নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২১
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মুক্ত চিন্তার মানুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে কিন্তু হেফাজত নেতাদের ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো জন্য কেন গ্রেফতার করা হয়নি?।
চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলপচারিতায় এসব কথা বলেছেন শাহরিয়ার কবির। পাঠকদের জন্য শাহরিয়ার কবিরের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
শাহরিয়ার কবির বলেন, হেফাজত নেতারা বিভিন্ন ওয়াজের মাধ্যমে মানুষের মনোজগতে মৌলবাদের বীজ বপন করতে চাইছে, আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে। আর এর মাধ্যমে মৌলবাদী ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উত্থান হলে এটা শুধু এই সরকার বা আওয়ামী লীগের জন্য আত্মঘাতী হবে না গোটা বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হবে। এর কারণে সমাজে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং হেফাজত ২০১৩ সাল থেকে মাঠে নেমে যা করছে তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। হেফাজতের একটা রাজনৈতিক এজেন্ডা আছে এবং হেফাজতের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপি আছে। বাংলাদেশে এখন যেহেতু জামায়াত-বিএনপির তেমন কোনো গ্রহণযোগ্য কিংবা জনসমর্থন নেই এ কারণে তারা হেফাজতকে ব্যবহার করছে। তারা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে সরকার হটানো এবং মৌলবাদ ও ধর্মভিত্তিক রজানীতির উত্থান ঘটানোর জন্য।
তিনি বলেন, সরকার হেফাজতের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না যা আমাদের জন্য খুবই দুঃভাগ্যের বিষয়। সরকার মনে করে যে বিএনপি, জামায়াত এবং হেফাজতকে আলাদাভাবে ডিল করবে। কারও সঙ্গে নমনীয় আবার কারও সঙ্গে কঠোর। আর এই ফাঁকে হেফাজত সহিংসতা করেছে। কিন্তু হেফাজত, জামায়াত-বিএনপি যে একই এবং সরকারের ওই কৌশল যে এখানে প্রযোজ্য না সেটা সরকার বুঝতে পারছে না।
তিনি বলেন, তারা মাঠে সহিংসতা করছে সেটা প্রকাশ্য একটা বিষয় কিন্তু তারা গ্রামে ওয়াজের নামে ভিন্ন মত, ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন চিন্তার মানুষদের নিয়ে যেভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে সেটা খুবই ভয়ঙ্কর। এ ছাড়া ওয়াজের মাধ্যমে তারা সংবিধানের বিরুদ্ধে, জাতির পিতার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছাড়াচ্ছে কিন্তু এসব বিষয়ে সরকার হেফাজতের কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেনি। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন কিন্তু এখন হেফাজত ও উগ্র মৌলবাদীরা বাংলাদেশে ধর্মভিত্তির উত্থান ঘটাতে চাইছে। আর এখনই যদি এদেরকে ঠেকানো না যায় তাহলে বাংলাদেশের যত অর্জন সব ধুলিস্মাৎ হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।