নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২০
ব্লাকহোল মানেই যেন রাক্ষুসে অন্ধকার। এবার এই অন্ধকারই উগরে দিল আলো! এই প্রথম আলো বেরিয়ে আসতে দেখা গেল ব্ল্যাকহোল থেকে। আলোর ঝিলিক! নাসা জানায়, সান ডিয়েগোর কাছে পালোমার অবজারভেটরিতে বসানো জুইকি ট্রানসিয়েন্ট ফেসিলিটি টেলিস্কোপেই ধরা পড়েছে এই বিরল দৃশ্য। আর এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স’-এ।
ব্ল্যাকহোল
ব্ল্যাকহোলের রং ঘুটঘুটে কালো। সে কৃষ্ণগহ্বর। তার নাগালে যা আসে, তাকেই সে রাক্ষসের মতো গিলে নেয়। তার অসম্ভব জোরালো অভিকর্ষ বলের নাগপাশ এড়িয়ে এমনকি আলোও বেরিয়ে আসতে পারে না। তাই কোনও টেলিস্কোপেই ব্ল্যাকহোল দেখা যায় না। সেই ব্ল্যাকহোল থেকেই এ বার ঠিকরে বেরিয়ে আসতে দেখা গেল আলো। তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে, তার তাত্ত্বিক পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু সংঘর্ষের সময় কোনও ব্ল্যাকহোল থেকে আলোর মতো তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বেরিয়ে আসার প্রমাণ এত দিন মেলেনি।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, এই আলোর ঝিলিক দেখা গিয়েছে। একে অন্যের চার দিকে ঘুরতে ঘুরতে কাছে এসে পড়া দু’টি ব্ল্যাকহোলের মধ্যে খুব জোরে সংঘর্ষ হওয়ার পর। ওই ধাক্কাধাক্কিতে তুলনায় ছোটখাটো দু’টি ব্ল্যাকহোল মতো মিলেমিশে গিয়ে একটি বড় ব্ল্যাকহোল তৈরি করেছে। আলোর ঝিলিকটা বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে নবজাতক বড় ব্ল্যাকহোলটি থেকে। আর সেই ঝিলিকটি গত বছরের ২১ মে নজরে এসেছে। আলোরও যে মহাকাশে অনেকটা পথ পেরিয়ে আসতে হয়।
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ
ব্ল্যাকহোলকে দেখার উপায় নেই। তাই ব্ল্যাকহোলের অজানা জগতের খবরাখবর এত দিন বয়ে আনত মহাকর্ষীয় তরঙ্গই। এই তরঙ্গই আপাতত ব্ল্যাকহোলের একমাত্র বার্তা বাহক। এবারও দু’টি ছোট ব্ল্যাকহোলের মধ্যে সংঘর্ষে একটি বড় ব্ল্যাকহোল জন্মানোর সময় মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছে। সঙ্গে দেখা গিয়েছে এই আলোর ঝিলিকও। ঘটনাটির নাম দেওয়া হয়েছে, জিডব্লিউ১৯০৫২১জি। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বেরিয়ে আসে যেমন দু’টি ব্ল্যাকহোলের বা একটি ব্ল্যাকহোলের সঙ্গে একটি নিউট্রন নক্ষত্রের সংঘর্ষে। তেমনই সেই তরঙ্গ বেরিয়ে আসে দু’টি নিউট্রন নক্ষত্রের মধ্যে সংঘর্ষেও। যেহেতু এই তরঙ্গ আলোর মতো কোনও তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ নয়। তাই কোনও টেলিস্কোপে বা আলো সন্ধানী যন্ত্রে তা ধরা পড়ে না। তা ধরা পড়ে বিশেষ এক ধরনের যন্ত্রে। লাইগো’র ডিটেক্টরে।
যেভাবে ঘটনা ঘটল
গবেষকদের ব্যাখ্যা, ছোট দু’টি ব্ল্যাকহোল একে অন্যের চার দিকে ঘুরতে ঘুরতে কাছে এসে পড়ছিল। একই সঙ্গে দু’টি ব্ল্যাকহোল আবার ঘুরছিল একটি সুপারম্যাসিভ বা দানবাকৃতি ব্ল্যাকহোলেরও চারদিকে। সেই দানবাকৃতি ব্ল্যাকহোলের চারদিকে ছিল গ্যাসের পুরু চাদর। যা ভরা অসংখ্য কণায়। ক্রমশই কাছে আসতে আসতে এক সময় দু’টি ছোট ব্ল্যাকহোল একে অন্যকে খুব জোরে ধাক্কা মারে। তার ফলে, তারা মিশে গিয়ে তৈরি করে বড় একটি ব্ল্যাকহোল। যার ভর মোটামুটিভাবে ১০০টি সূর্যের সমান। গবেষকরা মনে করছেন, নবজাতক ব্ল্যাকহোলটি এর পরেই কিছুটা দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে চত্বর ছাড়ার চেষ্টা করে।
আবার ফিরে আসবে
বিজ্ঞানীদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, এই ব্ল্যাকহোলটি আবার ফিরে আসবে। ফলে, লাইগো ডিটেক্টর ও টেলিস্কোপের মাধ্যমে যথাক্রমে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ও তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ, দু’ভাবেই ব্ল্যাক হোলটিকে দেখার সুযোগ আমাদের আরও বাড়বে।
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আসাম বাঙালি মুসলমান
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।