ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রক্তের দামে কেনা যে দেশগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

পৃথিবীতে বর্তমানে দুইশ’র কাছাকাছি স্বাধীন দেশ রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে খুব কম জাতিই আছে যারা নিজেদের বুকের রক্তের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। খুব কম দেশই রয়েছে যেখানে প্রতি ইঞ্চি মাটিতে মিশে আছে কোনো না কোনো শহীদের রক্ত, কোনো না কোনো নির্যাতিতের চোখের জল। বাঙালি নিঃসন্দেহে সেই গর্বিত জাতিদের একটি যারা কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে স্বাধীনতা পায়নি, বরং সংগ্রাম করে শত্রুমুক্ত করেছে দেশকে। পৃথিবীতে এমন আরো কয়েকটি দেশ রয়েছে যারা রক্তের দামে স্বাধীনতা কিনেছে। এখানে সেরকম কয়েকটি দেশের কথাই তুলে ধরবো আজ আমাদের বিজয়ের দিনে:

ভিয়েতনাম

ভিয়েতনামের যুদ্ধের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ১৯ শতকের শেষ দিকে ফ্রান্স ভিয়েতনাম আক্রমণ করে। ফরাসিরা দেশটিকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে দেয় এবং অঞ্চলগুলিকে কম্বোডিয়া ও লাওসের সঙ্গে যুক্ত করে ফরাসি ইন্দোচীন গঠন করে। ফরাসিরা ভিয়েতনামের সম্পদ ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভিয়েতনামে উপনিবেশ বিরোধীরা সাম্যবাদী দলের নেতৃত্বে ফরাসিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ১৯৫৪ সালে দিয়েন বিয়েন ফু-তে ভিয়েতনামী সেনারা ফরাসিদের যুদ্ধে পরাজিত করে। এরপর ভিয়েতনামকে সাময়িকভাবে উত্তর ও দক্ষিণ দুইটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়। উত্তর ভিয়েতনামে একটি সাম্যবাদী সরকার এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামে সাম্যবাদ বিরোধীরা শাসন করা শুরু করে। পরবর্তী ২০ বছর ধরে উত্তর ভিয়েতনামের নেতৃত্বে ভিয়েতনাম একত্রীকরণের একটি আন্দোলন শুরু হয় এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় তাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা সরিয়ে নেয় এবং দুই বছর পরে দক্ষিণ ভিয়েতনাম সাম্যবাদীদের করায়ত্ত করে। ১৯৭৬ সালে দুই ভিয়েতনামকে একত্রিত করে একটি সাম্যবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। টানা ২১ বছর ধরে চলা যুদ্ধে পুরো দেশটাই ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। আর প্রাণ দিয়েছিল ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।

আলজেরিয়া

১৯৬২ সালের জুলাই মাসে ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আলজেরিয়া। ১৯৫৪ থেকে শুরু হয়ে টানা আট বছর স্থায়ী হয়েছিল ঐ যুদ্ধ। আলজেরিয়ার মুক্তিযুদ্ধ ছিল কোন ইউরোপীয় শক্তি ও তার উপনিবেশের মধ্যে সংঘটিত সবচেয়ে দীর্ঘতম গেরিলা যুদ্ধ। ফ্রোঁ দ্য লিবেরাসিওঁ নাসিওনাল বা আলজেরীয় জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট এই গেরিলা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়। যুদ্ধকালীন সময়ে ৯০ লাখ আলজেরীয় অধিবাসীর ৫ লাখ নিহত হয়।

তুরস্ক

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর তুরস্কের বিখ্যাত অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। খণ্ডবিখণ্ড হয়ে পড়ে তুরস্ক। খণ্ডিত তুরস্কের মূল ভূখণ্ডেই পরে গড়ে ওঠে আধুনিক তুরস্ক। মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আধুনিক তুরস্কের আত্ম প্রকাশ ঘটে। ১৯২৩ সালে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক তুরস্ককে একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। তুর্কিদের স্বাধীনতা যুদ্ধে গ্রীস ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি পক্ষ জড়িত ছিল। ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ পর্যন্ত স্থায়ী এই যুদ্ধে প্রায় ১৫ হাজার তুর্কি নিহত হন। এছাড়া যুদ্ধের কারণে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন রোগে ভুগে মারা যায় আরও ২২ হাজার মানুষ। 

