নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আবারও এককভাবে না হলে জোট করে হলেও তৃণমূল সরকার গঠন করবে। কিন্তু বিজেপি এবার অনেক বেশি আসন পাবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ড. তারেক শামসুর রেহমান। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা ক্ষীণ। তবে গত নির্বাচনে বিজেপি ৩৫টি আসন পেয়েছিলো। কিন্তু এবার ১০০ আসনের বেশি পাবে দলটি। আর এ কারণে মমতা ক্ষমতায় আসলেও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া কিছুটা কঠিন হবে। যদিও এবারের নির্বাচনে অনেক বেশি সহিংসতা হয়েছে, ভোট জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে এবং এবারের ভোটে বহিরাগতদের দেখা গেছে যা আগে কখনই দেখা যায়নি পশ্চিমবঙ্গে।
নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই মোদির এই সফরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দেড় কোটি মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছে যা মোট ভোটের ১৮ শতাংশ। প্রায় ৩০টি আসনে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটারদের আধিপত্য রয়েছে। ফলে এসব ভোট বিজেপির পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই ভোট যদি বিজেপির পক্ষে যায় তাহলে মমতাকে কংগ্রেস, বাম এবং আব্বাস সিদ্দিকীর নেতৃত্বে যে দল রয়েছে তাদের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় আসতে হবে। কিন্তু এই সুযোগটা বিজেপির জন্য না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ এই দলগুলো বিজেপির সাথে মিলে জোটগতভাবে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে এইমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, এবার মমতা ক্ষমতায় আসলে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে একটা বড় পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করবেন যা বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা। বিশেষ করে বিজিপি বিরোধী ছোট ছোট দলগুলো নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য জোট করতে পারে। তবে মমতা ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের জন্য হাতাশার। কারণ তিস্তা চুক্তির বিষয়টি আর আগাবে না।
মিঠুন চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির সঙ্গে মিলে কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে মনে করা হয়েছিলো মিঠুন চক্রবর্তী একটা বড় ধাক্কা হবে মমতার জন্য কিন্তু তিনি একটা সুক্ষ করাচুপি করছেন এবং শক্তভাবে কিছু বলছেন না। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং মমতার সঙ্গেও সম্পর্ক রাখবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে তিনি বড় ভূমিকা রাখবেন বলে মনে হয় না। তবে বিজেপির পক্ষে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে তিনি কতোটা ভূমিকা রাখতে পারবেন সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।