নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ফ্রি স্টাইলে কথা বলছেন তারা দলের জন্য উপদ্রব। এই উপদ্রবগুলো আমাদেরকে অনেক জ্বালাচ্ছে। কাজেই এসব উপদ্রবের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। এ ব্যাপারে কোনো দুর্বলতার সুযোগ নেই।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছিলেন দলের ভেতরে যারা অনুপ্রবেশকারী তাদেরকে চিহ্নিত করে দল থেকে বের করতে হবে এবং যারা বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু তিনি নির্দেশনা দেয়ার পরেও মাঠের রাজনীতিতে সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি এই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন কিন্তু আমি স্বীকার করছি যে সেগুলো সঠিক অর্থে কার্যকর হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেকোনো স্তরের নেতা, এমপি, মন্ত্রী যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে তখন একাত্তরের পরাজীত অপশক্তি দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য। আল জাজিরার বিতর্কিত প্রদিবেদন দেখলে বোঝা যায় দেশের বাইরে বসে কিছু লোক রাষ্ট্র ও কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্যোগের বাইরেও দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বিষয়গুলো সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলে হবে। শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে সর্বকালের সেরা উন্নয়ন হয়েছে আর এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব অপপ্রচার করছে।
প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন যখনই বাংলাদেশ ভালো থাকে তখনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য আপনারা কীভাবে অনুধাবন করছেন, ‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে দলকে সুসংহত করা এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত থাকার বার্তা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটি বার্তা দিয়েছেন যে, দেশের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা একার পক্ষে সম্ভব নয় কাজেই সমগ্র দল মিলে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।