লিভিং ইনসাইড

দৃষ্টির বদলটা কবে হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

সৃষ্টিকর্তা প্রথম যখন কোনও জীব সৃষ্টি করে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেন, সর্বপ্রথম তার চোখ দুটি আগে প্রস্ফুটিত করেন এই সুন্দর পৃথিবীকে দেখার জন্য। এই পৃথিবীর সব থেকে উন্নত জীব, মানুষ ও এর ব্যতিক্রম নয়।একটি শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সে অনেকটা পরে গিয়ে, কথা বলা, চলাফেরা করা, বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করা আয়ত্ত করে।কিন্তু সে জন্মের কিছুক্ষণ পর থেকেই গোল গোল চোখ করে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে এই পৃথিবীটিকে।সেই থেকেই তার দেখার শুরু।

যখন কোনও শিশু প্রথম এই পৃথিবীতে জন্মায় তখন তার মন থাকে একটা সাদা কাগজের মতো।তার মন তখন থাকে শান্তির প্রতীক।কিন্তু পরবর্তীতে এই সমাজ সংসারই তার সেই সুন্দর মনে হিজিবিজি এঁকে দেয় বা কোনও পরিবার তাকে আরও সুন্দর হতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।তাই এই পৃথিবীটাকে দেখার ,জানার, বোঝার দৃষ্টিভঙ্গী মানুষ প্রথম আয়ত্ত করতে শেখে এই পৃথিবী থেকেই।

আমাদের দৃষ্টি সবসময় আমাদের চারপাশে লাটিমের মতো ঘুরপাক খায়।মানুষের দৃষ্টির অগোচরে আছে এমন কোনও বস্তু এই পৃথিবীতে নেই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায়-
                               "দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া,
                                 ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া।"

তাই একটু দেরিতে হলেও দৃষ্টি আমাদের সকল জায়গাতেই পৌঁছায়। এই সমাজ ,সংসার, পরিবার, দেশ তথা পৃথিবীর সমস্ত কিছু আমাদের দেখার দৃষ্টিভঙ্গীর উপর নির্ভর করে। যে যেমনটি দেখতে চাই, এই পৃথিবী তাঁর কাছে তেমন ভাবেই ধরা দেয়।আমরা এই দৃষ্টির সাহায্যেই একজন মানুষ আর একজন মানুষকে পর্যবেক্ষণ করি।এমনকি নিজের ব্যক্তিত্বের ও প্রকাশ ঘটে এই দৃষ্টিভঙ্গীর মাধ্যমে।এক একজনের দেখার দৃষ্টিপাত এক একরকম হয়।দেখার দৃষ্টিভঙ্গীর উপর ই মানুষের চরিত্রের প্রকাশ ঘটে।দেখার দৃষ্টি ই একজনের সঙ্গে আর একজনের পার্থক্য ও তৈরি করে।

কিছু মানুষের দৃষ্টি কুদৃষ্টির আকার ধারণ করে।আর একজন মানুষের চোখের জল ও ঝড়াতে বাধ্য করে।কুদৃষ্টি সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। শুধুমাত্র অ, আ, A,B,C,D জানা  প্রাণীকে শিক্ষিতের পর্যায়ে ফেলতে নারাজ হতেই হয়।শিক্ষিত তো সেই, যার পেটে বিদ্যা না থাকলেও মনে মানবিক বিদ্যা আছে।অন্য মানুষ কে সম্মান দেওয়ার ক্ষমতা আছে।

এখনো  ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এই সমাজেই একটি মেয়ে কে পোশাক বিতর্কে জর্জরিত হতে হয়! বোরকা নাকি জিন্স? জিন্স টপ পড়া মেয়ে ভালো না খারাপ? ধর্ষণ হলে আগে সমালোচিত হতে হয় মেয়েটি কি পড়েছে তা নিয়ে। ঘরের বউ কি পোষাক পড়ে বাইরে বের হলো সেটাও এক জাতীয় সমস্যা হয়ে যায়। ঐ মেয়ে টা এতো রাতে কোথা থেকে বাড়ি ফিরল? ঘরের বৌযের বাইরে কাজ করাটা কতটা সম্মানের?

এই সব কিছু নিয়ে, এই সমাজেই চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেউ কেউ একটু গলার জোরটা বাড়িয়ে নির্দ্বিধায় বলেন--

আমার মেয়ে! সে তো সেলেয়ার কামিজ ছাড়া অন্য কিছু পড়েই না।তাও আবার সঙ্গে তার ওড়না টা নেওয়া চাই ই চাই। আর ঐ তো দেখি অমুকের মেয়ে কি বাজে ,কি বাজে একটা ওড়না নেওয়ার কোনও বালাই ই নেই! 

এই সমস্ত মানুষ গুলোর দেখা আমরা কম বেশি সকলেই পাই।এই সমস্ত মানুষগুলোকে একটাই প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে--

আপনার মেয়ে কে আঁটো সাঁটো করে বুকে ওড়না পেঁচিয়ে নিতে খুব তো বলেন, সে তো খুব ভালো কথা। তা আপনার ছেলে কে কি কখনো এই শিক্ষা টা দেন, যে- শোন না ,তুই কখনো কোনও মেয়ের বুকের ওড়না সরে গেলে তাঁর দিকে যেন লোভনীয় দৃষ্টি ভঙ্গীতে তাকাস না, তাঁকে তুই বোন/ দিদির সম্মান দিয়ে চোখটি নামিয়ে নিস।কারণ এই পৃথিবীতে তোর জীবন সঙ্গী মাত্র একজন ই হবে।বাদ বাকি সবাই তোর মায়ের জাত, মায়ের অংশ।

না, এই শিক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা, বা মানসিকতা সবার নেই।কিন্তু সমস্ত মা তাঁর মেয়ে কে অনেক কিছু ই শেখায়।যেদিন আমাদের দেশের মায়েরা তাঁর পুত্রসন্তানটিকে মেয়েদের সম্মান কিভাবে করতে হয় সেই শিক্ষা দিতে পারবে সেদিন ই প্রতিটা দেশ ধর্ষণ মুক্ত হবে।কারণ দেখার দৃষ্টিভঙ্গী টা স্বচ্ছ, সুন্দর না হলে কখনোই সমাজ উন্নত হতে পারে না। পরিবার ই পারে তাঁর সন্তান কে সুশিক্ষা দিতে, আবার এই পরিবারের কোনও না কোনও সদস্যের কাছ থেকে সেই সন্তান টিই কুশিক্ষা ও আয়ত্ত করতে পারে।
             
তাই কেউ যখন বাজে কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়,তখন তাঁর পরিবারের দিকেই আঙুল টা আগে ওঠে।কারণ তাঁর এই বাজে স্বভাবের দায়,তাঁর পরিবারের উপর ই বর্তায়।

মানুষ কতটা নিন্মমানসিকতার হলে,কতটা বর্বরোচিত পরিবার, পরিবেশে মানুষ হলে,কতটা কুশিক্ষা আয়ত্ত করলে, একটি মানুষ আর একটি মানুষের মুখে অ্যাসিড ছুঁড়তে পারে! চিরতরে একটি মানুষের বেঁচে থাকার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি টা নষ্ট করে দিতে পারে!

এগুলো ভাবলেই গাঁয়ে কাঁটা দেয়।এই সব মানুষ রুপি জানোয়ার গুলো কিন্তু তার পরিবার কে দেখেই বড়ো হয়েছে। এরা এটা শিখেছে যে, মেয়েরা ভোগ্য সামগ্রীর বস্তু বই অন্য কিছু নয়।তাঁদের কে নিজের ইচ্ছা মতো না কাছে পেলেই চিরতরে শেষ করে দিতে হয়।কোনও বাবা যদি তাঁর সন্তানের সামনে তাঁর মা কে সম্মান করে, মেয়ে জাতিকে সম্মান করে, তাহলে সেই বাবার ছেলে আর যাইহোক কখনোই রেপিষ্ট হবে না,এটা দায়িত্ব নিয়ে বলা যায়।

বর্তমানে কাজের প্রয়োজনে, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার তাগিদে, একটু স্বাধীনভাবে বাঁচর ইচ্ছে বুকে নিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি কর্পোরেট জগতেও মেয়েরা এখন প্রবেশ করছে। বেসরকারি জগতে সব কিছুই রঙিন, চকচকে, হাইফাই।কত মেয়ে এই রঙিন জগতের লালোসাময় দৃষ্টিতে ডুবে যেতে বাধ্য হয়, তার হিসাব রাখা দুষ্প্রাপ্য! প্রতিনিয়ত কত মেয়েদের গুঁমড়ানো কান্নার শব্দ কেবলমাত্র ইঁটের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী হয়ে রয় তার পরিসংখ্যা কেউ জানে না। 
        
যে মেয়ে প্রকাশ্যে ধর্ষিত হয়, তাঁর খবর খবরের কাগজে খবর হয়ে প্রকাশ পায়, আলোচনা, কোনটা জাতীয় ইস্যু হয়ে যায়, আবার ধর্ষণ হয় ,অন্য কোনো অন্ধকার গলিময় রাস্তায়। এখানে মেয়েটি কেনো অন্ধকার গলিতে গেছে, সেই প্রশ্ন টাই সবার আগে স্হান পায়। এটাই হচ্ছে আমাদের `দৃষ্টি`।

তাই সব কিছুর আগে এই দৃষ্টিভঙ্গীর বদল চাই।যদি বীজ পোতা ভালো হয়, তাহলে সৃষ্টি ভালো হয়,আর সৃষ্টি ভালো হলে, পৃথিবী এক নতুন রূপ পায়।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আসছে কোরবানির ঈদ, ফ্রিজ যত্নে যা করবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১। পরিষ্কারের সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।

২। একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের দুর্গন্ধ দুর হবে।

৩। শিরিষ কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।

৪। বাজারে বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।

৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।


কোরবানির ঈদ   ফ্রিজ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

গরমে কীভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।

একজন কসমেটোলজিস্ট জানান, গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে। তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।

এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে।


সহজে ঘরে বসেই তৈরি করুন ট্যান দূর করার প্যাক:

১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়, গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর করতে ভূমিকা রাখে।

৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।

৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৫.দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম রং দূর করতে কাজ করে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   গরম   ত্বক  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কোমল ত্বক যত্নে শিশুকে রোদ থেকে দুরে রাখুন

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।

মৃদু উপসর্গ

* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত

* ব্যথা

* চুলকানি

তীব্র উপসর্গ

* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা

* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি

* ফোলা ভাব

* জ্বর, শীত শীত ভাব

* মাথা ব্যথা

* চোখে আঁধার দেখা

করণীয়

* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে

* গোসল করিয়ে দিতে হবে

* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান করাতে হবে

* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে

* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে

* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে

চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন

* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে

* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে

* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে

* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে

* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে

* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।

এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ

প্রতিরোধ

* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না

* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো

* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে


তাপ প্রবাহ   শিশু যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

তীব্র গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়!

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--

সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:  ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়  এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

 


তীব্র গরম   ঘর ঠাণ্ডা   রাখার উপায়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন