নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, ইসরায়েলে সাথে আমেরিকা আছে, ইউরোপের প্রায় সবগুলো দেশ বড় আকারে আছে, আরব দেশগুলোও আছে। আরো কত রাষ্ট্রেরই তো তাদের সাথে সম্পর্ক আছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরই তো ইসরায়েলের সাথে বড় সম্পর্ক আছে। এরা যতদিন ইসরায়েলের সাথে থাকবে ততদিন এই সমস্যার সমাধান হবে না। এসবের ফলে প্রায় ৭০ বছর ধরে ফিলিস্তিনে এই সমস্যা চলমান আছে।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত, সহিংসতা ইত্যাদি সহ নানা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত, সহিংসতার সমাধান না হওয়ার পেছনে তিনটি কারণ উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, প্রথমত, যতদিন আমেরিকা, পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলে সাথে থাকবে ততদিন এই সমস্যার সহজ সমাধান হবে না। দ্বিতীয়ত, আরব বিশ্ব যতদিন পশ্চিমা দেশের সাথে থাকবে ততদিনও এই সমস্যার সমাধান হবে না, ভোগান্তি বাড়বে। তৃতীয়ত, ইসরায়েলের জনগণের ভেতরে যতদিন না এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হবে। কিন্তু এবার ভালোভাবেই ইসরায়েলের ভেতরেই একটি ভালো প্রতিবাদ হয়েছে। সেটি আমরা গণমাধ্যমে হয়তো গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি না কিন্তু মাঝে মাঝে ইন্টারনেটে ফুটেজ আসছে।
তিনি আরো বলেন, যদি আমেরিকা কোনদিন সরে আসে, ইউরোপ সরে আসে তাহলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কারণ তারাই অস্ত্র দেয়, টাকা দেয়। তারা যদি টাকা দেয়া, অস্ত্র দেয়া যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে একদিনেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তারা তো সেটা করবে না। সেই সাথে আরব দেশগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু রাজতন্ত্রের এই আরব দেশগুলো তো এক পা বলতে গেলে দুই পা ই সবসময় আমেরিকা ইউরোপে থাকেই। তাদের মধ্যে কোন ঐক্য নেই। তবে এখন তৃতীয় যেটা ইসরায়েলের ভেতরেই একটি বড় প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, সেখানে একটা ভরসা রাখা যেতে পারে। যদিও তারা ইহুদী তবুও তারা ইসরায়েলের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। ইসরায়েলের বর্তমান প্রজন্ম বিভিন্ন মাধ্যমে কটু কথা শুনছে, তাই তারা এবার কিছুটা হলেও জেগে উঠেছে। এবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে এত প্রচার হচ্ছে, আমরা লাইভ এই সহিংসতা দেখতে পাচ্ছি ফলে এর একটি প্রভাব পড়বে তাতে সন্দেহ নেই। আগে এমন প্রচার কিংবা দেখার সুযোগ ছিল না। এখন তাদের জনগণ যখন প্রতিবাদ করবে তখন হয়তো কিছুটা সমাধানের পথ হবে। এটি যদি হয় তাহলে এক সময় এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ইসরায়েল কি সকল আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ইসরায়েল বহু আগে থেকেই জেনোসাইড করে বেড়াচ্ছে। এই যে গণতন্ত্রের কথা বলে তা কিছুই নাই। কোন আইনের মধ্যেই তারা পড়েনা। আমেরিকা, ইউরোপের এরা যতদিন এর মধ্যে আছে ততদিন পরিবর্তন হবে না। তাদের নিজদের তো লোক নেই, জনসংখ্যা এমনিতেই কমে আসছে। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক নিয়ে এসে একটি রাষ্ট্র তৈরি করেছে। সেটা এক সময় থেমে যাবে, আর কতদিন পারবে। কিন্তু এখন ভোগান্তি হচ্ছে মানুষের, কত মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই কোন আইন নিয়মের মধ্যেই তারা পড়েনা।
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইসরায়েলের পণ্য বয়কট করে যে প্রতিবাদ লক্ষ করা যায় তার প্রভাব এই সমস্যা নিরসনে কতটা ভূমিকা রাখবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আগে এটি ছিলো না। এবার বড় আকারে আসছে। শ্রমিকরা জাহাজে উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই ধরণের বয়কট যদি ইউরোপ, আমেরিকায় হয় তাহলে এক ধরণের চাপ পড়বে ইসরায়েলের উপর। যদিও তারা ইউরোপ-আমেরিকা থেকে প্রচুর টাকা পায়। সেক্ষেত্রে পণ্য বর্জনে খুব একটা যে কিছু হবে তা নয় তবে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।