লিভিং ইনসাইড

অস্বাভাবিক সম্পর্ক কি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

নিজের বিশ্ববিদ্যালয়েই লেকচারার হয়ে জয়েন করলো মনামি। সবকিছুই চলছিল ঠিকঠাক। যেখানে পড়াশুনা, সেখানেই শিক্ষকতা বেশ উপভোগ্য তো অবশ্যই। যারা একসময়ের শিক্ষক, তাদের অনেকেই এখন সহকর্মী। প্রথমে একটু দ্বিধা হলেও সহায়তা করেছে সবাই। দিন গড়াতে লাগলো, সিনিয়র এক সহকর্মী আর প্রাক্তন শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্কের মাপকাঠি ছাড়িয়ে যেতে লাগলো। পুরুষ সহকর্মীটি ডিভোর্সি, সন্তান রয়েছে, বয়সেও অনেক বড়। তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে তাদের পুরো বিভাগেই চলছে কানাঘুষো। কেউই বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না। কারণ আমাদের দৃষ্টিতে সম্পর্কটি অবশ্যই অস্বাভাবিক।

অস্বাভাবিক সম্পর্ক বলতে যেটি বেশি বোঝায় সেটা হলো বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়া। আমাদের কাছে বয়সের ব্যবধান মানে হলো ছেলেটি মেয়েটির থেকে অবশ্যই বড় হবে, সেটা ৫-১০ বছর হলেই বেশি ভালো। কিন্তু সেই সীমা যদি ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায় সেটা তো অস্বাভাবিক মনে হবেই। সমাজে প্রায়ই দেখা যায়, একটি উঠতি বয়সী মেয়ে তার বাবার চেয়ে বেশি বয়সের ব্যক্তির প্রেমে পড়ছে। আবার কখনো এর উল্টোটাও ঘটে। এখন দেখা যায় বয়সে বড় মেয়েদের সঙ্গেও সম্পর্ক, বিয়েতে জড়িয়ে পড়ে ছেলেরা। আবার অন্যধর্মে প্রেম, সামাজিক অবস্থান উতরে প্রেম, পরিবারের মধ্যে অসম্ভব সম্পর্কের কারো সঙ্গে প্রেমের ঘটনা অহরহ ঘটছে। বিশেষ করে সেলিব্রিটি পর্যায়ে এই বিষয়টি বেশ কমন।

সম্পর্ক আর বিয়েশাদির রীতিনীতির ট্রেন্ড যুগে যুগে বদলাচ্ছে। সঙ্গে সম্পর্কের গতিপথও বদলায়। কিন্তু সম্পর্কের সূত্র বয়স, ধর্ম, জাত, শ্রেণীর ফ্রেমে বেঁধে দেওয়া সম্ভব না। বিভিন্ন ব্যবধানকে তুড়ি মেরে তুচ্ছ করে এমন সব সম্পর্ক হয়, যাকে আমরা একবাক্যে অস্বাভাবিক সম্পর্ক বলতেই পারি।

এই অস্বাভাবিক সম্পর্কের প্রবণতাকে আমরা আধুনিক সমাজে ‘কালচার’ ধরে নিতেই পারি। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এই কালচার হরহামেশাই চলে। তাদের কাছে এগুলো কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু আমাদের মতো মোটামুটি রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় নিজের গণ্ডি আর যোগ্যতা থেকে বেরিয়ে সম্পর্কে জড়ানোটাকে ভালোদৃষ্টিতে দেখা হয়না। মেনে নেওয়া তো দূরের কথা।

কিছু ভালো দিকও কিন্তু রয়েছে

সম্পর্ক যে সবকিছু দেখেশুনে বা বুঝে তা তো নয়। এই অস্বাভাবিক সম্পর্কগুলো কখনোবা ভিন্ন ম্যাচিউরিটির লেভেলে চলে যেতে পারে। বয়স, ধর্ম আর মানসিকতাকে উপেক্ষা করে যে পরিণতিগুলো হচ্ছে তা অনেক পরিপূর্ণ হয়। এতে সম্পর্কের রসায়ন গাঢ় হয়।

প্রেমটা তো হচ্ছে মন আর মানুষের সঙ্গে। এর সঙ্গে অন্য অনুসঙ্গ খুব একটা কাজ করছে না। একটা মানুষের চিন্তার সঙ্গে মিল পড়লেই বিয়ে বা সম্পর্ক হয়। তাই মানুষকে বিচার করার একটা আলাদা সুযোগ তৈরি হয়। এতে সুখ আসে।

মানুষ এই সম্পর্কগুলোর খাতিরে আরও অনেক বাস্তববাদী হয়। সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন অসামঞ্জস্য, ফারাকগুলো মানিয়ে নিতে গিয়ে মন পরিণত হতে পারে। জীবনে চলার পথে এই ম্যাচিউরিটির দরকার।

সঙ্গী অন্য ধরনের হলে তাতে ছাড় দেওয়া, বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে। এতে সঙ্গীর শরীর এবং মনকে বোঝার ক্ষমতা বাড়বে। এই বোঝাপড়া সম্পর্ক মজবুত করবে। সন্তুষ্টিও আসবে।

এই ধরনের সম্পর্কগুলোতে শুধু আবেগ, ভালোবাসাই থাকে না। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো, নিজেদের মূল্য, ভালোলাগার শেয়ারিংটাও বাড়ে। ফলে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। কোনো ঘাটতি থাকে না।

কিছু সমস্যা অবশ্যই থাকে

সঙ্গীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ফারাক থাকলে যোগ্যতার কমবেশিতে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। যে এগিয়ে থাকে সে সবসময় কর্তৃত্বের মুডে থাকে। অপরপক্ষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। এতে করে সহিংসতা, সমস্যা বাড়তে শুরু করে।

এর ফলে একে অন্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে থাকে। যে বয়স বা যোগ্যতায় এগিয়ে থাকবে, সে মনে করবে তার কথা সঙ্গী অবশ্যই মেনে চলবে। তার কোনো স্বাধীনতা থাকবে না। একটা বেড়াজাল, ইগো সম্পর্কটাকে ঢেকে দিতে পারে।

দুইপক্ষেরই মনের মধ্যে সবসময় খুঁতখুঁত করতে থাকবে যে এটা কি আসলেই প্রেম না মোহ চলছে। মনে হবে এটা একটা ফ্যান্টাসি। এই সম্পর্ক কতক্ষণ টেকসই হবে সেটা নিয়ে দ্বিধা কাজ করে। আকর্ষণটা থাকবে না চলে যাবে, এ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই যায়। ভবিষ্যতের দিকে এগোতে ভয় করে।

এই সম্পর্কগুলোতে বোঝাপড়ায় বিস্তর ব্যবধান চলে আসতে পারে। ফলে জন্ম নেয় দূরত্ব। দুজনের ভালোলাগা, মন্দলাগাগুলো মেলে না। ফলে সম্পর্ক ভাঙনের দিকে এগোয়। কখনো আবেগের অনুপস্থিতি চলে আসে। মিলেমিশে চলতে সমস্যা হয় অনেক ক্ষেত্রেই।

কীভাবে লাগাম টেনে ধরা সম্ভব

সবার আগে একটা কথা মনে রাখতে হবে, প্রেমে পড়তে তো কোনো কারণ লাগে না। কার সঙ্গে কখন কীভাবে সম্পর্ক তৈরি হবে, সেটা আপনি আমি কেউই বলতে পারি না। সমাজে বাস করা আর বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সম্পর্কগুলো স্বাস্থ্যকর হওয়া দরকার। এজন্য এই ধরনের সম্পর্কগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হয়তো বাঞ্ছনীয়।

আজকের দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্কগুলো গড়ে তোলা খুব খোলামেলা হয়ে গেছে এখন। এখানে সম্পর্ক হওয়ার কোনো মাপকাঠি থাকছে না। তাই সামাজিক মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে সাবধান হতে হবে।

মনে রাখতে হবে আপনি পরিবার আর সমাজের একটি অংশ। এই সমাজ আর পরিবারকে উপেক্ষা করা মানে বিরুদ্ধাচারণের মতো কাজ করা। তাই হয়ত এমন সম্পর্কগুলোকে ‘স্কিপ’ করে যাওয়া ছাড়া মনের বিরুদ্ধে যাওয়া ছাড়া দ্বিতীয় পথটি নেই। তবে ভালোবাসার জন্য সবকিছু মেনে নিয়ে চলার মানসিকতা ধীরে ধীরে বাড়ছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর

 

 



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আসছে কোরবানির ঈদ, ফ্রিজ যত্নে যা করবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১। পরিষ্কারের সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।

২। একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের দুর্গন্ধ দুর হবে।

৩। শিরিষ কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।

৪। বাজারে বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।

৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।


কোরবানির ঈদ   ফ্রিজ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

গরমে কীভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।

একজন কসমেটোলজিস্ট জানান, গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে। তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।

এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে।


সহজে ঘরে বসেই তৈরি করুন ট্যান দূর করার প্যাক:

১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়, গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর করতে ভূমিকা রাখে।

৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।

৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৫.দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম রং দূর করতে কাজ করে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   গরম   ত্বক  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কোমল ত্বক যত্নে শিশুকে রোদ থেকে দুরে রাখুন

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।

মৃদু উপসর্গ

* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত

* ব্যথা

* চুলকানি

তীব্র উপসর্গ

* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা

* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি

* ফোলা ভাব

* জ্বর, শীত শীত ভাব

* মাথা ব্যথা

* চোখে আঁধার দেখা

করণীয়

* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে

* গোসল করিয়ে দিতে হবে

* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান করাতে হবে

* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে

* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে

* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে

চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন

* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে

* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে

* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে

* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে

* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে

* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।

এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ

প্রতিরোধ

* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না

* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো

* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে


তাপ প্রবাহ   শিশু যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

তীব্র গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়!

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--

সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:  ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়  এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

 


তীব্র গরম   ঘর ঠাণ্ডা   রাখার উপায়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন