নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
শীতে করোনায় করণীয় এবং স্বাস্থ্যবিধির গতি-প্রকৃতি ও সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: এবি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা: এবি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ইতিমধ্যে গ্রামে শীতে আমেজ চলে এসেছে ফলে মানুষের মধ্যে ঠান্ডা, জ্বর, গলাব্যাথা, কাশিসহ নানা ধরনের রোগ এসময়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় গ্রামের মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে নেই কোনো আতঙ্ক, নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানার বালায়। যার কারণে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে সবকিছু উন্মুক্ত করে দেয়ার কারণে জনসমাগম বাড়ছে, পরিবহনে যাতায়াত বাড়ছে এছাড়া বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। এসব দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, করোনা মহামারী চলছে। এসব কারণ মিলেয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম।
যেহেতু ভ্যাকসিন এখনও আসেনি এবং কবে আসবে সেটাও নিশ্চিত নয়। কাজেই ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। মাস্ক পড়াতে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে এবং হাত ধোঁয়াটা চালু রাখতে হবে। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার দিকে জোর দিতে হবে। শুধুমাত্র সরকার প্রশাসন দিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পারবে না। সাধারণ মানুষকে করোনার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে প্রশাসন ইতিমধ্যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাস্ক না পড়লে জরিমানা করছে। তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। আর এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যম কিংবা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ করে রাস্তাঘাটে বের হলে মনে হয় না করোনা আছে। সরকারি হাসপাতালগুলোর আউটডোরে দেখা যায় মানুষ গায়ের সাথে গা লাগিয়ে দাঁড়াচ্ছে, এতে করে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে এই অবস্থায় নতুন করে লকডাউনে হবে বলে মনে হয় না। কাজেই এখন স্বাস্থ্যবিধি মানার দিকে বেশি জোর দিতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পাড়া-মহল্লা, গ্রামে-গ্রামে ছাত্র, শিক্ষক, যুবকদের নিয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে। এছাড়াও মসজিদের ইমাম কিংবা মন্দিরের পুরোহিতদের দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কারণ করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া নো মাস্ক, নো সার্ভিস, এই বিষয়টা যেন কঠোরভাবে পালন করা হয়, সেদিকে সরকারকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।