ্ট পেতে হয়েছে। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর ও কৃষি শ্রমিকের দুর্ভোগ ছিল সবচেয়ে বেশি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, ১৯৮৫ সালে জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গতকালই ছিল এখানে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে গত বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় এপ্রিল মাসে টানা ১৭ দিন তাপপ্রবাহের রেকর্ড ছিল। এ বছর গতকাল পর্যন্ত টানা তাপপ্রবাহ চলেছে ২০ দিন। পরিসংখান অনুযায়ী সম্প্রতি অন্তত ১০ বছরের মধ্যে এ জেলায় এত বেশি তাপপ্রবাহ দেখা যায়নি।

চুয়াডাঙ্গা শেখপাড়ার বাসিন্দা শরীফউদ্দিন একজন আইনজীবী। তিনি কৃষি কাজ করেন। শরীফউদ্দিন বলেন, ‘এবারের এপ্রিল মাসের তীব্র তাপপ্রবাহে শুধু মানুষ নয়, প্রাণিকুলকেও অবর্ণনীয় কষ্টে থাকতে হয়েছে। কৃষকরা পড়েছেন মহা বিড়ম্বনায়। রোদ-গরমের কারণে তাঁরা মাঠে গিয়ে কাজ করতে পারেননি। ধান কাটতে যাঁরা গেছেন তাঁরা খুব ভোরে মাঠে গিয়ে সকাল ১০টার মধ্যে কাজ শেষ করে ফিরে এসেছেন।’

তীব্র তাপপ্রবাহে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ও চিকিৎসা নিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ ছিল বেশি।

রাজশাহীর তাপমাত্রা এবার অনেক বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গতকাল বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আবহাওয়া অফিসের হিসাবে রাজশাহীতে এখন অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ মাত্র এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। পরদিন থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

গরমে আরো ৫ মৃত্যু

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরমে অসুস্থ হয়ে আরো অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদরে গতকাল গরমে অসুস্থ হয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার চর কিশোরগঞ্জের মোল্লার চরে ওমর আলী (৬৫) ও মুন্সীগঞ্জ সদর রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে আব্দুল বাতেন মাঝি (৬৮) মারা যান। একই দিনে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ নিয়ে চারজন মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শৈবাল বসাক বলেছেন, প্রচণ্ড গরমে দুই বৃদ্ধ জ্ঞান হারিয়ে মারা গেছেন। এটা হিট স্ট্রোক হতে পারে, তবে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

নাটোরে ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করার সময় গরমে অসুস্থ হয়ে মো. খাইরুল ইসলাম (৫০) নামের এক সৌদিপ্রবাসী মারা গেছেন। গতকাল নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের উজানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘সব কিছু শুনে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, খাইরুল ইসলাম হয়তো হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।’

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে গরমে অসুস্থ হয়ে জিল্লুর রহমান (৩৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান। গতকাল সকালে উপজেলার সলপ ইউনিয়নের চর তাড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার তালতলা গ্রামে গরমে মনছের আলী সরকার (৯৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

হিট স্ট্রোকে ৯ দিনে ১১ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২২ এপ্রিল থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনই পুরুষ। অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ‘মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ দুজন। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছে খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও মাদারীপুরে।’


এপ্রিল   তাপমাত্রা   রেকর্ড   আবহাওয়া অধিদপ্তর   হিটে স্ট্রোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত থেকে বুধবার (০১ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে দেশজুড়ে পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তীব্র গরমে জনজীবনে অস্বস্তি পৌঁছেছে চরমে। ভারি বৃষ্টিপাত ছাড়া গরমের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বুধবারও গরমের এই দাপট থাকতে পারে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগসহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে মঙ্গলবার দেশের প্রায় ১৭ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে উঠে গেছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আবহাওয়া অফিস   ঝড়   বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের তাপমাত্রা আগামীকাল বুধবার রাত থেকে কমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দেশে ৪-৫ মে থেকে প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি হতে পারে বলেও জনিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহ বুধবার রাত থেকে কমতে শুরু করবে। পরদিন দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে, যা অব্যাহত থাকতে পারে ১০ মে পর্যন্ত। সেদিনই কমবে সারাদেশে তাপপ্রবাহ। তবে, খুলনা-রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ কমতে কিছুটা সময় লাগবে।

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি।

এর আগে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর   তাপমাত্রা   বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

সকালের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগের দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর   ঝড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

৩ বিভাগে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার রাত সোয়া ১১টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


সিলেট   কিশোরগঞ্জ   ব্রাহ্মণবাড়িয়া   বৃষ্টি   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন