লিভিং ইনসাইড

ভালবাসা দিবসের যত অফার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

প্রেম প্রতিটা মুহূর্তের জন্য। তবু ক্যালেন্ডারের একটি দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আলাদা করে বরাদ্দ ভালবাসার জন্য। আর সে দিন জুড়ে কোন‌ও পরিকল্পনা থাকবে না, তা কি হয়! প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি পোষাক, নিজেকে সাজানো এবং খাওয়াদাওয়ার কথাও ভাবতে হবে। আর এ উপলক্ষে বিভিন্ন অফার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। 

পোষাক কেনাকাটা:

নিপুন, কে ক্র্যাফট, অঞ্জন’স, রঙ বাংলাদেশ, বাংলার মেলা, সাদাকালো, বিবিয়ানা, দেশাল, নগরদোলা ও সৃষ্টি- দেশীয় পোশাকের দশটি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে গড়ে ওঠা দেশীদশের সব কেন্দ্রেই রয়েছে ভালবাসা দিবস ও ফাল্গুন উপলক্ষে বিশেষ অফার। তাছাড়া বিভিন্ন অনুসঙ্গ, গয়না, হোম টেক্সটাইল এবং উপহার সামগ্রীর নতুন আয়োজনও রয়েছে। তাদের বিক্রয়কেন্দ্রগুলো রয়েছে- রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে, গুলশানের তেজগাঁও লিংক রোডের হাশিম টাওয়ারে, চট্টগ্রামের পাচঁলাইচের আফমি প্লাজায়, সিলেটের কুমাড় পাড়ায় বীর বিক্রম ইয়ামিন কমপ্লেক্সে, বগুড়ার রোমেনা আফাজ সড়কের, মিল্লাত প্লাজায়, নারায়ণগঞ্জের বালুরমাঠ ও চাষাড়ার প্যারাডাইস ক্যাসেলে।

মূল্যসীমা: সালোয়ার কামিজ ২ হাজার ২শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা। শাড়ি ৬শ’ থেকে ৮ হাজার টাকা। পাঞ্জাবি  ৫’শ থেকে ২ হাজার ৫’শ টাকা। কুর্তি সাড়ে ৭’শ থেকে ২ হাজার ৫’শ টাকা। শিশুদের পোশাক ২৫০ থেকে ২ হাজার টাকা।

অনলাইনে কেনাকাটা:

বিক্রয় ডটকম: দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয় ডটকম ভালোবাসা দিবস (১৪ ফেব্রুয়ারি) উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এলো বিশেষ অফার ‘ভ্যালেন্টাইন ডিলস’। এই অফারে গ্রাহকরা বিক্রয় ডটকম থেকে যেকোনো পণ্য কিনে জিতে নিতে পারবেন অসাধারণ কিছু উপহার। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিক্রয় ডিলসে থাকছে টি-শার্ট, মগ, পরিধেয় ফ্যাশন আইটেম, ঘড়ি ইত্যাদি। এছাড়া বিক্রয় ডিলস এ রয়েছে বিভিন্ন পণ্য যা গ্রাহকরা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য উপহার হিসেবে কিনতে পারবেন। বিক্রয় ডিলস’র যেকোনো পণ্য কিনেই প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে।

পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই চলছে হরদম অফারের খেলা। এরমধ্যে কেনাকাটায় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে অনলাইন, ই-কমার্স ও এফ-কমার্সগুলোও দিচ্ছে বিশেষ অফার।

পিকাবু ডটকম: ই-কমার্স সাইট পিকাবু ডটকম আয়োজন করেছে ‘ভ্যালেন্টাইন গিফট’ নামের আয়োজন। যেখানে প্রিয়জনদের গিফট দেওয়ার জন্য হরেক রকম পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যে আছে বিশেষ অফারও।

প্রিয়শপ ডটকম: যুগলদের বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে প্রিয়শপ ডটকম তাদের সাইটে একটি কর্ণার খুলেছে। যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন কিছু অফার দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিকাশে পেমেন্ট করলে ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক, কার্ডে পেমেন্টে ১০ শতাংশ এবং কোন অর্ডার করলে সেটার সঙ্গে একটি কুপন পাবেন। এই কুপন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুরস্কার দেওয়া হবে।

দারাজ: ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে ই-কমার্স প্লাটফর্ম দারাজ থেকে ইউমিডিজির ফোনে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় মিলছে। ইউমিডিজির এস ২ লাইট, ওয়ান এবং ওয়ান প্রো ডিভাইস তিনটি ছাড়ে পাওয়া যাবে। ১৫ হাজার ৯৯০ টাকার ইউমিডিজির এস ২ লাইট ৫০ শতাংশ ছাড়ে পাওয়া যাবে ৭ হাজার ৯৯৫ টাকায়। ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তির সুবিধা সমৃদ্ধ ওয়ান প্রো পাওয়া যাচ্ছে ১৭ হাজার ৯৯১ টাকায়। ডিভাইসটির বাজারে মূল্য ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা। এছাড়া আরও কয়েকটি মডেলের ফোনে বিশেষ ছাড় রয়েছে এই ই-কমার্স সাইটে।

বাগডুম ডটকম: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাগডুম ডটকম তাদের সাইট সাজিয়েছে ভালোবাসা দিবসের আদলে। সেখানে বিভিন্ন পণ্যে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে।

নিজেকে তৈরী করুন:

জারা’র অফার:

জারা’স বিউটি লাউঞ্জ দিচ্ছে রূপচর্চায় বিশেষ প্যাকেজ অফার। প্রথম প্যাকেজে থাকছে মেকওভার, হেয়ার স্টাইল, শাড়ি পরাসহ এক স্টিক মেহেদির সঙ্গে এক স্টিক মেহেদি ফ্রি। এই প্যাকেজের মূল্য ১ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়াও ১ থেকে ৪ হাজার টাকার সার্ভিস নিলে তার সঙ্গে মেনিকিওর, পেডিকিওর, হেয়ার কাট, থ্রেডিং, ডিপ ক্লিনজিং ও হেয়ার স্পা একদম ফ্রি। এ অফার চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর ১ হাজার টাকার কাজ করালে ৪৫ শতাংশ ফ্ল্যাট ডিসকাউন্ট তো চলবেই!

হারমনি স্পা ও ক্লিওপেট্রা বিউটি স্যালনের অফার:

হারমনি স্পা ও ক্লিওপেট্রা বিউটি স্যালন দিচ্ছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দুটি বিশেষ প্যাকেজ। মাত্র ২ হাজার ৯৫০ টাকায় হারমনি স্পার এই প্যাকেজে থাকছে ‘হলদি-চন্দন ফেসিয়াল, আলমন্ড সুপার বডি স্ক্রাব মেনিকিউর ও পেডিকিউর। ক্লিওপেট্রা বিউটি স্যালনে মাত্র ১ হাজার ৪০০ টাকায় থাকছে ‘ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল ক্লিনজিং ফেসিয়াল, ক্লিনজিং মেনিকিউর ও পেডিকিউর, আন্ডার আর্ম ওয়াক্স, আই ব্রাউস অ্যান্ড আপার লিপ্স থ্রেডিং। এ ছাড়া ক্লিওপেট্রা বিউটি স্যালন দিচ্ছে যে কোনো হেয়ার লেন্থে ব্রাজিলিয়ান ব্লো ড্রাই মাত্র ৬ হাজার ৯০০ টাকায়। এ অফারটি চলবে ফেব্রুয়ারি জুড়ে।

হোটেল-রেস্টুরেন্ট অফার:


হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল: ভালোবাসা দিবসে নানা আয়োজন থাকছে রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। এখানে রুমের ক্ষেত্রে রয়েছে প্যাকেজ।

একেক রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাবে একেক অফার। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ক্যাফে সোশ্যালে থাকবে বিভিন্ন স্বাদের কেক ও কাছের মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য গুডিস। একই রেস্তোরাঁয় পুরো ফেব্রুয়ারিতে যুগলদের জন্য রয়েছে ‘আফটারনুন টি’। এর মধ্যে আছে ক্রিম পনিরের সঙ্গে শশা, রাইয়ের পাউরুটির ওপর সুগন্ধি লতা ও পেঁয়াজ, চিকেনের সঙ্গে মেয়নেজ, ঝাল স্বাদে বানানো ডিমের মেয়নেজসহ নরওয়ের স্যামন, প্রভৃতি। পেস্ট্রি ও কেক তো আছেই। প্রতিদিন দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ অফার পাওয়া যাবে। দুই জনের জন্য ‘আফটারনুন টি’ প্যাকেজ ৩ হাজার ৯৯৯ টাকা (কর ও সারচার্জ অন্তর্ভুক্ত)।

