নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ওপর ক্রমশই চাপ বাড়ছে। তাঁর সিদ্ধান্তে অনাস্থা জানিয়ে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। মে ‘কে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি তুলছেন অনেকে। তবে মে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তিনি বিদায় নিলেই ব্রেক্সিট সফল হবে এমনটা নয়। বরং তাঁর প্রস্থান ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে আরও বিলম্বিত করবে বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ সরকার সত্যিকার অর্থেই মহা বিপাকে পড়েছে। গত দুই বছরের দরকষাকষির পর দুই পক্ষের টেকনিক্যাল কর্মকর্তারা সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির একটি খসড়ায় সহমত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানিয়েছিলেন, তাঁর মন্ত্রীসভাও ঐ খসড়ায় সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু এর কয়েক ঘন্টা পরই একের পর এক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী খসড়ায় অসন্তোষ জানিয়ে পদত্যাগ করতে শুরু করেন। খসড়া নিয়ে ব্রিটিশ নেতাদের এই বিভক্তি প্রশ্ন জাগাচ্ছে, থেরেসা মে’র নেতৃত্বে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন সম্ভব? অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে এমন প্রশ্নও করছেন, ব্রেক্সিট আদৌ হবে তো?
১৯৭৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের নেতৃত্বে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়। কিন্তু শুরু থেকেই দেশটি ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতি অবলম্বন করে আসছিল। ইইউ’তে যোগ দিলেও তারা জোটের মূদ্রা ইউরো গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। এছাড়া ইইউ’র ভিসা প্রথায়ও দেশটি নিজেদের যুক্ত করেনি। অন্যদিকে ইউরোপীয় একক বাজারব্যবস্থার সুফল তারা ঠিকই ভোগ করে আসছে। বলা চলে, যুক্তরাজ্য শুধু ইইউ জোটের সুবিধাটুকুই ভোগ করছিল। এই জোটকে তারা ইউরোপীয় রাজনীতিতে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতেও ব্যবহার করছিল। ব্রিটেনের এই নীতির কারণে ১৯৮৩ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গল বলেছিলেন, ‘ব্রিটিশরা ইউরোপে শুধু একটি দ্বীপরাষ্ট্র মাত্র। তারা ইইউ’র সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করতে পারেনি।’
২০১৬’র মার্চে ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার পক্ষে রায় দেয়। ব্রেক্সিটপন্থী নেতারা ব্রিটিশদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল যে, ইইউ জোটে থাকাটা তাঁদের সার্বভৌমত্ব ও স্বতন্ত্রতার জন্য হুমকিস্বরুপ। এছাড়া ইইউ ছাড়লে সরকারের বিপুল পরিমান আর্থিক সাশ্রয় হবে বলেও প্রচারণা চালাচ্ছিল ব্রেক্সিটপন্থী শিবির।
যুক্তরাজ্যের আইন বলছে, ব্রেক্সিট অবশ্যম্ভাবী। তবে অনেকে দ্বিতীয় দফার গণভোটের দাবি তুলছেন। তাদের দাবি এবারের গনভোটে প্রশ্ন তোলা হোক, `চুক্তির বিস্তারিত জানার পরেও কি আপনি ব্রেক্সিট চান?` এমনটা করা হলে হয়তো ব্রেক্সিটের বিষয়টি বদলে যেতে পারে। তবে থেরেসা মে দ্বিতীয় দফার গণভোট হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন।
অনেকে মনে করেন, ব্রেক্সিটপন্থী নেতারা ইইউ ছাড়ার পক্ষে যতই গলা ফাটাক না কেন, আসলে তারা চান ব্রিটেন ইইউ জোটেই থাকুক। কেননা এতেই দেশটি ব্যাবসায়িকভাবে লাভবান হবে। প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ নেতারা চান ইইউকে চাপের মধ্যে রেখে বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিচ্ছেদের পর যুক্তরাজ্য ইইউ’র একক বাজারের সুবিধা হারাবে। এতে দেশটির অর্থনীতিতে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে ইইউ এবং ব্রিটেনের মধ্যে যতই দরকষাকষি চলুক না কেন, শেষ পর্যন্ত ব্রেক্সিটের বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এক টেলিভিশন ভাষণে এই দাবি জানিয়েছে, ব্রিটেনের একটি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজে সরাসরি আঘাত হেনেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
তিনি জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ব্রিটেনের তেলবাহী ট্যাংকার ‘আন্দ্রোমেদা স্টারে’ সরাসরি হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া ইয়েমেনের সাআদা অঞ্চলের আকাশসীমায় ব্রিটেনের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার তথ্যও জানান তিনি।
গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচল করা ইসরায়েলি জাহাজে হামলা শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। তারা জানায়, ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি একাত্মতা প্রকাশের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হামলা চালালে তাদেরকেও বৈধ লক্ষ্যবস্তু ঘোষণা করে হুথি।
ব্রিটেনের সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আমব্রে শুক্রবার লোহিত সাগরে একটি জাহাজের কাছে হামলা হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল, হুথিরা নতুন করে আবারও কোনও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে জানান, তাদের যোদ্ধাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ব্রিটিশ জাহাজে। লাল ও কালো রঙের এই ট্যাংকারটি বেশ বড় একটি জাহাজ। হামলার সময় এতে কি পরিমাণ তেল ছিল তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। এছাড়া জাহাজটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়।
মন্তব্য করুন
ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাইসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক মিশনগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সরকার। এ মিশনগুলোকে রপ্তানি আয়ের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, অনেক মিশনের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের চেয়েও কমে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় যে দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলো টার্গেট অর্জন করতে পারছে না; সরকারের দুশ্চিন্তার এটিই প্রধান কারণ। মিশনগুলো টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলে রপ্তানি আয় কমে যাবে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আরও ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬২৬ কোটি ডলার। টার্গেটের চেয়ে প্রায় ৪৫৪ কোটি মার্কিন ডলার বা ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে। বৈদেশিক মিশনগুলো টার্গেট অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী রপ্তানি আয় বাড়ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারি তথ্য বলছে, একক মিশন হিসেবে ওয়াশিংটন থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে জার্মানির বার্লিন মিশন থেকে। এ দুটি মিশনেই রপ্তানি আয় টার্গেটের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে ওয়াশিংটনে রপ্তানি আয় লক্ষ্যের চেয়ে প্রায় ১২ দশমিক ৫ এবং বার্লিন থেকে প্রায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। শুধু তাই নয়, এ দুটি মিশনে গত বছরের চেয়েও রপ্তানি আয় কমে গেছে চলতি বছর। ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ মিশনের মধ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ফ্রান্সের প্যারিস, স্পেনের মাদ্রিদও রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মিশন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে টার্গেটের চেয়ে প্রায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে। আলোচ্য সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর মধ্যে কানাডার অটোয়া, ভারতের নয়াদিল্লি, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, সিঙ্গাপুর এমনকি জাপানের টোকিও মিশনও রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারির পর গত দুই বছর জাপানের টোকিও মিশন রপ্তানি আয় বেশ ভালো করেছে। সরকার এটিকে নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখেছে। তবে চলতি অর্থবছরে টোকিও মিশনের রপ্তানি চিত্রটি নেতিবাচক হয়ে গেছে, যা উদ্বেগের। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের রপ্তানি চিত্রটিও উদ্বেগজনক।
ইপিবির জরুরি বৈঠক : বিশ্বের প্রভাবশালী মিশনগুলোর রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার বিষয়টি সামাল দিতে গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইপিবি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান প্রভাবশালী দেশগুলোয় রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাই, টোকিওর মতো গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর রপ্তানি আয় কেন কমে যাচ্ছে-এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে যত দ্রুত সম্ভব লিখিত কারণ জানাতে বলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ইপিবির এক সূত্র জানান, যেসব মিশন রপ্তানি টার্গেট পূরণ করতে পারেনি, সেগুলোর কাছেও চিঠি পাঠানো হবে। কেন রপ্তানি বাণিজ্য হ্রাস পাচ্ছে, কোথায় চ্যালেঞ্জ-এ বিষয়ে মিশনগুলোর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইপিবির এক কর্মকর্তা জানান, রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬১টি মিশন রয়েছে বাংলাদেশের। এসব মিশনকে প্রতি বছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এসব মিশনের কাজই হচ্ছে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বহুমাত্রিক উদ্যোগ নেওয়া। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশে সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কার্যকর সংযোগ স্থাপন, সম্ভাবনাময় পণ্যের বাজার সৃষ্টি, কোনো চ্যালেঞ্জ থাকলে সরকারকে দ্রুত অবহিত করাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশি পণ্যের দূত হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি রপ্তানির গতি বাড়াতে আমদানিকারকের সঙ্গে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকের পরিচয় করিয়ে দেওয়াও এসব মিশনের মূল কাজ। তবে এতে ব্যর্থ হচ্ছে অধিকাংশ মিশন। বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রপ্তানি আদেশ বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিশনগুলো সরাসরি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। দু-একটি মিশন ব্যবসায়ীদের সহায়তা করলেও পর্যাপ্ত নয়। রপ্তানি কমে যাওয়ার মূল কারণ ইউরোপ-আমেরিকায় বিক্রি কমে গেছে। তারা ক্রয়াদেশও কম দিচ্ছে। এর ফলে আমাদের কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি কাজ করতে পারছে না। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার দেশগুলোতেও। এ অবস্থায় ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা যদি আরও বেড়ে যায় তবে রপ্তানি খাত আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে।
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এক টেলিভিশন ভাষণে এই দাবি জানিয়েছে, ব্রিটেনের একটি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজে সরাসরি আঘাত হেনেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তিনি জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ব্রিটেনের তেলবাহী ট্যাংকার ‘আন্দ্রোমেদা স্টারে’ সরাসরি হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।