ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১০০ বছরে দেশগুলো ‘হারিয়ে’ গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ২২ জুন, ২০১৮


Thumbnail

শত বছর আগেও যে দেশগুলো সগৌরবে সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল, আজ সেগুলোর অস্তিত্ব বিলীন। এর মাঝে যেমন জন্ম নিয়েছে নতুন রাষ্ট্র বা নাম পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি হারিয়ে গেছে কিছু দেশ। বিশ্ব মানচিত্র ও এখন আগের তুলনায় ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। আসুন তাহলে আজ জেনে নেওয়া যাক গত ১০০ বছরে যে দেশগুলো হারিয়ে গেছে, সে দেশগুলো সম্পর্কে:

যুগোস্লাভিয়া: ১৯১৮ সালে দক্ষিণ ইউরোপের এই দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সার্বিয়া, মন্টিনেগ্রো, স্লোভেনিয়া, মেসিডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা মিলে এই নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে বেশি অগ্রসর হয়। পর পর চারটি যুদ্ধে ক্রোয়েশিয়া, মেসিডোনিয়া, বসনিয়া ও স্লোভেনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। সার্বিয়া ও মন্টিনেগ্রো পরবর্তীতে ‘ফেডারেল রিপাবলিক অফ যুগোস্লাভিয়া’ নাম নিয়ে টিকে থাকলেও ২০০৬ সালে মন্টিনেগ্রো স্বাধীনতা লাভ করলে যুগোস্লাভিয়া নামটি চিরতরে হারিয়ে যায়।

তিব্বত: হিমালয়ের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত নিষিদ্ধ নগরী তিব্বত। তিব্বত নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। শত শত বছরের পুরনো এই দেশটিতে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। ১৯১২ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত গণচীনের অন্তর্ভুক্ত থাকাকালীন তিব্বত একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল। নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত দালাইলামা ছিলেন দেশটির নেতা যিনি বর্তমানে ভারতে নির্বাসনে রয়েছেন। তবে এখনো দেশটিকে স্বাধীন করার চেষ্টা চলছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার না থাকা, দুর্গম পরিবেশ ও পর্যটক প্রবেশে বাঁধা থাকার কারণে দেশটির অনেক তথ্যই সকলের কাছে অজানা।

আবিসিনিয়া: সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য পূরণে ইতালি আবিসিনিয়া দখল করে। ইতালিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রীর বাজার, মুসলমানদের ওপর আধিপত্য বিস্তার প্রভৃতি কারণে ইতালি ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা বা আবিসিনিয়া দখল করে। ১৯৩৫ সালের ৩রা অক্টোবর ইতালি ইথিওপিয়ার ওপর আক্রমণ করে। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে আবিসিনিয়ার সম্রাট হেইলে সেলাসি দেশ ত্যাগ করেন। ১৯৩৬ ইতালি সম্পূর্ণভাবে দখল আবিসিনিয়া দখল করে নেয়।

চেকোস্লোভাকিয়া: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে চেকোস্লোভাকিয়ার অস্তিত্ব ছিল। ১৯৯২ সালে ভেলভেট বিপ্লবে দেশটি ভেঙ্গে দুটি দেশ ভিন্ন রাষ্ট্র গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এরপর ১৯৯৩ সালে দেশটি বিভক্ত হয়ে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠন করে। এর ফলে বিশ্ব মানচিত্রের বুক থেকে চেকোস্লোভাকিয়া নামটি চিরতরে হারিয়ে যায়।

পার্সিয়া: দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত দেশ পার্সিয়া ছিল ইতিহাসের প্রাচীনতম সভ্যতার একটি। গ্রিকরা মুসলিম প্রধান এই দেশটিকে পার্সিস বলে ডাকত, তবে ইউরোপীয় ভাষায় এর নাম হয় ‘পার্সিয়া’। ১৯৩৫ সালে দেশটির তৎকালীন শাসকের অনুরোধে পার্সিয়া নাম পরিবর্তন করে দেশটির নাম রাখা হয় ‘ইরান’। বর্তমানে সারা বিশ্বে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বৃহত্তম ভাণ্ডার হিসেবে ‘ইরান’ নামটি সবার কাছে সুপরিচিত। বলা হয়, পার্সিয়ান সাম্রাজ্যের পতনের মাধ্যমেই ইরানে আধুনিক ইসলামী প্রজাতন্ত্রের অভ্যুদয় ঘটে।

নিউট্রাল মরেসনেট:  প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ই হারিয়ে যাওয়া দেশ নিউট্রাল মরেসনেট এর কথা অনেকেরই অজানা। অথচ ১৮১৬ সাল থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত এ দেশটির অস্তিত্ব ছিল। এমনকি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেশটির নিজস্ব পতাকা, মুদ্রা ও ভাষা ছিল। তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি বেলজিয়ামের অধিভুক্ত হয়ে যায়। তবে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি দেশটি দখল করে নেয়। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত দেশটি জার্মানির নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ১৯৪৪ সালে দেশটি আবার বেলজিয়ামের দখলে চলে যায় এবং মরেসনেট নামটি পৃথিবী থেকে মুছে যায়।

সিলন: ভারতের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ১৯৭২ সালের আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার পূর্ব নাম ছিল সিলন। প্রাচীনকাল থেকেই এই দ্বীপটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান নামে সুপরিচিত। বণিকদের কাছে দ্বীপটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল এবং ১৭৯৬ সালে দ্বীপটি ব্রিটিশদের অধীনে চলে যায়। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকা অবস্থায়ই ১৯৪৮ সালে দেশটি ‘সিলন’ নামেই স্বাধীনতা লাভ করে। পরে, ১৯৭২ সালে এই নাম পরিবর্তিত হয়ে শ্রীলঙ্কা নামধারণ করে সারা বিশ্বে পরিচিতি পায়।

সায়াম: ১৮৫১ সাল থেকে ১৯৩৯ সালের আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের পূর্ব নাম ছিল সায়াম বা শ্যামদেশ। এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। প্রাচীন আমলেই সে সময়কার রাজা দেশটির আধুনিকায়নে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করে। তাই, সায়ামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পিতা হিসেবে গণ্য করা হতো সে সময়ের রাজা মংকুটকে। তবে সে সময় দেশটি কোন ইউরোপীয় বা বিদেশী শক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল না। ১৯৪৯ সাল থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ড নামকরণ করা হলে সায়াম নামটি মুছে যায়।

প্রুশিয়া: প্রুশিয়া নামক ঐতিহাসিক রাষ্ট্রটি জার্মানের ব্রান্ডেনবার্গ অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। জার্মানি সৃষ্টির পূর্বে যে কয়েকটি ছোট বড় রাষ্ট্রের সমন্বয় ছিল, তাঁর মধ্যে প্রুশিয়া বৃহত্তম। উনবিংশ শতাব্দীর দিকে ইউরোপের একটি বৃহৎ শক্তির নাম ছিল প্রুশিয়া। পরবর্তীতে জার্মানির অধিভুক্ত হলে এটি জার্মানিকে প্রভাবান্বিত করে ও ঐতিহাসিক প্রুশিয়ান সাম্রাজ্য হারিয়ে যায় চিরতরে। ১৯৩৪ সালে নাজিদের মাধ্যমে দেশটি সভ্যতা থেকে পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

অটোম্যান এম্পায়ার: অটোম্যান এম্পায়ারকে উসমানীয় সাম্রাজ্য ও বলা হত । নিবেদিত ও যোগ্য সব শাসকরা এই সাম্রাজ্য শাসন করে ব্যাপক উন্নতি সাধন করে। বিশেষ করে ১৫শ  ও ১৬শ শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্য ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে। রাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে একে রোমানীয় সাম্রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হতো। ১৯২৪ সালে তুর্কি দেশটি অধিগ্রহণ করলে অটোম্যান এম্পায়ার পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

সাহারা থান্ডারকে এই প্রচেষ্টার সমর্থনে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তদারকিকারী প্রধান ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সাহারা থান্ডারকে সমর্থন করার জন্য ভারত-ভিত্তিক তিনটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হল জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট। শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্ক জাকারবার্গকে টপকে তৃতীয় শীর্ষ ধনীর আসনে ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্ক জাকারবার্গ টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনীর অবস্থানে উঠে এসেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফলে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনীর জায়গা দখল করতে চলেছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার শেয়ার বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ১১ শতাংশ কমেছে। প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে নিজেদের বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে কমতে পারে এমন পূর্বাভাসের পর এ পতন হয়েছে।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচক অনুসারে, মেটার শেয়ার পতনের ফলে মার্ক জাকারবার্গের সম্পত্তি কমে এখন ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে ইলন মাস্কের সম্পদ ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৮৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে এ দুই বিলিয়নিয়ার নিজেদের অবস্থান থেকে ছিটকে যান। গত তিন মাসে টেসলার গাড়ি সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো জাকারবার্গ মাস্ককে ছাড়িয়ে যান।

এর আগে ফোর্বস প্রকাশিত ২০২৪ সালের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিয়েছেন ফ্রান্সের বিলাসবহুল পোশাক ও দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লুই ভুতোঁ মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। তার সর্বমোট সম্পদমূল্য ২৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস। গত বছরের তুলনায় এবার তার সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তার মোট সম্পদমূল্য ১৯৪ বিলিয়ন ডলার।

১৭৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গতবার সম্পদমূল্য ছিল ৬৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।


মার্ক জাকারবার্গ   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন অংশীদার হওয়া উচিত, শত্রু নয়: শি জিনপিং

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শত্রুতা নয় বরং অংশীদার হওয়া উচিত। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেইজিং সফরের দ্বিতীয় দিনে শি ও ব্লিঙ্কেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি 

বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনের সঙ্গে রাশিয়া, তাইওয়ান ও বাণিজ্য নিয়ে নানা পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। 

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শি বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রচেষ্টা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। 

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বেইজিংয়ের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র আরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাবে। যখন এই মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে, তখন সম্পর্ক আরও টেকসই, উন্নত ও অগ্রগামী হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং হি বলেন, তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমা লঙ্ঘন করা উচিত হবে না।

ব্লিঙ্কেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করেছেন। তাদের আলোচনা নিবিড় ও গঠনমূলক ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র   চীন   শি জিনপিং   অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে ভোট দিতে পারলেন না আসামের বিপুলসংখ্যক বাঙালি মুসলমান

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে আজ শুক্রবার। এই পর্বে মোট ৮৮টি রাজ্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে। শেষ হয় সন্ধ্যা ৬ টায়। দ্বিতীয় দফায় আজ ভোট হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকায়।

জানা যায়, গোটা বরাক উপত্যকায় মুসলমান জনসংখ্যা ৫১ শতাংশ। এর মধ্যে করিমগঞ্জে ৬০, হাইলাকান্দিতে ৫৬ এবং কাছাড়ে ৩৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান ২০১১ সালের আদমশুমারির হিসাব থেকে পাওয়া। বরাক উপত্যকায় বর্তমানে মুসলমান জনসংখ্যা আরও অনেকটাই বেশি বলে ধারণা করা হয়। এই ভোট ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পাওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই। আর সেই কারণেই আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় তারা যাতে ভোট দিতে না পারেন, সে জন্য ভারতীয় রেল একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আসামের নাগরিক সমাজের একাংশ এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল মুসলমান প্রধান অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) অভিযোগ করেছে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মূলত মুসলমান পরিযায়ী শ্রমিক বরাক উপত্যকায় নিজেদের বাড়িতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ একাধিক ট্রেন বাতিল করে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করছে, যাতে তাঁরা ভোট দিতে না পারেন।

আসাম রাজ্যে ১৪ আসনের মধ্যে আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় পাঁচ আসনে ভোট হচ্ছে। এই পাঁচ আসনের মধ্যে বরাকের তিনটি আসন ২০১৯ সালে করিমগঞ্জ, শিলচর এবং স্বশাসিত পরিষদ বিজেপি পেয়েছিল। এই তিন আসন পাওয়ার সম্ভাবনা এবার প্রায় নেই বলেই কিছুদিন আগে আসামে বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা মন্তব্য করেছেন।

যেসব ট্রেন বাতিল করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—আগরতলা–গুয়াহাটি স্পেশাল, গুয়াহাটি–শিলচর এক্সপ্রেস, শিয়ালদা–আগরতলা–কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ফিরোজপুর–আগরতলা এবং কুরলা/মুম্বাই আগরতলা এক্সপ্রেস। শিলচর এবং আগরতলা যাওয়ার আরও সাতটি ট্রেন ‘টার্মিনেট’ বা স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ ভারত থেকে শিলচর ও আগরতলায় যাওয়ার আরও দুটি ট্রেন এবং গুয়াহাটি শিলচর এক্সপ্রেসের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।

ট্রেন বাতিলের এ ঘটনায় অন্যতম প্রধান বিরোধী দল এআইইউডিএফ নিন্দা জানিয়েছে। দলটির এক মুখপাত্র বলেছেন, তাদের বিরাট সংখ্যক ভোটার আসতে পারছেন না। এই বিরাট সংখ্যক ভোট আটকে আসামে গণতন্ত্রকে গলা টিপে মারছে বিজেপি।

তবে আটকে থাকা ভোটারদের তাদের জেলায় এনে ভোট দেওয়ানোর ব্যবস্থা কিন্তু বিরোধী দল কংগ্রেস বা এআইইউডিএফ এখনো চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক রকিবুজ জামান।

অবশ্য ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রেন বাতিল ও স্থগিতের নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে লামডিং ডিভিশনে (মধ্য–পূর্ব আসাম) জাতিঙ্গা লামপুর ও নতুন হারঙ্গাজাও স্টেশনের মধ্যে একটি ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। রেলের কর্মী ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবিলম্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচন   আসাম   বাঙালি মুসলমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন