নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ১৬ জুন, ২০২১
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতীয় সংসদে ৪টি আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। বার্তাটি হলো, `আওয়ামী লীগের সত্যিকারের জ্ঞানী পরিক্ষীত এবং দুঃসময়ের কর্মীদের সামনে নিয়ে আসা হবে। বিতর্কিতদের বাদ দেয়া হবে’। তিনি বলেন,’আওয়ামী লীগ সভাপতির আকাঙ্ক্ষা, অভিপ্রায় এবং নির্দেশ বাস্তবায়ন করা প্রতিটি নেতা কর্মীর দায়িত্ব। ` বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জাহাঙ্গীর কবির নানক একথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে, সুযোগ-সন্ধানী হাইব্রিডরা আওয়ামী লীগকে টার্গেট করেছে। অনেক অনুপ্রবেশকারী দলে ঢুকেছে। এই বাস্তবতা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। তিনি বলেন, এই সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধানী অনুপ্রবেশকারীরাই আওয়ামী লীগের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ। এরাই বিভিন্নভাবে নানা অপকর্ম করছে। এদের কারণে দলের বদনাম হয়। আর এজন্যই আওয়ামী লীগ সভাপতি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। অনুপ্রবেশকারীদের চিহিৃত করে তাদের দল থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও তিনি দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, একথা আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে, নেত্রীর নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,`অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে` আমাদের কঠোর অবস্থান নিতেই হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে মনোনয়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা করেছেন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা তৃণমূলের আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই পুনর্গঠনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সব আপদ এবং উপদ্রব বিদায় করা হবে। জাতির পিতার আদর্শ যারা অনুসরণ করবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকৃত সৈনিক যারা তারাই আওয়ামী লীগে থাকবে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আদর্শ ভিত্তিক সংগঠন জন্যই এই বছরেও আওয়ামী লীগ সজীব, উজ্জল এবং জনগণের কাছের সংগঠন হিসেবে আদৃত এবং জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।