আয়ারল্যান্ড

আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধ ১৯১৯ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৯২১ সালের জুলাই পর্যন্ত চলেছিল। এটি ছিল মূলত আয়ারল্যান্ডে শাসনাধীন ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ) পরিচালিত গেরিলা যুদ্ধ। দুই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধ আধুনিক পৃথিবীর প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৭৭৫ থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত চলেছিল আমেরিকানদের এই স্বাধীনতা সংগ্রাম। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে নিহত হন ২৫ হাজার মার্কিনি। এরমধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন ৮ হাজার।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে কি বিস্ময় অপেক্ষা করছে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আজ। এর ফলে সাত ধাপের নির্বাচনের তৃতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। আজ লোকসভায় ১২টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২৮০টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হল। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হয় ২৬ এপ্রিল। এই দুই দফার নির্বাচনে কমবেশি ১৯০টি আসনে ভোট সম্পন্ন হয়। এবার আরও 92 টি আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হল। আর এই নির্বাচনের পর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেটি এসেছে তা হল যে, মোদি ম্যাজিক কি শেষ হয়ে গেল?

ভারতের নির্বাচনে কী ধরনের চমক আসতে পারে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা চলছে। নির্বাচনের আগে থেকে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়েছিল যে, এই নির্বাচন একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। নির্বাচনে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির জয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু নির্বাচনের সময় যত গড়াচ্ছে ততই মোদির বিজয় বা বিজেপির বিজয় নিয়ে সংশয়-সন্দেহের মেঘ ডালপালা মেলেছে। এখন বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ম্যাজিক নম্বর ২৭২ পাবে কিনা তা নিয়ে যেমন জল্পনা-কল্পনা চলছে, ঠিক তেমনই নির্বাচনের সমীকরণ মেলাতে বিশ্লেষকরা হিমশিম খাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশন স্বায়ত্তশাসিত-স্বাধীন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সাতটি ধাপের সবকটি আসনে ভোটগণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের আগাম ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। আর এ কারণে ১ জুন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন আগাম ফলাফলও জানা যাচ্ছে না। কিন্তু ভোটের গতিপ্রকৃতি দেখে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির লোকজনের চেহারায় অনেক শোকার্ত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা আগের মতো উচ্ছ্বসিত নন।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, নরেন্দ্র মোদি এখনও ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা এবং তার একটা বিপুল জনপ্রিয়তা ও ক্যারিশমা রয়েছে। কিন্তু মোদির একক জনপ্রিয়তা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সব আসনে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। তাছাড়া বিভিন্ন আসনে বিভিন্ন ধরনের বাস্তবতা ভোটের উপর প্রভাব ফেলছে।

নির্বাচনের আগে কিছু বিতর্কিত বক্তব্য বিজেপিকে কোণঠাসা করেছে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির মুসলিম বিদ্বেষী অবস্থান বিজেপিকে অনেকটাই বিতর্কিত করেছে। এর ফলে মুসলিম ভোটগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে একাট্টা হচ্ছে বলেই অনেকে মনে করেন। তাছাড়া চাকরির বাজারে অস্থিরতা এবং বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি মোদিকে সংকটে ফেলেছে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের কথা বলেও দুর্নীতিকে লালন-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান বিজেপির জন্য আরেকটি সংকটের কারণ।

তাছাড়া বিজেপি সরকার কিছু ধনিক শ্রেণিকে তোষণ করে এবং অধিকাংশ গরিব নিষ্পেষিত হচ্ছে- এমন একটি প্রচারণা খুব জোরেশোরেই দেখা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল একটা চ্যালেঞ্জের মুখে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্বাচনের ফলাফল কীভাবে তার পক্ষে আনেন সেটাই দেখার বিষয়। ভারতের নির্বাচনে কি মোদি আবার জিতবেন, নাকি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় বিস্ময়টি অপেক্ষা করছে।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বিজেপি   কংগ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৫ মে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে  সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে। 

দেশটির ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে ছোট পরিসরে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের শুরু হয়। এরপর থেকে এ বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। 

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চ্যাং বলেন, 'আমাদের ক্যাম্পাসে বড় পরিসরে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। এমন পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও গভীরভাবে হতাশ।'

চ্যাং আরও বলেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিকল্প জায়গা খুঁজছিল। তবে শিক্ষার্থী, তাঁদের পরিবারের সদস্য, অতিথিরাসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে ধারণ করার মতো কোনো জায়গার ব্যবস্থা করা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আপার ম্যানহাটানে অবস্থিত কলাম্বিয়ার একটি ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   সমাপনী অনুষ্ঠান   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: দুই কেলেঙ্কারি নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর তৃতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে,  যার মধ্যে রয়েছে গোটা গুজরাট রাজ্য।

তৃতীয় দফায় ভোট হচ্ছে গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, আসাম, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্য এবং দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা-নগর হাভেলি ও দমন দিউয়ে।

এই ৯৩ আসনের মধ্যে ৮০ আসনে গত নির্বাচনে বিজেপি ও তাদের শরিকেরা জিতেছিল। কংগ্রেস জোট পেয়েছিল মাত্র ১১টি আসন। 

তৃতীয় দফায় গুজরাটের ২৬ আসনের মধ্যে ২৫ আসনে ভোট হচ্ছে। এই রাজ্যের সুরাট আসনে বিজেপি প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। গতবার সব আসনে বিজেপি জিতেছিল। তবে রাজ্যের দু-তিনটি আসনে জাতি বিক্ষোভ বিজেপিকে কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে। রাজ্যের গান্ধীনগরে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

গুজরাটের চেয়ে বিজেপির বড় চিন্তা কর্ণাটক নিয়ে। দক্ষিণের এই রাজ্যের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪টির ভোট হয়ে গেছে। বাকি ১৪ আসনের ভোট হচ্ছে আজ। কর্ণাটকের যেসব আসনে ভোট, সেগুলোর অধিকাংশই বিজেপির জেতা। রাজ্যের ২৮ আসনের মধ্যে গত ভোটে বিজেপি জিতেছিল ২৫টি, জেডিএস ২টি, কংগ্রেস একটি। 

এই দফার ভোটের আগে যৌন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যান রাজ্যে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিএসের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি প্রোজ্জ্বল। তিনি এখন দেশ ছাড়া। তার বাবা রাজ্যের বিধায়ক এইচ ডি রেভান্না যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। এই কেলেঙ্কারির জেরে তৃতীয় দফার ভোটে বিজেপিকে বিপাকে পড়তে হয় কি না, সেটাই দেখার বিষয়।  

বিজেপির বড় পরীক্ষা উত্তর প্রদেশেও। এই দফায় ভোট ১০ আসনে। এর মধ্যে আগ্রা, ফতেপুর সিক্রি, ফিরোজাবাদ, এটা, বদায়ুন, বেরিলি, আঁওলা ও হাথরসে (যেখানে এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল) গতবার বিজেপি জিতেছিল।

এবার উত্তর প্রদেশে বিজেপির লড়াই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে। এই দলের নেতা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল গতবার জিতেছিলেন মৈনপুরী থেকে। এবারেও তিনি প্রার্থী। সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী এবার কংগ্রেস। বিজেপি গতবার রাজ্যে জিতেছিল ৬২ আসন। এবারের লক্ষ্য অন্তত ৭৫ আসন। যোগীরাজ্যে তা সম্ভব কি না, আজ সেটা বোঝা যাবে।

এছাড়া আজ ভোট মহারাষ্ট্রের ১১, মধ্যপ্রদেশের ৪, আসামের ৪, গোয়ার ২, বিহারের ৫ ও পশ্চিমবঙ্গের ৪ কেন্দ্রে। মহারাষ্ট্রের বারামতি আসনে প্রার্থী শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে।

মধ্যপ্রদেশের গুনায় প্রার্থী বিজেপির জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান লড়ছেন বিদিশায় ও কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিং রাজগড়ে। আসামের ধুবড়িতে ভাগ্য পরীক্ষায় নামছেন এআইইউডিএফ প্রার্থী বদরুদ্দিন আজমল। 

প্রথম দফার ভোটে মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা তেমন দেখা দেয়নি। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে শাসক দলের প্রচারে তাই বড় হয়ে উঠেছিল মুসলমান জুজু, যাতে হিন্দু-মুসলমানের বিভাজন স্পষ্টতর হয়। তা সত্ত্বেও ভোটের হার আগেরবারের তুলনায় অনেক কম ছিল। 

ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো বলে একটি গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিওতে বলা হচ্ছে। আবার রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে এক নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। কর্ণাটকে বিজেপির শরিক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে বিজেপির জন্য এসব ঘটনা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজের ভাইরাল নাচের ভিডিও শেয়ার করে মোদি বললেন, ভালো লেগেছে

প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ৩য় দফার ভোটে দেশটির ৯৩টি লোকসভা আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। আর এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাচের এক ভিডিও শেয়ার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

ভিডিওটিতে তাকে এক মঞ্চে কায়দা করে হাঁটতে এবং নাচতে দেখা যাচ্ছে। না, ভিডিওটি সত্যিকারের নয়। তৈরি করা। পাগলু সেই নাচের ভিডিও নিজেই শেয়ার করে মোদি লিখেছেন- নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেলাম।  

সোমবার (৬ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভিডিওটি প্রথমে এথেয়িস্ট কৃষ্ণ নামের একটি এক্স হ্যন্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'এই ভিডিওটি পোস্ট করছি, কারণ আমি জানি এর জন্য 'ডিক্টেটর' আমাকে গ্রেপ্তার করবে না।'

আর এই ভিডিওটিই ফের শেয়ার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'আপনাদের সকলের মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি। ভোটের ভরা মৌসুমে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়।' 

কিন্তু হঠাৎ কেন ভোটের মধ্যে নিজের নাচের স্পুফ ভিডিও শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনেও রয়েছে রাজনীতি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি প্রায় একই ধরনের একটি ভিডিও শেয়ার করার প্রেক্ষিতে, এক এক্স ব্যবহারকারীকে নোটিশ দিয়েছে পুলিশ।

আর সেই ঘটনার ঠিক পরপরই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও শেয়ার করা কাকতালীয় বলে মানছেন না বিশ্লেষকরা।

মূলত মোদি যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, সেটি আসলে মার্কিন র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী লিল ইয়াচটির মঞ্চে প্রবেশ করার এক ভিডিও। ২০২২ সালের ২১ জুন ইউটিউবে ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয়েছিল।

তারপর থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর সাহায্যে অ্যাডলফ হিটলার থেকে শুরু করে ডিসি কমিকসের সুপারভিলেন জোকারের মতো, বিভিন্ন বিখ্যাত বা কুখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মুখ, ইয়াচটির জায়গায় ব্যবহার করে মিম তৈরি করা হয়েছে। এবার সেই জায়গায় বসলো নরেন্দ্র মোদির মুখও।

মজার বিষয়, সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্পুফ ভিডিও শেয়ার করার দায়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের নোটিশ পেয়েছেন দুই এক্স ব্যবহারকারী।

তাদের শেয়ার করা ভিডিওটির নিচেই কলকাতা পুলিশ লিখেছিল, যদি তারা অবিলম্বে তাদের নাম ও বাসস্থান-সহ পরিচয় প্রকাশ না করে, তাহলে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরে অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়।

তবে, ততক্ষণে ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পাপোশের মতো' আচরণ করছে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

কলকাতায় মোদিকে ব্যঙ্গ করে অশ্লীল পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

অবশ্য মোদি তার নিজের স্পুফ ভিডিওটি এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করার পর, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনের বিজেপির প্রার্থী তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'মমতা দিদি জি এটাকে বলে 'টেকিং আ চিল পিল (মাথা ঠান্ডা রাখা)। আপনিও মাঝে মাঝে এটা ব্যবহার করুন। আপনি সবসময় রেগে থাকেন। কয়েকটা বাচ্চা ছেলে আপনার নাচের ভিডিও বানিয়েছে। আপনি তাদের জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনি খুব রাগী এবং অনমনীয়।' 


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: আহমেদাবাদে ভোট দিলেন মোদি

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণে ভোট দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৭টার একটু পরই ভোট কেন্দ্রে পৌঁছান মোদি। গুজরাটের আহমেদাবাদের ভোটার মোদি। আহমেদাবাদের রানিপ এলাকার নিশান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি।  

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভোটকেন্দ্রে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ভোটকেন্দ্রটি গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। মোদির দল বিজেপি থেকে সেখানকার এবারের প্রার্থী অমিত শাহ।

ভোট দেওয়ার পর দেশের জনগণের প্রতি কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 

মোদি বলেন, 'আমাদের দেশে 'দান' এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই চেতনা থেকে দেশবাসীকে ভোট দিতে হবে। এখনও চার দফা ভোট বাকি। এই অহমেদাবাদের বুথেই আমি বরাবর ভোট দিই। অমিত ভাই এই কেন্দ্রের প্রার্থী।' 

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফা ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল ভোট হয়েছে। আজ তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি আসনে। ভোটাভুটি চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। ১ জুন সপ্তম দফার মাধ্যমে ভোটের ইতি ঘটবে। সাত ধাপের সবকটিরই ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   আহমেদাবাদ   ভোট   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন