ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান কেন ব্যর্থ রাষ্ট্র?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

একটি দেশ স্বাধীনতা পেলেই কি স্বাধীন হতে পারে। স্বাধীনতার সাত দশক পর পাকিস্তানের কোনো বোঝসম্পন্ন নাগরিক এমন প্রশ্ন তুলতেই পারেন। কারণ আজ স্বাধীনতার ৭১ তম বার্ষিকীতেও বিশ্বে ব্যর্থতম রাষ্ট্রের তকমা লাগানো পাকিস্তানের গায়ে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর সাত দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো অস্তিত্বের সংকটে পাকিস্তান। বর্তমানে বিশ্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রতীক এই দেশ। কেউ কেউ আবার একে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের আখ্যাও দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেন এ অবস্থা তাদের? স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও কেন উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই পাকিস্তানের?

পাকিস্তানের মাত্র একদিন পর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয় ভারত, অথচ ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম অর্থনৈতিক পরাশক্তি। সেখানে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশের তালিকায় পাকিস্তানকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। কারণ স্বাধীন হওয়ার পরে ভারত অত্যন্ত দ্রুত গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে। পাকিস্তান সে পথ নেয়নি। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫২ সালেই সাধারণ নির্বাচনে যায় ভারত। নতুন সরকার গঠিত হয়। কিন্তু পাকিস্তান স্বাধীনতার ২৩ বছর পর ১৯৭০ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের মুখ দেখে। দীর্ঘ দিন গণতন্ত্রের পথে না হাঁটায় স্বাধীনতার পর প্রায় দু’দশক ধরে পাকিস্তানে রাষ্ট্রক্ষমতার হাতবদল হয়েছে কোনও নির্দিষ্ট নীতি না মেনে। রাষ্ট্রচালনায় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অযথা দেরি হওয়ায় সেনাবাহিনী শাসন ক্ষমতায় নাক গলানোর সুযোগ পেয়ে যায়।

বিশ্লেষকরা বলেন, পাকিস্তানের ব্যর্থতার মূল কারণ হলো, এটি কোনো আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র নয়। যেকোন দেশ, প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিরও সাফল্য পেতে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেটি হলো নীতি বা আদর্শ। এই বিষয়টিই নেই পাকিস্তানে।

ইসলামের ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তানের অভ্যুদয় ঘটলেও এর বিভিন্ন কর্মকান্ডই ইসলাম পরিপন্থী। বিশ্লেষকরা এমনও বলে থাকেন যে, প্রতারণা-প্রবঞ্চনার মাধ্যমেই জন্ম হয়েছে দেশটির। এটা গণতান্ত্রিক নাকি একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র, এ বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যখন যিনি ক্ষমতায় আসেন, তিনিই তার খেয়াল খুশিমতো পাকিস্তান পরিচালনা করেন।

জাতিগত দমন-পীড়নও পাকিস্তানের ব্যর্থতার বড় কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দেশটির শাসকগণ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ করতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান একের পর এক ব্যর্থতার রেকর্ড গড়ে চলেছে।

পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠী এখনও বিভিন্নভাবে বৈষম্যমূলক আচরণের স্বীকার হচ্ছে। দেশটির নারীরাও প্রতিটি ক্ষেত্রে বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছে। আর নারী জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে কোন দেশই সফল হতে পারেনি।

সামরিক শাসন পাকিস্তানের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। স্বাধীনতার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই সেনাবাহিনী দেশটিতে নেতৃত্বে ছিল। বলা হয়ে থাকে, দেশটির কোন সরকারই সেনাবাহিনীর ইচ্ছা ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচিত সরকারই তাঁদের মেয়াদ শেষ করতে পারেনি পাকিস্তানে। মেয়াদ পূর্ন হওয়ার আগেই বিভিন্ন কারণে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের আরেকটি বড় সমস্যা হলো জঙ্গিবাদ। দেশটির সেনাবাহিনীই জঙ্গিদের লালন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বের সভ্য দেশগুলো যখন নিজেদের ভূখণ্ড জঙ্গিমুক্ত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, পাকিস্তান সেখানে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। শীর্ষ জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকেও পাওয়া গিয়েছিল দেশটির আবোটাবাদ এলাকায়। যার পাশেই ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঘাঁটি।

চলতি সপ্তাহেই সাবেক ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক এ ইনসাফের প্রধান ইমরান খান দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। এর আগে নওয়াজ শরীফ ও তাঁর দল যখন শাসন ক্ষমতায় ছিল তাঁদের মতো দেশ চালিয়েছে। আবার দুর্নীতিবাজ বলে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ভুট্টো পরিবার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন একভাবে পাকিস্তান চলেছে। এবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান কীভাবে দেশ চালায় সেটিই এখন দেখার বিষয়। তবে এরই মধ্যে ইমরানের বিরুদ্ধেও নানা কথা শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর হাতে বর্গা দেওয়ার মুচলেকা দিয়েই ইমরান ক্ষমতা পাচ্ছেন বলেও প্রচার আছে। এমন মানুষ পাকিস্তানকে কতোটা মানুষ করতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।


বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচন: মোদির ম্যাজিক কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ ধাপে। আজ দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল জানা যাবে। বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। 

নির্বাচনের আগে ভারতের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে তার সবগুলোতেই নরেন্দ্র মোদির বিপুল বিজয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের ভোটপ্রাপ্তি সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের ভোট প্রাপ্তির হার সবচেয়ে বেশি হলে ৪২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হলে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আসনের হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অবস্থান ৪১১ থেকে ৩৭৩ এর মধ্যে এবং ইন্ডিয়া জোট ১৫৫ থেকে ১০৫ এর মধ্যে উঠানামা করবে বলে বিভিন্ন জরিপের হিসেবে বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর অনেকেই ভারতের এই জরিপ শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। 

অনেকেই মনে করছেন যে, এই নির্বাচনে কতগুলি ইস্যু বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য ভারতের মুসলমান ভোটারদেরকে একাট্টা করেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি তা বুঝতে পেরেছে। আর এ কারণে এবার মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে-এমন অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ট্রেন বন্ধ রেখে মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

নরেন্দ্র মোদি ইন্ডিয়াকে যে ক্ষমতাবান এবং উন্নয়নের রোল মডেলের নীতি নিয়ে টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন সেটি এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের নাজুক পরিস্থিতি নরেন্দ্র মোদি ম্যাজিককে ফিকে করে দিয়েছে। অনেকেই এই নির্বাচনে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। 

অনেকে মনে করছেন যে, ২০০৪ সালে ভারতের চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ম্যাজিক দেখিয়েছিল। সে সময় বিজেপির ইন্ডিয়ার সাইনিং স্লোগানের আড়ালে সকলে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপি জোটের। কিন্তু সেই নির্বাচনে সকল জরিপকে মিথ্যে প্রমাণ করে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছিল। এবার নির্বাচনে তেমন কোন ফলাফল হবে কিনা তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

তবে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছেন না। বরং তারা মনে করছেন যে, ভারতে শেষ পর্যন্ত বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটই বিজয়ী হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি এবং তার নেতৃত্বে জোট যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট আশা করেছিল সে সংখ্যাগরিষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। তবে এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট বিজয়ী হলেও নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে হয়ে যাকে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি   কংগ্রেস   বিজেপি   ইন্ডিয়া জোট   এনডিএ জোট   লোকসভা ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

সাহারা থান্ডারকে এই প্রচেষ্টার সমর্থনে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তদারকিকারী প্রধান ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সাহারা থান্ডারকে সমর্থন করার জন্য ভারত-ভিত্তিক তিনটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হল জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট। শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্ক জাকারবার্গকে টপকে তৃতীয় শীর্ষ ধনীর আসনে ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্ক জাকারবার্গ টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনীর অবস্থানে উঠে এসেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফলে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনীর জায়গা দখল করতে চলেছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার শেয়ার বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ১১ শতাংশ কমেছে। প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে নিজেদের বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে কমতে পারে এমন পূর্বাভাসের পর এ পতন হয়েছে।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচক অনুসারে, মেটার শেয়ার পতনের ফলে মার্ক জাকারবার্গের সম্পত্তি কমে এখন ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে ইলন মাস্কের সম্পদ ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৮৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে এ দুই বিলিয়নিয়ার নিজেদের অবস্থান থেকে ছিটকে যান। গত তিন মাসে টেসলার গাড়ি সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো জাকারবার্গ মাস্ককে ছাড়িয়ে যান।

এর আগে ফোর্বস প্রকাশিত ২০২৪ সালের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিয়েছেন ফ্রান্সের বিলাসবহুল পোশাক ও দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লুই ভুতোঁ মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। তার সর্বমোট সম্পদমূল্য ২৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস। গত বছরের তুলনায় এবার তার সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তার মোট সম্পদমূল্য ১৯৪ বিলিয়ন ডলার।

১৭৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গতবার সম্পদমূল্য ছিল ৬৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।


মার্ক জাকারবার্গ   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন অংশীদার হওয়া উচিত, শত্রু নয়: শি জিনপিং

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শত্রুতা নয় বরং অংশীদার হওয়া উচিত। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেইজিং সফরের দ্বিতীয় দিনে শি ও ব্লিঙ্কেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি 

বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনের সঙ্গে রাশিয়া, তাইওয়ান ও বাণিজ্য নিয়ে নানা পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। 

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শি বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রচেষ্টা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। 

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বেইজিংয়ের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র আরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাবে। যখন এই মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে, তখন সম্পর্ক আরও টেকসই, উন্নত ও অগ্রগামী হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং হি বলেন, তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমা লঙ্ঘন করা উচিত হবে না।

ব্লিঙ্কেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করেছেন। তাদের আলোচনা নিবিড় ও গঠনমূলক ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র   চীন   শি জিনপিং   অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন