লিভিং ইনসাইড

বর্ষায় দেখে আসতে পারেন রাঙ্গামাটির অন্য রূপ

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২২


Thumbnail বর্ষায় দেখে আসতে পারেন রাঙ্গামাটির অন্য রূপ

নীল জলরাশিতে ভরপুর কাপ্তাই হ্রদ ও সবুজে ঘেরা পাহাড় ঘিরে অপরূপ সাজে গড়ে উঠা একটি জনপদের নাম রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। এ যেন স্রষ্টার এক অপরূপ সৃষ্টি। সুউচ্চ আকাশ ছোঁয়া পাহাড় ও বিশাল জলরাশি এই রূপ বৈচিত্র্য যেন কোনো এক শিল্পীর রং তুলিতে আঁকা ক্যানভাস। এ রূপ বৈচিত্র্য দেখতে দূর দুরন্ত থেকে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

বর্ষায় রাঙ্গামাটি সাজে অন্য এক অপরূপ সাজে। যা পর্যটককে আরও কাছে টানে। মনোমুগ্ধ করে তোলে প্রকৃতিপ্রেমীদের। এসময় হ্রদ পানিতে পরিপূর্ণ থাকে, পাহাড় ঘিরে থাকে সবুজ অরণ্যে। পাহাড়ের ভাজে ভাজে সৃষ্ট ঝরনা পায় পূর্ণ যৌবন। এমন দৃশ্য উপভোগ কতে রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উত্তম সময় হচ্ছে বর্ষাকাল।

রাঙ্গামাটি ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে পাহাড়ি ঝরনা। রাঙ্গামাটি জেলায় বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্যা ঝরনা। যে ঝরনার পানি আপনার ক্লান্তিকে দূর করে প্রশান্তি এনে দেবে নিমিষেই। জেনে নিন বর্ষায় রাঙ্গামাটিতে কোথায় কী দেখবেন-

ধুপপানি ঝরনা
রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ওড়াছড়ি নামক স্থানে এই ঝরনা অবস্থিত। স্থানীয়রা ধুপপানি ঝরনা নামেও ডেকে থাকে। স্থানীয় শব্দে ধুপ অর্থ হচ্ছে সাদা আর পানি যুক্ত করে এটিকে সাদা পানির ঝরনাও বলা হয়। ঝরনার পানি স্বচ্ছ এবং যখন অনেক উচু থেকে সেই পানি আছড়ে পড়ে তখন তা শুধু সাদাই দেখা যায়। তাই একে ধুপ পানির ঝরনা বলা হয়। সমতল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৫০ ফুট। ঝরনা থেকে পানি আছড়ে পড়ার শব্দ প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়।

ধুপপানি ঝরনাটি লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিল অনেক বছর। ২০০০ সালের দিকে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী গভীর অরণ্যে ধুপপানি ঝরনার নিচে ধ্যান শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন জেনে ঐ বৌদ্ধ ধ্যান সন্ন্যাসীকে দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময় বা উপলক্ষে সেবা করতে গেলে এই ঝরনাটি জনসম্মুখে পরিচিতি লাভ করে।

যেভাবে যাবেন-
ধুপপানি যেতে হলে ঢাকা থেকে প্রথমে যেতে হবে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায়। আর এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বাস এই রুটে চলাফেরা করে। কাপ্তাই এর লঞ্চঘাটে পৌঁছে ট্রলারে করে বিলাইছড়ি যাবেন। সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। রিজার্ভ কিংবা লোকাল ট্রলার দুভাবেই যেতে পারেন। রিজার্ভ করলে ভারা পড়বে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা। আবার মাত্র ৫৫ টাকা দিয়ে লোকাল ট্রলারে করেও যেতে পারবেন সেখানে। তবে লোকাল ট্রলার নির্দিষ্ট সময় মেনেই চলাফেরা করে।

সকাল ৮.৩০, দুপুর ১ টা ও ১.৩০ মিনিটে কাপ্তাই ঘাট থেকে ট্রলার ছেড়ে যায়। বিলাইছড়ি নেমে বিলাইছড়ি বাজারে খাওয়া দাওয়া করে নিতে পারেন বা জরুরি কাজ থাকলে সেরে নিন। বিলাইছড়ি থেকে আবার একটি ইঞ্জিন চালিত বোর্ট ভাড়া করে যেতে হবে উলুছড়ি। উলুছড়ি থেকে বাধ্যতামূলকভাবে আপনাকে একজন গাইড নিয়ে যেতে হবে। ২ ঘণ্টায় উলুছড়ি পৌঁছে এখান থেকে ছোট আরেকটি নৌকা দিয়ে কিছুদূর গিয়ে ট্রেকিং শুরু করতে হবে। এখান থেকে ধুপপানি পাড়া আরও আড়াই ঘণ্টার। সেখান থেকে আরও ৩০ মিনিটের ট্রেকিং করে তবেই ধুপপানি ঝরনার রূপ মাধুর্য অবলোকন করতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন-
বিলাইছড়িতে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল আছে। উপজেলা প্রশাসনের পরিচালিত একটি কটের্সসহ নিরিবিলি বোর্ডিং, নিজাম’র কর্টেস এরকম বেশ কিছু হোটেলের সন্ধান পাবেন বিলাইছড়ি উপজেলা ঘাটে।

খাওয়া দাওয়া-
বিলাইছড়ি বাজারে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। এখানে বেশ কিছু হোটেল আছে মোটামুটি মানের।

মুপ্পোছড়া ঝরনা
রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বাঙ্গালকাটা নামক জায়গায় মুপ্পোছড়া ঝরনাটি অবস্থিত। প্রস্থের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝরনার একটি। বর্ষা আসলে এ ঝরনা প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠে। এডভেঞ্চার প্রিয় আর ট্রেকিং করতে যারা ভালোবাসেন তাদের কাছে আদর্শ জায়গা পাহাড় আর পাহাড়ের গহীনে অবস্থিত এইসব বুনো জলপ্রপাত। দূর্গম পাহাড়ি পথে ট্রেকিং, ঝিরি পথ পেরিয়ে জনহীন বুনো অরণ্য আর প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্য সব কিছুর দেখা পেতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে মুপ্পোছড়া ঝরনায়।

যেভাবে যাবেন-
ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় আসতে হবে। কাপ্তাই এসে লঞ্চঘাট থেকে ট্রলার দিয়ে বিলাইছড়ি যেতে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে। ট্রলার রিজার্ভ নিলে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে। অবশ্যই দামাদামি করে নিতে হবে। লোকাল ট্রলারে করে যেতে চাইলে কাপ্তাইঘাট থেকে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট, দুপুর ১ টা এবং ১ টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া ট্রলারে জনপ্রতি ৫৫ টাকা ভাড়ায় যেতে পারবেন।

হালকা নাস্তা করে যাত্রা শুরু করুন। সঙ্গে কিছু শুকনো খাবার নিতে ভুলবেন না। বিলাইছড়ি পৌঁছে আবার হাসপাতাল ঘাট থেকে ট্রলার রিজার্ভ করে বাঙ্গালকাট পর্যন্ত যেতে হবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের পথ যেতে ভাড়া ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মতো পড়বে। এখানে নেমে গাইড ঠিক করে নিন। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে গাইড পেয়ে যাবেন। তারপর আড়াই ঘণ্টার ট্র্যাকিং শেষে মুপ্পোছড়া ঝরনার দেখা পাবেন।

যেখানে খাবেন-
বিলাইছড়ি বাজারে বেশকিছু খাবার হোটেল আছে। তবে বকুলের দোকান এবং ভাতঘর নামে দুইটি খাবারের হোটেলে কম দামে ভালো খাবার পাওয়া যায়।

যেখানে থাকবেন-
বিলাইছড়িতে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা আছে। যদি ট্রলার রিজার্ভ করে যান তাহলে হাসপাতাল ঘাটে ট্রলার চলে যান। ট্রলার থেকে নেমে নিরিবিলি বোর্ডিংয়ে উঠতে পারেন। এই বোর্ডিংয়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় সিঙ্গেল এবং ডাবল বেডের রুম পাবেন।

শুভলং ঝরনা
রাঙ্গামাটি জেলার বহুল পরিচিত অন্যতম একটি ঝরনা হচ্ছে শুভলং ঝরনা। যা জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙ্গামাটি সদর থেকে শুভলং ঝরনা দুরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে শুভলং ঝরনা জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে আছড়ে পড়ে।

যেভাবে যাবেন-
ঢাকার ফকিরাপুল মোড় ও সায়দাবাদে রাঙ্গামাটিগামী অসংখ্য বাস কাউন্টার আছে। বাসগুলো সাধারণত সকাল ৮ টা থেকে ৯টা এবং রাত ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১১ টার মধ্যে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। বাসে করে রাঙ্গামাটি সদরে আসার পর এখান থেকে যেতে হবে শুভলং ঝরনায়। শহর থেকে শুভলং ঝরনায় যেতে হলে নৌ পথে যেতে হয়। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার রিজার্ভ করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। রাঙ্গামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে অথবা পর্যটন এলাকা থেকে ট্রলার রিজার্ভ করা যায়। এগুলোর ভাড়া আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। মূল শহর থেকে শুভলং যেতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মতো।

যেখানে থাকবেন-
রাঙ্গামাটি শহরে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। রাঙ্গামাটি শহরের পুরোনো বাস স্ট্যান্ড ও রিজার্ভ বাজার এলাকায় হ্রদের কাছাকাছি হোটেলে উঠলে হোটেল থেকে কাপ্তাই হ্রদের পরিবেশ ও শান্ত বাতাস উপভোগ করা যাবে। রাঙ্গামাটির মান সম্মত হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল সোনার বাংলা, হিল এম্বাসেটর, হোটেল গ্রিন ক্যাসেল, পর্যটন মোটেল, হোটেল সুফিয়া, হোটেল আল-মোবা, হোটেল মতিমহল ইত্যাদি।

যেখানে খাবেন-
রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন মানের খাবার রেস্তোরাঁ আছে। রেস্তোরাঁয় স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি, পাহাড়ি সব খাবার পাওয়া যায়। ভিন্ন স্বাদের এইসব খাবারের স্বাদ নিতে পর্যটকরা আগ্রহী থাকেন।

ঘাগড়া ঝরনা
রাঙ্গামাটির অপূর্ব ঝর্ণাগুলোর সৌন্দর্য যারা উপভোগ করতে চান তারা চলে আসতে পারেন ঘাগড়া ঝরনা। শহর থেকে খুব কাছেই এই ঝরনাটি। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের ঘাগড়া অঞ্চলের কলাবাগানে এই ঝরনা অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি 'কলাবাগান ঝরনা' হিসেবেই পরিচিত।

রাঙ্গামাটি সড়কের ঘাগড়া সেনাবাহিনী ক্যাম্প থেকে ৩-৪ কিলোমিটার এগিয়ে গেলে কলাবাগান এলাকা। মূল সড়ক থেকে হাতের বামে প্রবাহিত একটি ছোট পাহাড়ি ছড়া পেরিয়ে মাত্র পাঁচ মিনিট হাঁটলেই পেয়ে যাবেন এই ঝরনার এলাকা। এ ঝরনার রাজ্যে আছে ছোট বড় মিলিয়ে আট-দশটি ঝরনা। পুরো বর্ষাকাল জুড়েই প্রবাহিত হয় এই ঝরনাগুলো। ছড়া ধরে হাঁটতে থাকলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটা শেষ হলেই অপরূপ প্রথম বড় ঝরনাটি স্বাগত জানাবে আপনাকে। এরপর হালকা পিচ্ছিল কিন্তু মসৃণ পথ বেয়ে উপরের দিকে উঠতে হয়। এরপর থেকে একের পর এক ঝর্ণা চোখে পড়বে। এভাবে সর্বশেষে চোখে পড়বে সবচেয়ে বড় ঝরনাটি।

যেভাবে যাবেন-
রাঙ্গামাটি শহরে এসে এখান থেকে সিএনজি ভাড়া করে যেতে পারবেন এই ঝরনায়। ভাড়া পড়বে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। চাইলে চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে আসলে নেমে যেতে পারেন রাঙ্গামাটি কাউখালি উপজেলার ঘাগড়া এলাকায়। এখান থেকে সরাসরি ঝরনায় যেতে পারবেন।

গাছকাটা ঝরনা
রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার গাছকাটাতে অবস্থিত এই গাছকাটা ঝরনা। যা ধন্দতাং ঝরনা নামেও পরিচিত। সৌন্দর্যের দিকে এটা এক কথায় অসাধারণ। এই ঝরনার ট্রেইলটা সবচেয়ে বেশি সুন্দর।

যেভাবে যাবেন
ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় আসতে হবে। কাপ্তাই এসে লঞ্চঘাট থেকে ট্রলার দিয়ে বিলাইছড়ি যেতে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে। ট্রলার রিজার্ভ নিলে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে। অবশ্যই দামাদামি করে নিন।

লোকাল ট্রলারে করে যেতে চাইলে কাপ্তাইঘাট থেকে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট, দুপুর ১ টা এবং ১ টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া ট্রলারে জনপ্রতি ৫৫ টাকা ভাড়ায় যেতে পারবেন। বিলাইছড়ি পৌঁছে আবার হাসপাতাল ঘাট থেকে ট্রলার রিজার্ভ করে গাছকাটা ঝরনা পাড়া পর্যন্ত যেতে হবে। যেতে ভাড়া ৫০০-১০০০ টাকার মতো পড়বে। এখানে নেমে গাইড ঠিক করে নিবেন। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে গাইড পেয়ে যাবেন। তারপর দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার ট্রেকিং করে যেতে হবে গাছকাটা ঝরনায়।

বর্ষায়   রাঙ্গামাটি   অন্য রূপ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আসছে কোরবানির ঈদ, ফ্রিজ যত্নে যা করবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১। পরিষ্কারের সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।

২। একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের দুর্গন্ধ দুর হবে।

৩। শিরিষ কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।

৪। বাজারে বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।

৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।


কোরবানির ঈদ   ফ্রিজ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

গরমে কীভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।

একজন কসমেটোলজিস্ট জানান, গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে। তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।

এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে।


সহজে ঘরে বসেই তৈরি করুন ট্যান দূর করার প্যাক:

১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়, গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর করতে ভূমিকা রাখে।

৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।

৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৫.দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম রং দূর করতে কাজ করে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   গরম   ত্বক  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কোমল ত্বক যত্নে শিশুকে রোদ থেকে দুরে রাখুন

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।

মৃদু উপসর্গ

* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত

* ব্যথা

* চুলকানি

তীব্র উপসর্গ

* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা

* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি

* ফোলা ভাব

* জ্বর, শীত শীত ভাব

* মাথা ব্যথা

* চোখে আঁধার দেখা

করণীয়

* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে

* গোসল করিয়ে দিতে হবে

* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান করাতে হবে

* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে

* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে

* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে

চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন

* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে

* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে

* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে

* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে

* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে

* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।

এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ

প্রতিরোধ

* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না

* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো

* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে


তাপ প্রবাহ   শিশু যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

তীব্র গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়!

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--

সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:  ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়  এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

 


তীব্র গরম   ঘর ঠাণ্ডা   রাখার উপায়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন