নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০২০
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন যে, বিশ্বে যখনই ভ্যাকসিন আসবে তখনই বাংলাদেশ তা পেতে চায় এবং তা নিশ্চিত করাই আমাদের এখন প্রধান দায়িত্ব। তিনি বলেন যে, এই নিয়ে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সব ধরণের পথ খোলা রাখছি। তিনি আরো বলেন, ‘এই দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে যে যখন ভ্যাকসিন আসবে, তখন সাথে সাথে যেন আমরা ভ্যাকসিন পাই। ভ্যাকসিন পেতে ১ ঘণ্টাও দেরি করা যাবেনা।’ বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে আলাপচারিতায় স্বাস্থ্যসেবা সচিব এই কথা বলেন।
তিনি বলেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এখন প্রধান লক্ষ্য হলো যে, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন যখনই বিশ্বে আসবে তখনই যেন তা আমরা পাই তা নিশ্চিত করা। মো. আবদুল মান্নান বলেন যে, আজই আমরা এই ভ্যাকসিন নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছি এবং এই বৈঠকের মাধ্যমে আমরা ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্যে দুই রকমের পথ খোলা রেখেছি। তিনি বলেন যে, যেহেতু আমরা গ্যাভি’র সদস্য এবং গ্যাভি’র যে যে দেশগুলোতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে তাঁর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কাজেই আমরা আশা করি যে, গ্যাভির মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন আসবে এবং তখনই আমরা এই ভ্যাকসিন পাবো। তিনি বলেন যে, আমরা শুধু বিনামূল্যের ভ্যাকসিনের আশায় বসে নেই, আমরা পৃথকভাবে আলাদা একটি তহবিল গঠন করে রেখেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং এই তহবিল থেকে আমরা ভ্যাকসিন কিনতেও পারবো।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এই সচিব বলেন যে, আমাদের গবেষকরা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সব জায়গায় খোঁজ রাখছে বিশ্বে ভ্যাকসিনের অবস্থান সম্পর্কে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমরা আরেকটি বিষয়কে প্রাধান্য দিচ্ছি। তা হচ্ছে দেশে যে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি আছে তাঁদের সঙ্গে আমরা সমন্বয়ের কাজ শুরু করেছি এবং খুব শীঘ্রই আমরা দেশের সব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির যে সমস্ত মালিকরা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবো।
দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ভ্যাকসিনের সর্বশেষ অবস্থা, কার কি অগ্রগতি এবং ভ্যাকসিন আসলে তারাও যেন বাংলাদেশে এটা উৎপাদন করতে পারে সে ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছে বলে জানান মো. আবদুল মান্নান। তিনি বলেন,‘ এই কারণে বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানির সঙ্গেও আমরা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সমন্বয় সাধন করতে চাই।’
স্বাস্থ্যসেবা সচিব বলেন যে, আমরা জেনেছি যে, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, যারা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে এবং যে সমস্ত ওষুধ কোম্পানি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটা নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং তাঁরাও চাইবে যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসে। এজন্য আমরা তাঁদের সাথেও কথাবার্তা শুরু করেছি।
স্বাস্থ্যসেবা সচিব বলেন যে, ‘আমরা কোন পথই বন্ধ করতে চাই না এবং সবগুলো পথ উন্মুক্ত করতে চাই। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো যে, বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ভ্যাকসিন যেন পায় তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন যে, যতদিন পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে না আসবে ততদিন পর্যন্ত করোনার সঙ্গে আমাদের বসবাস করতে হবে এবং সেভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আর এই কারণেই আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য হলো করোনার ভ্যাকসিনের দিকে নজর রাখা এবং বিশ্বে ভ্যাকসিনের কোথায় কি কাজ হচ্ছে সে সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা এবং সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। এমন একটি নিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি করা যেন ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সেই ভ্যাকসিন পাই।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।