নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৯ পিএম, ০৩ জানুয়ারী, ২০২০
ঠান্ডার দিন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাতাসে বয়ে চলা হিমেল বাতাস। শীত এসে পড়েছে। আর শীত মানেই তো পিকনিকের মেজাজ, পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া, বাইরে গিয়ে সব্বাই মিলে মজা করা। এক আলাদাই আনন্দ। তবে তার আগে, এই সময়ে দাঁড়িয়ে পিকনিকে ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে আমাদের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা প্রয়োজন।
প্যাকেটজাত খাবার কিংবা পানীয়, এগুলো ছাড়া কি পিকনিক জমে? যখন আমরা স্টোরগুলিতে এ সব কিনতে যাই, তখন মাত্র কয়েকটি বিকল্পই আমাদের চোখে পড়ে- যেমন প্লাস্টিক, কাচ বা স্টিলের বোতল, অ্যালুমিনিয়ামের ক্যান, কাগজের ব্যাগ ইত্যাদি। এই প্রতিটি জিনিস পরিবেশের উপর কী ভাবে প্রভাব ফেলে, সে বিষয়টি কিন্তু বেশ জটিল। এর মধ্যে ওই প্যাকেজজাত দ্রব্যের উৎপাদন, উপকরণ, পরিবহণ, ওজন, পুর্নব্যবহারযোগ্যতা এবং শেষ অবস্থা- এই সমস্ত কিছু নির্ভর করে।
কোনও দোকানে গেলেই আমরা বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজজাত খাবার বা পানীয় দেখতে পাই। কিন্তু এগুলি সেখানে আসে কী ভাবে। এ বার চোখ রাখা যাক, প্যাকেজজাত দ্রব্যগুলির উপরে। এগুলি তৈরি হয় কী ভাবে?
প্লাস্টিক
প্লাস্টিক উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয় তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্জ্য দিয়ে। এই কাঁচামালগুলি ছোট ছোট টুকরোতে ভেঙে ফেলা হয়, যাকে বলা হয় মনোমার। এই মনোমারগুলি রাসায়নিক ভাবে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ একটি চেইন তৈরি করে। যেটিকে বলে পলিমার। এই পলিমারই হল প্লাস্টিক, যেগুলি বোতল বা প্যাকেজজাত দ্রব্য হিসেবে আমরা বাজারে দেখতে পাই।
গ্লাস:
তরল বালি, সোডা অ্যাশ (প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি সোডিয়াম কার্বোনেট), চুনাপাথর, পুনর্ব্যবহৃত কাচ এবং বিভিন্ন যৌগ যোগ করে নতুন কাচ তৈরি করা হয়। এর পরে এগুলিকে বোতল আকারে বাজারে সরবরাহ করা হয়।
অ্যালুমিনিয়াম ক্যান:
অ্যালুমিনিয়াম ক্যানগুলি তৈরি হয় বক্সাইট নামে এক ধরনের খনিজ পদার্থ থেকে। শ্রমিকেরা খনি থেকে কাঁচা বক্সাইট উত্তোলন করেন যা জল দূষণ, মাটি ক্ষয় ইত্যাদির মতো পরিবেশের ক্ষতি করে।
ইনসুলেটেড স্টিল বোতল:
ছাঁচের মধ্যে, প্লাস্টিক রেজিনের ছোট ছোট বলকে উত্তপ্ত করে একটি পছন্দসই আকার দেওয়া হয়। যদি বাইরের মোড়কটি স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি হয়, তবে বাইরে থেকে স্টেইনলেস স্টিলের একটি পাত দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এগুলির পরিবহণ করা হয় কী ভাবে?
স্বল্প দূরত্বের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক বোতলের পরিবহণ খরচ কম। প্লাস্টিক বোতল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এমন ভাবে ডিজাইন তৈরি করে, যাতে এগুলিকে একসঙ্গে শক্ত ভাবে প্যাক করা যায়। এগুলি হালকা ওজনের, ফলে জ্বালানির খরচও কম হয়।
যেখানে কাচের বোতলগুলি বেশ ভারী এবং জ্বালানির খরচও বেশি হয়। কাচের বোতল ভঙ্গুর হওয়ার কারণে, প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়ামের মতো এগুলিকে পাশাপাশি, শক্ত ভাবে বেঁধেও রাখাও যায় না। ফলে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়।
অ্যালুমিনিয়াম ক্যানগুলি ছোট এবং হালকা হওয়ার ফলে একসঙ্গে একটি ছোট জায়গায় এঁটে যেতে পারে।
টেট্রা প্যাকগুলিও সাধারণত হালকা হয় এবং অন্যান্য প্যাকেজিং-এর তুলনায় কম জায়গা লাগে। কিন্তু আবারও টেট্রা প্যাক তৈরি করতে যে কাঠের প্রয়োজন হয় তা কিন্তু অরণ্য বিনাশের দিকই ইঙ্গিত করে।
তবে অন্য দিকে, স্টেইনলেস স্টিল বা অন্য ধাতব বোতলগুলি ভারী হয় এবং পরিবহণের ক্ষেত্রে বেশি শক্তি এবং জায়গার প্রয়োজন হয়।
সব শেষে এগুলির ঠাঁই হয় কোথায়?
প্লাস্টিক
প্লাস্টিক বোতল ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। প্লাস্টিক আসলে খারাপ নয়। বরং আমরা যে ভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করি, যে ভাবে এটি ব্যবহারের পরে ফেলে রাখি, তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক।
কাচ এবং স্টিল বোতল:
কাচের বোতল কিংবা ধাতব বোতলগুলি ১০০ শতাংশ পুনর্বব্যহারযোগ্য। প্রায় ৮০ শতাংশ কাচের বোতল বা পাত্র ভেঙে নতুন কাচের বোতল তৈরি করা হয়। এবং স্টিলের বোতলগুলি নিজেই পুনরায় ব্যবহারযোগ্য।
তবে সমস্যা হল, পুনর্ব্যবহারযোগ্য পানির বোতলগুলি থেকে একটি সময়ের পরে বায়োফিল্ম (এক ধরনের জীবাণু যার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ইত্যাদি থাকে) তৈরি হয়। বোতলগুলিকে প্রতি দিন ২০-৩০ মিনিট ধরে গরম পানিতে না ফোটালে তা সঠিক ভাবে পরিষ্কার হয় না। এই বোতলগুলিতে পরিষ্কার পানি ভরা হলেও বায়োফিল্মগুলি ওই পানিকে পুনরায় দূষিত করে কারণ পরিষ্কার পানিতে থাকে জৈব কার্বন ওই ব্যাকটেরিয়াদের খাদ্য। এর ফলে ডাইরিয়া, বমি, পেট খারাপ ইত্যাদির মতো রোগ দেখা যায়।
অ্যালুমিনিয়াম ক্যান:
অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানগুলি কোনও সীমা ছাড়াই বার বার পুনর্ব্যবহার করা যায়। তবে, অ্যালুমিনিয়াম অ্যাসিডিক তরলগুলির সঙ্গে প্রতিক্রিয়াশীল। সুতরাং, অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানগুলিকে একটি এনামেল বা ইপোক্সির প্রলেপ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উঠে যায়।
টেট্রা ব্যাগ:
প্লাস্টিকের মতো টেট্রা ব্যাগও ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। তবে দুর্ভাগ্যবশত, ৬০ শতাংশ টেট্রা ব্যাগই শেষ ভাগে ঠাঁই পায় মাটিতে। অক্সিজেনের অভাবে এগুলি প্রায় ১০ বছর থেকে কয়েকশো বছর অবধি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে না। কখনও কখনও এই ধরনের ব্যাগগুলির ওজন এবং আয়তন প্লাস্টিকের থেকে বেশি হওয়ার কারণে এগুলিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার খরচও প্লাস্টিকের থেকে অনেক বেশি হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।
ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ
শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।
কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-
১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।
মন্তব্য করুন
দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--
সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।
দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।
গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।
আর্দ্র বাতাস: ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।
ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।
চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।
অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।
তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
তীব্র গরম ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।