লিভিং ইনসাইড

সময় দিন আপনার পরিবারকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

খুব ব্যস্ত আপনি, ব্যস্ততা ছাপিয়ে কথন একটু বিশ্রাম নেবেন, সেই ফুসরত খুঁজতেই আপনি ক্লান্ত। অফিস থেকে বাসা, আবার বাসা থেকে নেই অফিস। অফিসেও তো কাজের চাপ আর অশান্তির কোনো শেষ নেই। বাসায়ও তো অশান্তি বা ঝুটঝামেলার শেষ থাকে না। সবমিলিয়ে জীবনটা কেমন ঘেটে যাচ্ছে। অথচ আপনি প্রায়ই ভাবেন যে আগের দিনগুলো কত সুন্দর ছিল। পরিবারের সঙ্গে কত ভালো একটা বোঝাপড়া, সখ্যতা ছিলো একসময়। কিন্তু দিন যাচ্ছে, আর আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন নিজের প্রিয় পরিবার থেকে। এটা কি আসলেই ঠিক?

মনোবিদেরা বলছেন, সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের মূলমন্ত্র- পরিবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটনো। এই পারিবারিক সময় যে খুব আয়োজন করে কাটাতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

টেলিভিশন, ট্যাব,স্মার্টফোন আর ল্যাপটপ ব্যবহারের মধ্যদিয়ে খাবার টেবিলে জায়গা করে নিয়েছে প্রযুক্তি। এসব ডিভাইস দূরে সরিয়ে খাবার টেবিলে গল্প করুন পরিবারের সব সদস্য মিলে। বাবা-মায়েরই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে একে পারিবারিক নিয়মে পরিণত করতে। ইন্টারনেটের মহে আমরা রীতিমতো দিশেহারা। পারিবারিক আড্ডা বা বন্ধুমহলেও আমরা আড্ডা রেখে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তাছাড়া অফিসের সারাদিনের ধকল শেষে বাড়িতে ফিরেই আবারো ইন্টারনেট নিয়ে পড়ে থাকি। এতে পরিবারের সদস্যের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। তাই যতটুকু সম্ভব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরত থাকুন এবং পরিবারকে যথার্থ সময় দিন।

পরিবারের সদস্যদের খাবারের পছন্দ অপছন্দ আমরা সবাই কম বেশি জানি।  সপ্তাহের একটি দিন সবাই একত্রে পরিবারের প্রিয় মানুষগুলোর জন্য পছন্দের খাবার রান্না করা যাক। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত এবং পরিবারের সাথে কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করার সৌভাগ্য হবে।

পরিবারের নিজেদের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে মাসে অন্তত একদিন সবাই মিলে ঘুরতে যান। এছাড়াও কোন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে আত্মীয়তার বন্ধনও দৃঢ় হবে। এতে কাজের একঘেয়েমিও দূর হবে এবং পরিবারের সঙ্গে খানিকটা সময়ও কাটবে।

পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে বাচ্চাদের যোগাযোগ তৈরি করুন। এতে ছোটদের মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধ তৈরি হবে। মাঝে মধ্যে পুরনো ফ্যামিলি অ্যালবাম দেখুন সবাই মিলে। স্মৃতিচারণেও বর্তমান প্রজন্ম পারিবারিক ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত হয়। পরিবারে দাদা-দাদী ও নানা-নানীর কাছাকাছি থাকার সৌভাগ্য হয় না অনেকের। মুরুব্বিদের কাছে না পাওয়ার বেদনাটা ঝাপসা বরাবরের মতোই। পারিবারিক মুল্যবোধ তৈরিতে বয়োজ্যেষ্ঠদের অভাববোধ করতে হবে। তাদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন সবসময়।

উৎসবমুখর পরিবেশ সবসময়ই পরিবারকে আরও কাছে আনে। জীবনের নানা ব্যস্ততার কারণে আমরা অনেকেই পরিবারের সঙ্গে বিশেষ দিনগুলো উদযাপন করতে পারি না। এতে পারিবারিক সম্পর্কেও বাড়ে দূরত্ব। তবে নিজেরা একটু চাইলেই সময়ের স্বল্পতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে, যতটুকু সময় পাওয়া যায় তার মাঝেই নিজেদের মধ্যে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ও দূরত্ব ঘুচিয়ে আনার উপলক্ষ্য তৈরি করতে পারি।

প্রায়ই অফিসে কাজের চাপ প্রচুর থাকে। কাজ সময়মত সারতে না পারলে কাজ বাসায় বয়ে নিয়ে যেতে হয়। যার ফলে যে সময়টুকু আপনি পরিবারকে দিতেন তার অনেকাংশই কাজের ব্যস্ততায় ব্যয় হয়। তাই যতটুকু সম্ভব অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করুন, পরিবারকে সময় দিন। সারাদিন কি ঘটলো তা পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করুন। এতে পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।

ব্যস্ততা কমে না, দিন দিন বেড়েই চলে। হয়তো কাজের ব্যস্ততায় সবার সঙ্গে দেখা হওয়াটা কঠিন হয়ে পড়েছে দিন দিন। একই শহরে থেকেও একদিন দেখা করার সময়টিও যেন হয়ে উঠে না, কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এখন শুধু আপনার শহরই নয়, গোটা পৃথিবী আপনার হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তাই হাজারো কাজের ফাঁকে নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে পরিবারের সঙ্গে আন্তরিকতা আরও বাড়বে।

মনে রাখবেন, হাহাকারের জীবনে পরিবারই শেষ আশ্রয়স্থল, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে সবসময়। এই যে এত কর্মযজ্ঞ, তার সবই পরিবারের জন্য। তাই খেয়াল রাখতে হবে, কাজ যেন পরিবারকে অবহেলার কারণ না হয়ে ওঠে। একজন মানুষ যত বড় হোক না কেন তার মূল গ্রথিত থাকে পরিবারেই। পরিবারের সুখ-দুঃখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। পরিবারের সুখই হচ্ছে প্রকৃত সুখ। তাই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি বিশেষ করে শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। তাদের ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাতে একদিকে যেমন আপনি ভাল থাকবেন তেমনি দেশটাও সুনাগরিকে ভরে যাবে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিবাহবিচ্ছেদে উৎসব করে যে দেশের নারীরা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিচ্ছেদ মানেই অসহনীয় এক পৃথিবী, বিচ্ছেদ মানেই ‘জীবনের শেষ’ এ রকম মনে করে না মৌরিতানিয়ার নারীরা। বিচ্ছেদের পর ওই নারীর সৌজন্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তার পরিবার। স্বামীর ‘যন্ত্রণা’ পেরিয়ে মেয়েরা নিজের ঘরে আরেকবার ফিরে আসার সুযোগ পাওয়ায় দেশটিতে বিচ্ছেদ উদ্যাপন করা হয়।

পরিবারের সব সদস্যরাই বিষয়টি স্বাভাবিক চোখেই দেখেন। তারা মনে করেন, ভালোর জন্যই মেয়ে আবার পরিবারে ফিরে এসেছে। এই ফিরে আসাকে তারা ‘কলঙ্কমুক্ত’ জীবনের সুযোগ হিসেবেও দেখেন। তাই একটি ব্যর্থ সম্পর্কের ইতি ঘটায় আনন্দে। সব আয়োজন শেষ হলে বিচ্ছেদী নারী অবিবাহিতদের কাতারে চলে যান।

আরও পড়ুন: নারীর প্রতি এক পৃথিবী সম্মান থাকুক প্রতিটি পুরুষের

মরুভূমির তরুণী মেহেদি শিল্পী একাগ্রচিত্তে আলপনা আঁকছেন তার আজকের খদ্দের ইসেলেখে জেইলানির হাতে। তিনি খুবই সতর্ক, কোনোভাবেই যেন ভেজা মেহেদিতে দাগ না পড়ে! ঠিক যেমনটি ছিলেন বিয়ের আগের দিন। এবার কিন্তু তার বিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ!

বিবাহ বিচ্ছেদ উপলক্ষে পরদিন হবে উৎসব। জেইলানির মা এই আনন্দে নিমন্ত্রণ করেছেন শহরবাসীকে। উল্লসিত কণ্ঠে বলছেন, তার মেয়ে এবং মেয়ের প্রাক্তন দুজনেই ভালোভাবে বেঁচে আছে।

মায়ের কথা শুনে হাসলেন জেইলানি। তিনি তখন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাটে মেহেদির ছবি পোস্ট করতে ব্যস্ত। মেহেদির ছবি পোস্ট করা বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার আধুনিক সংস্করণ হয়ে উঠেছে। যদিও মৌরিতানিয়ায় এটি বহু পুরোনো সংস্কৃতি।

বিচ্ছেদের উৎসবে আগে ছিল নাচ, গান আর ভোজ। এখন সেলফি প্রজন্মে এসে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। আলপনা আঁকা কেক। মেয়েরা এখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্ব ভরে আনন্দের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

অনেক দেশের সংস্কৃতিতে বিবাহবিচ্ছেদকে লজ্জাজনক হিসেবে দেখা হয়। তবে পশ্চিম আফ্রিকার সুন্দর দেশ মৌরিতানিয়ায় এটি কেবল স্বাভাবিকই নয়, নারীদের কাছে আনন্দের উপলক্ষ! কারণ, শিগগিরই তার আবার বিয়ে হবে। বহু শতাব্দী ধরেই সেখানে নারীরা আরেক নারীর বিবাহ বিচ্ছেদে উৎসব করে।

মৌরিতানিয়ার ২০১৮ সালের এক সরকারি রিপোর্টে দেখা যায়, এক তৃতীয়াংশ বিয়ে ডিভোর্সের পরিণতি পেয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ নারী আবার বিয়ে করেছেন। আর ২৫ শতাংশ বিয়ে করেনি।

মৌরিতানিয়া প্রায় শতভাগ মুসলিম দেশ। এখানে ঘন ঘন বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অনেকে ৫ থেকে ১০ বার বিয়ে করে। কেউ কেউ ২০ বারেরও বেশি!

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে মৌরিতানিয়ায় এ প্রসঙ্গে খুব বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এর আংশিক কারণ হচ্ছে, এখানে বিবাহবিচ্ছেদ প্রায়শই মৌখিক হয়, নথিভুক্ত নয়।

দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদ এতটা সাধারণ কেন—সে প্রসঙ্গে দেশটির সমাজবিজ্ঞানী নেজওয়া এল কেত্তাব বলেন, মৌরিতানীয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মৌর সম্প্রদায় তাদের বাবার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে শক্তিশালী মাতৃতান্ত্রিক প্রবণতা পেয়েছে। দেশটির যাযাবর সম্প্রদায় নারীদের মর্যাদার কথা ছড়িয়ে দিয়েছে বহুদিকে। অন্যান্য মুসলিম দেশের তুলনায় মৌরিতানিয়ার নারীরা বেশ স্বাধীন।

তিনি আরো বলেন, দেশটিতে বিয়েকে পেশা হিসেবেও নেয়া যায়।

আরও পড়ুন: যুগের পরিবর্তনে আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টি ভঙ্গিতেই কি বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?

এখানে বিশেষ পরিস্থিতিতে নারীরাও বিবাহ বিচ্ছেদের পদক্ষেপ নিতে পারেন। অনেক নারী আছেন যারা কখনোই বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবেন না। এরপরও বিচ্ছেদ যদি ঘটেই যায়, তাহলে নারীদের সমাজে সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণে এখানে এমন নারীদের কেউ নিন্দা করে না, বরং সমর্থন জানায়। সমাজই পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলে।

আরও পড়ুন: দাম্পত্যে বয়সের ব্যবধান কতটা ঝুঁকির?

উল্লেখ্য, মৌরিতানিয়া হলো যাযাবর, উট আর আকাশ ভরা তারা ও উজ্জ্বল চাঁদের দেশ। কখনো কখনো ১০ লাখ কবির দেশও বলায় একে। হয়তো এ কারণেই এখানে বিবাহবিচ্ছেদও কাব্যিক!


বিবাহবিচ্ছেদে   উৎসব   নারী  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি মেটাবেন যেভাবে!

প্রকাশ: ০৮:১০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আমাদের অভিমান, অনুরাগ সমস্তই জমা হয় প্রিয়জনের নামে। সম্পর্কে প্রাধান্য বেশি থাকে বলে ভুল বোঝাবুঝির ভয়টাও থাকে বেশি। বিশেষ করে দুইজন দুই জায়গায় থাকলে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রাটা যেন বেড়ে যায়।

কাছে থাকলে একটুখানি ঠোঁটের হাসিতে, চোখের চাহনিতে যে কথা বোঝানো যায়, দূরে থাকলে তা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তাইতো একটি ইতিবাচক বিষয়ও নেতিবাচক হতে সময় লাগে না। কিন্তু এই ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়তে দিলেই মুশকিল। সেখান থেকে জন্ম নিতে পারে আরো বড় দূরত্বের।

প্রেম কিংবা বিয়ে এই দুই সম্পর্কেও সঙ্গীর সঙ্গে  নানা কারণে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর এ থেকেই বাড়ে দূরত্ব। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যায়। তাই ভুল বোঝাবুঝির হলে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে দ্রুত। সমস্যা কাটিয়ে সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু টিপস।

১. যখন কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের ভুল বোঝাবুঝি হবে তখন দুই পক্ষের কথা শুনতে হবে। শুধু নিজের কথা বলে সঙ্গীর কথা না শুনলে সমাধান আসবে না কখনও। তাই দুজনের কথা বলার সুযোগ থাকবে। এর পর দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিন সমাধানের পথ কীভাবে খুঁজবেন।   

২. ভুল বোঝাবুঝির প্রধান কারণ হল সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের অভাব। আমরা যেভাবে ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করার চেষ্টা করি সেটাই সম্পর্কের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে। রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নিয়ে আসবে না বরং দূরত্ব বাড়াবে। তাই যে সমস্যাই হোক না কেন কথা বলে সমাধান করুন।

৩. সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে অনেকেই খুব রাগারাগি করেন কিংবা তাকে ছোট করে কথা বলেন। সম্পর্ক টিকে রাখতে অন্যজনকে সম্মান করা জরুরি। তাই রাগ থাকলেও সঙ্গীকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন তার কথা শুনুন। আপনার খারাপ আচরণ তার মনে স্থায়ীভাবে আপনার জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে।  

৪. নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আলোচনার মাঝখানে বিভ্রান্ত না হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আবার দেখা যায় অনেকেই কথা বলার মাঝে রেগে যান যদি এমনটা করেন তাহলে আজ থেকেই এই অভ্যাস বাদ দিন।

৫. খুব বেশি আবেগতাড়িত না হয়ে সময় বিশেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন। আপনি যদি সবসময় নিজের আবেগ প্রকাশ করেন তাহলে সঙ্গীর কাছে আপনার গুরুত্ব কমে যেতে পারে। তাই সবার আগে এটা বুঝতে চেষ্টা করুন কোথায় এবং কখন নিজের আবেগ প্রকাশ করবেন।

৬. তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিয়ে অনেকেই ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করতে চান। এমন করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করুন। কারণ তৃতীয় পক্ষের কাছে নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা পরবর্তী সময়ে জটিলতা বাড়াতে পারে।


সম্পর্ক   ভুল   বোঝাবুঝি  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আসছে কোরবানির ঈদ, ফ্রিজ যত্নে যা করবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১। পরিষ্কারের সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।

২। একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের দুর্গন্ধ দুর হবে।

৩। শিরিষ কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।

৪। বাজারে বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।

৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।


কোরবানির ঈদ   ফ্রিজ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

গরমে কীভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।

একজন কসমেটোলজিস্ট জানান, গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে। তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।

এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে।


সহজে ঘরে বসেই তৈরি করুন ট্যান দূর করার প্যাক:

১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়, গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর করতে ভূমিকা রাখে।

৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।

৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৫.দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম রং দূর করতে কাজ করে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   গরম   ত্বক  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কোমল ত্বক যত্নে শিশুকে রোদ থেকে দুরে রাখুন

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।

মৃদু উপসর্গ

* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত

* ব্যথা

* চুলকানি

তীব্র উপসর্গ

* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা

* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি

* ফোলা ভাব

* জ্বর, শীত শীত ভাব

* মাথা ব্যথা

* চোখে আঁধার দেখা

করণীয়

* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে

* গোসল করিয়ে দিতে হবে

* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান করাতে হবে

* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে

* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে

* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে

চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন

* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে

* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে

* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে

* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে

* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে

* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।

এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ

প্রতিরোধ

* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না

* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো

* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে


তাপ প্রবাহ   শিশু যত্ন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন