নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, করোনায় শিক্ষার ক্ষেত্রে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা কোনো দিনও পোষানো যাবে না।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, যে শিক্ষার্থীকে করোনার কারণে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিয়ে দেয়া হয়েছে বা যে কৃষিকাজ কিংবা অন্যান্য কাজে যুক্ত হয়েছে তাকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। এখানে সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই সময়ের মধ্যে কারও সন্তান হয়ে যাবে আবার কেউ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বা অনেকের বয়স শেষ হয়ে যাবে ফলে আর পড়াশোনায় তাদের ফেরা হবে না। এ কারণে সবক্ষেত্রে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া গেলেও শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে সেটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে সবকিছুই চলছে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আমাদের প্রতিবেশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১২ ক্লাস পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া জরুরি। এমনিতেই শিক্ষার অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে কাজেই আর সময় ক্ষেপন না করে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ সে কিন্তু ঠিকই বাজার, চলাচলের জন্য গণপরিবহন, কিংবা বাইরে ঘোড়াঘুড়ি করছে তাহলে শুধুমাত্র শ্রেণিকক্ষ বন্ধ থাকবে কেন?।
তিনি বলেন, করোনা একটা মহামারী সেখানে কারও হাত নেই কিন্তু আমাদের সুপ্রসন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রের সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে। করোনার পরে শিক্ষা কার্যক্রম যখন স্বাভাবিক হবে তখন একটা বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বাদ পড়বে। বিশেষ করে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হয়েছিলো সেখানে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। এ ছাড়া দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো আর খুলবে না। শুধুমাত্র ঢাকাতেই হাজারের বেশি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে যেগুলো অধিকাংশই আর খোলা সম্ভব হবে না। কিছু কিছু অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত বাজে ধরনের ইমপ্যাক্ট ফেলে। বিশেষ করে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যারা হলে থাকবে তারা টিকা পাবে কিন্তু দেখা যায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী হলের বাইরে থাকে ফলে তারা টিকা পাবে না?। তাহলে কি তারা ক্লাস করবে না?।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।