ইনসাইড ওয়েদার

আগামী তিন দিন বৃষ্টি বাড়তে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ২২ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

আগামী তিন দিনে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

ঢাকায় সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে সন্ধ্যার পর ঝমঝমিয়ে নামতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৪৯ শতাংশ।

এরপর রাত ৮টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ওই সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ। এই বৃষ্টিপাত রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সংস্থাটি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে। ওই সময়ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। এই দুই ঘণ্টা ঢাকার আকাশের বেশিরভাগ অংশ মেঘলা থাকবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

টানা গরমে অসহ্য হয়ে পড়া সাধারণ মানুষ এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। কখন বৃষ্টি নামবে সেই প্রহর গুণছেন তারা। বিশেষ করে শহুরে এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

বর্তমানে, বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। এতে করে তাপজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।


ঢাকা   বৃষ্টি   রাজধানী   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

অবশেষে নামল স্বস্তির বৃষ্টি, বিভিন্ন জেলায় বজ্রাঘাতে নিহত ৫

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। আর বজ্রঘাতে পৃথক পৃথক স্থানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (১ মে) রাতেও কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় বজ্রাঘাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এসব জায়গায় অনেকে আহত হয়েছে বলেও জানা যাায়।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়ও বজ্রাঘাতে ৭ জন আহতও হয়। এঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি রাঙামাটি সদরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ির বাহার জান বেগম (৫৫) ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসর শিরিন আক্তার বলেন, ‘উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রাঘাতে বাহারজান বেগম (৫৫) নামে একজন নারী নিহত হয়েছেন।’ এছাড়াও মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রাঘাতে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়াছিন আরাফাত।

জানা গেছে, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। 

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই লবণচাষীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫) ওরাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান (২৫) ।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে দিদার লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে হঠাৎ বজ্রাঘাতে দগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

এছাড়াও বুধবার (১ মে) রাতে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, পীরগাছা ও মিঠাপুকুরে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাছাড়াও ফেনী, নেত্রকোণা সহ আরও বেশ কিছু জায়গা হতে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়ার খবর বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


বৃষ্টি   বজ্রপাত   বজ্রাঘাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চলতি মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত ৭৬ বছরে এমন অবস্থা হয়নি বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।

বাংলাদেশের ৭৬ বছরের ইতিহাসে গেল এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ।

তবে চলতি মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে। এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।

মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। এছাড়াও চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও এ বার্তায় বলা হয়েছে।


কালবৈশাখী ঝড়   আবহাওয়া অধিদপ্তর   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

বাংলাদেশের রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল এপ্রিল মাস

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চিলতি বছরের এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ এতটাই অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যে বাংলাদেশের সরকার বাধ্য হয়ে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।

বুধবার (০১ মে) বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানায়, আগের যেকোনো বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে চলতি বছরের এপ্রিল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ।

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ দীর্ঘ, ঘন ঘন ও আরও তীব্র হচ্ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক এএফপিকে বলেন, 'এ বছর এপ্রিলে দেশের ৮০ শতাংশ জায়গায় তাপপ্রবাহ ছিল। এর আগে আমরা এমন অবিচ্ছিন্ন এবং বিস্তৃত তাপপ্রবাহ দেখিনি।'

তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে গরম ও তাপপ্রবাহের বিস্তৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই এপ্রিল ছিল এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণ এপ্রিল মাস।

তিনি জানান, ২০১০ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর যাবত এপ্রিল মাসের দৈনিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের বিভিন্ন আবহাওয়া স্টেশনে এ তাপমাত্রার চেয়েও দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি দৈনিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র সেলিম রায়হান এএফপিকে জানিয়েছেন, গত ১০ দিনে হিট স্ট্রোকে অন্তত ১১ জন মারা গেছেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েকদিন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।

মল্লিক জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে সাধারণত এপ্রিল মাসে ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বছর হয়নি। এ কারণে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে গড়ে ১৩০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু এই এপ্রিলে গড়ে এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।'

তিনি জানান, আগের যেকোনো বছরের চেয়ে এবারের এপ্রিলে এটিই সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত কি না, সেটিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। 


আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

গরমের পর অভিশাপ হয়ে আসছে তীব্র বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘এল নিনো’র প্রভাবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গেল বছর থেকেই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় অঞ্চলগুলোর মানুষ। একপ্রকার অভিশাপ হয়েই দেখা দিয়েছে চলমান তাপ প্রবাহের তীব্রতা।

জলবায়ু বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রীষ্মের শেষে বর্ষাকাল আসলেও এতে কোনো সুখবর থাকছে না। তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক তথা সাসকোফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। মূলত আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা লা নিনার কারণে এ বছর এমনটা দেখা যাবে।

সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। তবে ভিন্নতা দেখা যাবে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে। সেসব জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে এ বছর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে।

সাসকোফ জানিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বিরাজমান আছে। বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় এল নিনো বিরাজমান থাকবে। শেষ অংশে শুরু হবে লা নিনা। এল নিনোর কারণে অতিরিক্ত তাপ প্রবাহ এবং লা নিনার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

‘এল নিনো’ আর ‘লা নিনা হলো’ স্প্যানিশ শব্দ। যার অর্থ হলো ‘ছোট্ট ছেলে’ আর অন্যটির অর্থ হলো ‘ছোট্ট মেয়ে’। দুজনই দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের বাসিন্দা। প্রায় ১০০ বছর আগে সেখানকার জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ওদের দেখতে পায়। সেই থেকেই তাদের এমন নামকরণ। এল নিনো হলো শুষ্ক মৌসুম, যখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম বৃষ্টি হয় এবং বন্যাও কম হয়। এ সময় তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। আর লা নিনার সময় বেশি বৃষ্টি আর বেশি বন্যা দেখা যায়। তাপমাত্রা কমে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে।

মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করেই এর সংজ্ঞা। এখানে তাপমাত্রার একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা এই সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় ‘লা নিনা’ আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।


তীব্র গরম   বৃষ্টি   জলবায়ু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন