নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৩ অক্টোবর, ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে এবারের শারদীয় দূর্গা পূজায় সামাজিক দূরত্ব বাড়ায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় পূজায় অঞ্জলি ও বিসর্জন দেয়াসহ স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট এর প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, করোনার কারণে আমি এবারের পূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছি না। কিন্তু গণমাধ্যমে দেখলাম মন্দিরে সামাজিক দুরত্ব ঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে মাস্ক পড়ার বিষয়টা সেভাবে মানা হচ্ছে না। মানছে না হাত ধোঁয়া বা সামাজিক দুরত্বের বিষয়টাও। এছাড়া অঞ্জলি দেয়ার সময় গাদাগাদি করতে দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মানা হচ্ছে না। এজন্য পূজা উদযাপন পরিষদের এখনই সতর্ক হওয়া দরকার। এখন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি অনেক খারাপ হতে পারে। ইতিমধ্যে গতকাল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের বিষয়টাও রয়েছে।
পূজা মণ্ডপে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে এই চিকিৎসক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি যারা বয়স্ক, যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস তারা যেন এবারের পূজায় যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। গণমাধ্যমের কল্যাণে বাসায় বসে সরাসরি অঞ্জলি দেয়া দেখা যাচ্ছে সুতরাং পূজা মণ্ডপে গিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। আর যাদের শারীরিক ফিটনেস ভাল তারাও কিন্তু করোনার ঝুঁকির বাইরে নয়। তাদের করোনা প্রতিরোধের সক্ষমতা থাকলেও তাদের মাধ্যমে পরিবারের বয়স্করা বা অন্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য অল্প সময় মন্দিরে থাকার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদের ভূমিকা প্রসঙ্গে জানকে চাইলে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, পূজা কমিটির উচিত হবে একসাথে বেশি মানুষকে মন্দিরে ঢুকতে না দেয়া। অল্প সংখ্যক মানুষকে প্রবেশ মুখে হাত ধুয়ে মন্দিরে প্রবেশ করানো এবং অল্প সংখ্যক লোক দিয়ে বিসর্জন দেয়া। অন্যদিকে পূজা মণ্ডপ যদি ভালোভাবে সাজানো না হয়, গান-বাজনার ব্যবস্থা না থাকে কিংবা চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা না হয় তাহলে দর্শনার্থী কমে যাবে। আর স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা কমিটিকে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা পূজা উদযাপন পরিষদের কথা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি মানবে।
কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশনের বেলুড় মঠের মতো জায়গায় যেখানে মন্দিরের গেট বন্ধ। পুরোহিত ছাড়া অন্য কোনো মানুষ নেই সেখানে। সুতরাং অন্য বছরের তুলনায় এবারের পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আমাদের আরো কঠোর হতে হবে।
সনাতন ধর্মের একজন সিনিয়র ডাক্তর হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা এবারের পূজায় বাসায় থাকুন। আর যদি মণ্ডপে যেতেই হয় তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সময় অবস্থান করে মণ্ডপ ত্যাগ করবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।