নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৯ জুন, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ তা সারাদেশে ছড়াচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ৮ শতাংশে চলে এসেছিল। কিন্তু এখন ১৮ শতাংশের উপরে উঠে গেছে। দিন দিনই বাড়ছে সেই সংক্রমণ। সরকার যদিও হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা, লকডাউন, বিধিনিষেধ ইত্যাদি করে যাচ্ছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি, স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
ডা. এম এ আজিজ বলেন, যে এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, লকডাউন দেয়া হয়েছে সেই এলাকাগুলোতে কিন্তু জনসাধারণ এখনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। আমাদের সংক্রমণও কিন্তু কমছে না। দিন দিনই বেড়েই চলেছে। আন্তঃজেলা পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আমি মনে করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর সাথে অন্য এলাকাগুলোর যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই যে বর্ষার মৌসুম আসছে, বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর রোগীও দেখতে পাচ্ছি। সামনে ঈদ রয়েছে। ঈদের আবার মানুষের গ্রামে আসা-যাওয়ার জন্য চলাচল হবে, ঈদের নামাজ আছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা সামনে খারাপ সময় লক্ষ করছি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে। এখন যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তা যদি আরও বাড়তে থাকে তাহলে মহাবিপর্যয়ের সম্ভাবনা আছে। ভারতে ইতোমধ্যে আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা প্লাস চলে আসছে। আমাদের দেশে যদি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব সারাদেশে এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে এক পর্যায়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়বে, অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা নিয়েও আমরা প্রশ্নের সম্মুখীন হব।
করোনার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে সতর্কতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ইতোমধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরা পড়েছে। যদিও এটা সীমিত আছে। কিন্তু যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং পোস্ট কোভিড রোগীদের এসব দেখা যায়। সুতরাং যদি ব্যাপক হারে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সম্ভাবনা আমাদের দেশে আছে। সেক্ষেত্রে মৃত্যু বেড়ে যাবে।
স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে ডা. এম এ আজিজ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভয়াবহ হতে পারে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের সংক্রমণ আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সেই প্রেক্ষাপটে সারাদেশে এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা সদস্য তাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ দেখছি না। সবমিলিয়ে আমি মনে করি যে আমাদের সামনে একটি ভয়াবহ সময় লক্ষ করছি। আগামী ১ মাস খুব খারাপ সময়। সেই প্রেক্ষাপটে জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও স্বাস্থ্যবিধি মানানোর উদ্যোগ নিতে হবে এবং সরকারের আরও দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। সেইসাথে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগের মাধ্যমে গণটিকাদান কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।