নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
করোনার স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে হবে- এই বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে। দেশের স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা চান উপাচার্যরা। এজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরের নেতৃত্বে তৈরি করা একটি মোবাইল বেসড সফটওয়্যার প্রস্তাব করেছে উপাচার্যদের সংগঠন। শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপাচার্যদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের’ ভার্চুয়াল এক সভায় এ প্রস্তাব আসলে তাতে উপাচার্যরা সম্মত হন। প্রথমবারের মতো সমন্বিত ও অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কথা হয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তাবনা প্রণয়নকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সাথে। বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য ভার্চুয়াল এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মোস্তাকিম ভুঞা।
বাংলা ইনসাইডার: অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ও এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সফটওয়্যারটি সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন......
মীজানুর রহমান: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় যে পরীক্ষাগুলো আটকে আছে, তা নেওয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। আর এই সকল পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় যে, এই সফটওয়্যারটি বেশ কার্যকর। সেইসাথে এই সফটওয়্যারে কোন সমস্যা থাকলে তা সংশোধন করা যাবে। এটাকে বলা হয় ‘প্রক্টরিয়াল এক্সাম সিস্টেম’। এখানে শিক্ষার্থীদের কোন রকম অসুবিধা হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাগুলো নিয়ে যদি দেখি যে, কোন সমস্যা নেই। বেশিরভাগ উপাচার্যের মত হল ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া যেতে পারে। তাই এই সফটওয়্যারটা দিয়ে আমরা আগে আমাদের নিজস্ব কিছু পরীক্ষা নিয়ে টেস্ট করে দেখব।
বাংলা ইনসাইডার: শিক্ষার্থীদেরকে এই ধরণের একটি সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত করানোর বিষয়ে কোন ভাবনা...
মীজানুর রহমান: শিক্ষার্থীদেরকে এটার সাথে পরিচিত করানোর জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেওয়া হবে, টিউটোরিয়াল দিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা সময় মতো জানতে পারবে, জানিয়ে দেওয়া। পরীক্ষা এখনো অনেক দেরি। পরীক্ষা যখন আসবে, তখন শিক্ষার্থীদের পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর এর ব্যবহারবিধিও অনেক সহজ। ক্লিক করলেই একটার পর একটা বিষয় আসতে থাকবে।
বাংলা ইনসাইডার: চলতি বছরের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনেই হবে এই বিষয়টা কি চূড়ান্ত?
মীজানুর রহমান: এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে বেশিরভাগ উপাচার্য ১৭/১৮ লক্ষ শিক্ষার্থী সংখ্যা বিবেচনা করে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। ইউজিসি, সরকার সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে এবং এই সফটওয়্যারটির কার্যকারিতা দেখে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।