নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, অনেক আমলা আছেন যারা দাপ্তরিক কাজের বাইরে আওয়ামী লীগের ইতিহাস এমনভাবে মুখস্ত করেছেন যা শুনে মনে হয় তাদের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার নেই। আমলাদের এ ধরনের বক্তব্য ও আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, না হলে গণতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হবে।
ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা ও আমলাদের কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমলাদের অনেকের বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা বড় রাজনীতিবিদ এবং তারা সমানে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। বাসদ ছাত্রলীগের অনেকে বাসদ বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ সেজে তারা কীভাবে যেন ম্যানেজ করে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। আমার জানামতে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন তাদের কাজ হচ্ছে বর্তমান সরকারকে কীভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। এখন আমলারা যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন তাদের দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি আমলা না রাজনীতিবিদ।
করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সমন্বয় করা হচ্ছে আর এই দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। কাজেই ভ্যাকসিন বিতরণের ব্যাপারে কোনো ধরনের অনিয়ম হবে না। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে যদি কেউ আশা করে থাকেন যে ব্যবসা করবেন তাহলে সে আশা পুরণ হবে না। এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের বিষয়টা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সঠিক পথেই আগাচ্ছে।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী আরও বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে সাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে কিন্তু বিতরণ, মনিটরিং এবং যাবতীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আর এর সাথে যুক্ত আছেন অনান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। কাজেই কেউ যদি মনে করে থাকেন যে ভ্যাকসিনের বিষয়ে দুর্নীতি হবে তাহলে তাদের সেই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। করোনা মোকাবেলায় সরকার যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে। শুরুতে ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু কথা উঠলেও শেষ পর্যন্ত ভ্যাকসিন আসছে এবং ভ্যাকসিন বিতরণের বিষয়েও সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আর এর সবচেয়ে বড় কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজে করোনা ও ভ্যাকসিনের বিষয়টি তদারক করছেন এবং সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। ফলে ভ্যাকসিন বিতরণ নিয়ে দেশের মানুষের চিন্তার কোনো কারণ নেই। এ ছাড়া বাংলাদেশের অনেক আগে থেকেই টিকা দানের অভিজ্ঞতা ও লোকবল আছে। কাজেই টিকা প্রদানের জন্য বাড়তি কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।