এছাড়া খোলা আকাশের নিচে হিমশীতল আমেজে ভালোবাসা দিবসের সন্ধ্যা কাটাতে চাইলে বুকিং করা যাবে ইন্টারকন্টিনেন্টালের পুল ‘প্রাইভেট গজিবো’ ও ‘অ্যাকুয়া ডেক’। দুটি প্যাকেজেই রয়েছে মোমবাতির আলোয় খানাপিনা ও বেহালা পরিবেশনা। দম্পতির জন্য প্রাইভেট এই প্যাকেজ ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা (কর ও সারচার্জ অন্তর্ভুক্ত)। আর অ্যাকুয়া ডেক প্যাকেজের মূল্য দু’জনের জন্য ৭ হাজার ৯৯৯ টাকা (কর ও সারচার্জ অন্তর্ভুক্ত)।

এলিমেন্টসে ভালোবাসা দিবসে থাকবে বুফে ডিনার। শুধু খাবারেই নয়, সাজগোজ আর ফুলের সমারোহে থাকবে ভালোবাসবার নিদর্শন। জনপ্রতি চার হাজার ৫০০ টাকা।

প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও: ভালোবাসা দিবসে তারা বিশেষ আয়োজন করছে। এর শিরোনাম ‘কাম ফ্লাইট উইথ মি মাই ভ্যালেন্টাইন’। কমপক্ষে দুটি বাংলাদেশি প্যাকেজ নিলে এতে অংশ নেওয়া যাবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে করেছে র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে বিজয়ী।

প্রথম পুরস্কার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সৌজন্যে ঢাকা-দুবাই রুটের টিকিট। দ্বিতীয় পুরস্কার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের এক্সিকিউটিভ স্যুটে একরাত থাকার সুযোগ। এছাড়া তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী প্রিমিয়ার রুমে একরাত থাকতে পারবেন। প্রতিটি পুরস্কার দুই জনের জন্য।

হোটেলে বাংলাদেশি প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে দুইজনের থাকা। ভাড়ায় ক্যাফে বাজারের বুফে নাশতা, সুইমিং পুল ব্যবহারের সুযোগ, উচ্চগতির ওয়াইফাই ও পাঁচতারকা সেবা অন্তর্ভুক্ত। ডিলাক্স রুমের ভাড়া ১২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে শুরু।

এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বড় বড় শহরগুলোতে রেস্টুরেন্ট দিয়েছে বিশেষ ছাড়।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আসছে কোরবানির ঈদ, ফ্রিজ যত্নে যা করবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১। পরিষ্কারের সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।

২। একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের দুর্গন্ধ দুর হবে।

৩। শিরিষ কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।

৪। বাজারে বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।

৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।


কোরবানির ঈদ   ফ্রিজ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

গরমে কীভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।

একজন কসমেটোলজিস্ট জানান, গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে। তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।

এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে।


সহজে ঘরে বসেই তৈরি করুন ট্যান দূর করার প্যাক:

১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়, গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর করতে ভূমিকা রাখে।

৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।

৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৫.দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম রং দূর করতে কাজ করে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   গরম   ত্বক  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কোমল ত্বক যত্নে শিশুকে রোদ থেকে দুরে রাখুন

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।

মৃদু উপসর্গ

* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত

* ব্যথা

* চুলকানি

তীব্র উপসর্গ

* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা

* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি

* ফোলা ভাব

* জ্বর, শীত শীত ভাব

* মাথা ব্যথা

* চোখে আঁধার দেখা

করণীয়

* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে

* গোসল করিয়ে দিতে হবে

* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান করাতে হবে

* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে

* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে

* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে

চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন

* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে

* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে

* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে

* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে

* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে

* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।

এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ

প্রতিরোধ

* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না

* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো

* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে


তাপ প্রবাহ   শিশু যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

তীব্র গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়!

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--

সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:  ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়  এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

 


তীব্র গরম   ঘর ঠাণ্ডা   রাখার উপায়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন