এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার পাকস্থলী দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পেরেছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া তাকে দু’ব্যাগ রক্ত দেওয়ার ফলে তার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বেড়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এখনো সিসিইউতে বেগম খালেদা জিয়া যেখানে আছেন, সেই এলাকায় শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং পূর্ণকালীন নার্স ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে কঠোর নিরাপত্তা আরোপ করেছেন।
গত বুধবার বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অবনতি হয়েছিল। তিনি রক্তবমি করেছিলেন এবং তার পায়খানা দিয়েও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, যেটা লিভার সিরোসিসের একটি লক্ষণ। কিন্তু চিকিৎসকরা গত ২৪ ঘণ্টায় তার পায়খানায় রক্ত প্রবাহ বন্ধ করেছে। খালেদা জিয়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বমিও করেননি। এখন তিনি চোখ মেলে তাকাচ্ছেন।
চিকিৎসকদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাকিটা আল্লাহর হাতে। এভারকেয়ার হাসপাতালের সূত্রগুলো বলছে, বেগম খালেদা জিয়াকে এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য যে বিষয়গুলো দরকার, সে বিষয়গুলো এখনো দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ তার নানা রকম শারীরিক জটিলতা আছে। এই রকম জটিলতার রোগীকে সার্জারি বা অন্যকিছু করা সম্ভব নয়।
বেগম জিয়াকে বিদেশে নিলে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হবে কিনা প্রশ্নের জবাবে এভারকেয়ার হাসপাতালের সূত্রগুলো বলছে, বেগম খালেদা জিয়াকে এখন এই অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার কোনো সম্ভাবনাই নাই। এতে তার অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন সরকার পতন বিটিভি বিমানবন্দর
মন্তব্য করুন
মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান দুর্নীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য লেবার পার্টি বিএনপি তারেক জিয়া অভিবাসী লেবার সরকার কিয়ার স্টারমার
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়া রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে আসলে সরকার পতনের একটি আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল এবং এই আন্দোলন দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে পরিকল্পিত হয়েছিল। সরকার পতনের জন্য সারা দেশে তাণ্ডব সৃষ্টি, নাশকতা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল করার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এ কারণে ঢাকায় প্রায় পাঁচ লাখ ছাত্রশিবির, ছাত্রদল এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকর ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রধানমন্ত্রীর ফাই-ফরমাস করছেন। বাজার হাট করে দিতেন এবং জাহাঙ্গীরের (প্রধানমন্ত্রীর আরেক চাকর) চেয়ে এক ধাপ নিচের হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হতো। সেই মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানও এখন ১০০ কোটি টাকার মালিক। আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করছে। তবে কুমিল্লা নিবাসী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এখন দেশে নেই। তিনি বিদেশে আছেন।
যুক্তরাজ্যে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই সেই দেশের আভ্যন্তরীণ নীতি, পররাষ্ট্রনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার। স্টারমার সরকার অভিবাসী নীতির বিপক্ষে নয়। তবে অভিবাসীদের কিছু সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ থাকা উচিত বলে তারা মনে করছেন। স্টারমার সরকার মনে করছে যে, অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে যা খুশি তা করলে যেমন পররাষ্ট্রনীতির ওপর তার প্রভাব পড়ছে, অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এ কারণেই লেবার সরকার তার প্রথম দিকে যে সমস্ত নীতি এবং উদ্যোগগুলো গ্রহণ করতে যাচ্ছে, তার মধ্যে একটি হল অভিবাসীদের কার্যক্রম সীমিতকরণ।