একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ২০ তারিখে গ্লোবাল সিকিউরিটি এক্সপার্টদের নিয়ে আমরা একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার করেছি। কারণ, গত আফগান যুদ্ধের সময় ৮ হাজারের ওপর এখান থেকে তালেবানরা গিয়েছে শুধু ওখানে জিহাদ করতে। এখন আবার সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটছে সেখানেও কয়েক হাজার ইতিমধ্যে চলে গেছে বাংলাদেশ থেকে। আমি তালেবান কমান্ডার ইউনূসের ইন্টারভিউ করেছিলাম। সে তখন বলেছিল যে, আমরা ছিলাম অনেকে কিন্তু ৫ হাজার ফেরত এসেছে। ফেরত এসে তারা এখানে ট্রেইন্ড করিয়েছে। তারাই তো পরবর্তীকালে এসব ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা সাউথ এশিয়ার সিকিউরিটিই একটি বিরাট রকমের চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়াবে। আমাদের এখানে পাকিস্তানের এক্সপার্টরা থাকবে, আফগান থাকবে, ভারত, বাংলাদেশ এবং ন্যাটোও আমরা রাখছি। সবাইকে নিয়ে একটা আলোচনা হবে।
আফগানিস্তানে আবারও তালেবানদের উত্থান, বাংলাদেশের হেফাজতের সাথে তালেবানদের সম্পর্ক ইত্যাদি সহ সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন শাহরিয়ার কবির।
শাহরিয়ার কবির বলেছেন, হেফাজতের বেশির ভাগ নেতাই যারা নেতৃত্বে আছেন তারা সবাই আফগান ফেরত। হরকাতুল জিহাদের যারা আছে, এখন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এরা সবাই। মুফতি এজহার থেকে শুরু করে এরা অনেক বই লিখেছে যারা, জিহাদীদের যে বইগুলো সেখানে প্রচুর লেখা আছে আফগানের। আমেরিকার একটা পলিসি যে সেখানে তারা ভালো তালেবান, খারাপ তালেবান বাছাই করছে এবং তালেবানদের সঙ্গে মিটিং করছে। তালেবানরা তাদের নিশ্চিত করছে যে আগের মত হবে না। কিন্তু তালেবানদের পলিসি কোনো চেঞ্জ হয়নি। এখন সরকারের পলিসি মেকারদের বলা হয়েছে যে হেফাজত এবং জামায়াত এক নয়। হেফাজত বেসিক্যালি জামায়াত বিরোধী। হেফাজতিরা মওদুদীর বিরুদ্ধে। কতগুলো পুরনো কাগজ থেকে তারা এগুলো বলে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২০১৪ সালেই বলেছি, শফীর লেখা কোট করেছি যে, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য আছে কিন্তু কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা জামায়াতের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে পারি। মতপার্থক্য, জামায়াত মনে করে যে তারা ডেমোক্রেটি মিন্ট ব্যবহার করতে পারে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। আর এরা মনে করে যে, না ডেমোক্রেটি মিন্টের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। খেলাফত করতে হবে, জিহাদ করতে হবে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে যে বাংলাদেশ হবে শরীয়া স্টেট এটার ব্যাপারে তো ওদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। শাহরিয়ার কবিরের গলা কাটোতে হবে এ নিয়ে জামায়াত-হেফাজতের মধ্যে কোন বিরোধ নাই। তসলিমা নাসরিন মুর্তাদ, কাফের -তার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। শরীয়া স্টেট কায়েম হবে, বাংলাদেশ শরীয়া ল অনুযায়ী চলবে এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। মানব সৃষ্ট সংবিধান, মানব সৃষ্ট আইন তারা মানে না। এসময় নিয়ে জামায়াত-হেফাজত বা অন্যান্য মিলিট্যান্টদের মধ্যে মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। হেফাজতের ১৩ দফার কোনটিই নতুন না। প্রত্যেকটি জামাতের পুরনো দফা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাবুনগরীর বৈঠক প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির বলেছেন, আমরা এর সমালোচনা করেছি। স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী বানচাল করতে চেয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার দৃষ্টতা দেখিয়েছে। এটা হেফাজতকে বোঝানোর জন্য কিছু গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বুঝানো হয়েছে যে, তোমাদের প্রশ্রয় দিয়েছে বলে তোমরা এতদূর যেতে পার না। হেফাজত এখন বলছে যে, সরি বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। ওটা আমরা না। আমাদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ছিল। ওদেরকে আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। আমরা নতুনভাবে শুরু করতে চাই। আর এখন আমাদের আলেম-ওলামাদের হ্যারেস করা চলবে না। এগুলো যারা বোঝাচ্ছে এবং সরকারও সেটা বুঝছেন। না হলে বাবুনগরী কি করে জেলের বাইরে থাকে। বাবুনগরীকে কিন্তু বাইরে রেখেছে তারা নেগোশিয়েট করার জন্য।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাংলাদেশ। ন্যাটো আমেরিকা যদি উইড্রো করে তাহলে এখনি জাতিসংঘকে ডিক্লেয়ার করতে হবে। আফগানিস্তানকে আমরা এইভাবে হায়নাদের মধ্যে ছেড়ে দিতে পারি না। তারা যেরকম সরকার চাচ্ছে সেরকম সরকার পাবে তারা। কিন্তু আমরা তো এফেক্টেড হচ্ছে তাদের দ্বারা। কারণ, জিহাদীদের কোনো বাউন্ডারির প্রতি সম্মান নেই। তারা ভৌগলিক বাউন্ডারিও মানেনা, রাজনৈতিক বাউন্ডারিও মানেনা। কিন্তু সারা পৃথিবীতে তাদের জিহাদের জায়গা। আফগানিস্তানে জিহাদ হলে কি আমেরিকা নিরাপদ থাকবে? ইউরোপ নিরাপদ থাকবে? পাকিস্তান তালেবানাইজড হয়ে যাবে এবং পাকিস্তান আরও স্ট্রং হবে জিহাদ উৎপাদনের ক্ষেত্রে। আমি যেটা বলি, পাকিস্তান হচ্ছে ওয়ান অফ দা লার্জেস্ট জিহাদ ম্যানুফেকচারিং কান্ট্রি, জিহাদ এক্সপোর্ট কান্ট্রি। সবচেয়ে বড় জিহাদ এক্সপোর্টিং কান্ট্রি হচ্ছে পাকিস্তান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।