লিভিং ইনসাইড

এই গরমে ঘরেই আইসক্রিম তৈরির ১৬টি রেসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ০৫ মার্চ, ২০২১


Thumbnail

আইসক্রিম, নামটি শুনলেই জিভে জ্বল চলে আসে। আর সেটা যদি হয় গরমে তাহলে তো কথাই নেই। গরমে শরীর ঠান্ডা করে এই আইসক্রিম। অনেকেই ঘরোয়াভাবে আইসক্রিম তৈরি করতে চায়। কিন্তু রেসিপির অভাবে তা করতে পারে না। তাদের জন্যই এখন দেওয়া হচ্ছে আইসক্রিম তৈরির ১৬টি রেসিপি। দেখে নিন রেসিপিগুলো।

চকলেট আইসক্রিম

উপকরণ :
১. ডাবল বয়লারে গলানো চকলেট ১/৩ কাপ,২. কোকো পাউডার ১ কাপ,৩. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,৪. পানি আড়াই কাপ,৫. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৬. চিনি পৌনে ১ কাপ,৭. ক্রিম ১ টিন,৮. জেলেটিন গলানো ১ টেবিল চামচ,৯. সিএমসিপাউডার গোলানো ১ টেবিল চামচ,১০. তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ,১১. ডিমের সাদা অংশ ২টি,১২. চিনি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি :
> প্রথমে গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি ব্লেন্ড করে নিন। এবার মিশ্রণটি চুলায় দিয়ে ঘন করে নিন। গরম থাকতেই এতে তরল গ্লুকোজ মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে এতে জেলেটিন ও সিএমসি মিশান। ক্রিম ও গলানো চকলেট ও কোকো পাউডারের মিশ্রণ দিয়ে বিট করে ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা জমতে দিন। বের করে বিট করে আবার জমতে দিন। এভাবে ২ ঘণ্টা পরপর কয়েকবার করুন। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও চিনির মেরাং দিয়ে বিট করে ভালোভাবে জমতে দিন।

ম্যাঙ্গো আইসক্রিম

উপকরণ :
১. পাকা আমের কাঁথ ১ কাপ, ২. টক দই ২-৩ টেবিল চামচ, ৩. হেভি ক্রিম ২০০ মিলি, ৪. কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ, ৫. ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ।

প্রণালি :
> ফ্রিজ থেকে সদ্য বের করা হেভি ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করুন। ‘সফট পিক’ বা চূড়ার মতো হলে এর সঙ্গে কনডেন্সড মিল্ক, আমের কাঁথ, টক দই এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে পরিষ্কার প্লাস্টিক কন্টেইনারে ডিপ ফ্রিজে ছয় থেকে আট ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পরিবেশন করুন।

ভ্যানিলা আইসক্রিম

উপকরণ :
১. হেভি ক্রিম ২০০ মিলি,২. কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ (মিষ্টি কম বেশির উপর পরিমাণ কমাবেন বা বাড়াতে পারেন), ৩. ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা-চামচ।

প্রণালি :
> ফ্রিজ থেকে সদ্য বের করা হেভি ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করুন। ‘সফট পিক’ বা চূড়ার মতো হলে কনডেন্স মিল্ক, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে পরিষ্কার প্লাস্টিক কন্টেইনার বা বাক্সে ডিপ ফ্রিজে ছয় থেকে আট ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পরিবেশন করুন।

স্ট্রবেরি আইসক্রিম

উপকরণ :
১. স্ট্রবেরি ১০টি,২. হেভি ক্রিম ২ কাপ,৩. কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, ৪. চিনি ২ টেবিল-চামচ (স্বাদমতো),৫. এক ফোঁটা লাল খাবার রং,৬. স্ট্রবেরি এসেন্স ১ চা-চামচ।

প্রণালি :
> আস্ত স্ট্রবেরি ও চিনি ব্লেন্ডার ব্লেন্ড করে স্ট্রবেরি পিউরি তৈরি করে নিতে হবে৷ ইলেক্ট্রিক কেক বিটার দিয়ে প্রথমে হেভি ক্রিম আট মিনিট বিট করুন। ক্রিমটা ফোমের মতো হয়ে আসলে কনডেন্সড মিল্ক, ভ্যানিলা এসেন্স এবং স্ট্রবেরি পিউরি দিয়ে দুই মিনিট বিট করে সব একসঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। সব মিশে গেলে একটি এয়ার টাইট বাক্সে ভরে, চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখলে জমে তৈরি হয়ে যাবে মজাদার স্ট্রবেরি আইসক্রিম ৷

অরেঞ্জ আইসক্রিম

উপকরণ :
১. কমলার রস ১ কাপ,২. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,৩. পানি আড়াই কাপ,৪. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৫. চিনি পৌনে এক কাপ, ৬. ক্রিম ১ টিন, ৭. জেলেটিন গলানো ১ টেবিল চামচ, ৮. সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল চামচ, ৯. তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ, ১০. ডিমের সাদা অংশ ২টা,১১. চিনি ২ টেবিল চামচ দিয়ে করা মেরাং।

প্রণালি :
> গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। গরম অবস্থাতেই এতে তরল গ্লুকোজ মেশান। তারপর ঠান্ডা করে এতে জেলেটিন ও সিএমসি পাউডার গোলানো মিশ্রণ মেশান। এতে ক্রিম ও কমলার রস দিয়ে বিট করে ফ্রিজে জমতে দিন। ৩-৪ ঘণ্টা পর বের করে বিট করে আবার জমান। এভাবে কয়েকবার করুন। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও মেরাং দিয়ে দিয়ে বিট করে ভালোভাবে জমিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

ফ্রুট আইসক্রিম

উপকরণ :
১ কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,২. ভ্যানিলা এসেন্স হাফ চা-চামচ,৩. পানি ঝরানো টকদই ১ কাপ, ৪. ফলের কুচি ১ কাপ,৫. আমন্ড-পেস্তা-কাজু কুচি আধ কাপ,৬. ক্রিম ১৭০ গ্রাম ,৭. গুড়া দুধ আধ কাপ।

প্রণালি :
> আধ কাপ ফলের কুচি ও সিকি কাপ বাদাম কুচি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন ।কয়েক রকম ফুড কালার মিশিয়ে আলাদা আলাদা বক্সে রেখে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা রাখুন। ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে বাকি ফলের কুচি ও বাদাম কুচি মিশিয়ে চার ঘণ্টা জমিয়ে পছন্দমতো ফলের কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন ।**টিপস : ফ্রুট আইসক্রিমে পাকা আম, কলা, আপেল, সেন, স্ট্রবেরি, চেরি, আঙুর ইত্যাদি ফল ব্যবহার করা যায়।

গ্রিন ম্যাঙ্গো ললি

উপকরণ :
১. পানি ৪ কাপ,২. চিনি ১ কাপ,৩. গ্রিন ম্যাঙ্গো জুস ৬ টেবিল চামচ, ৪. লবণ আধা চা-চামচ,৫. ম্যাঙ্গো এসেন্স ৭-৮ ফোঁটা,৬. সবুজ রং অল্প,৭. কাঠি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি :
> সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ভালোভাবে। তারপর ছেঁচে নিন। আইসক্রিমের চাঁছে ঢেলে প্রতিটার ওপরে ১টা করে কাঠি ঢুকিয়ে দিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে জমান। ভালোভাবে জমে গেলে পরিবেশন করুন।

চকবার

উপকরণ :
১. হুইপ ক্রিম ১ কাপ,২. ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা-চামচ, ৩. চকলেট আধা কাপ,৪. তরল দুধ ৩-৪ কাপ,৫. গুঁড়া দুধ ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি :
> হুইপ ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করে নিয়ে চিনি দিয়ে আবার বিট করুন। তারপর এতে ভ্যানিলা এসেন্স ও গুঁড়া দুধ ও তরল দুধ দিয়ে বিট করতে হবে। তারপর ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। চকলেট চুলায় দিয়ে ডাবল বয়লারে গলিয়ে নিন। আইসক্রিমের ছাঁচে গলানো চকলেট লাগিয়ে নিয়ে একটু জমিয়ে নিয়ে এতে হুইপ ক্রিমের মিশ্রণটা দিয়ে কাঠি দিয়ে ফ্রিজে জমতে দিতে হবে ৩-৪ ঘণ্টা। পরিবেশনের আগে আইসক্রিমের ছাঁচটা সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে সহজে ছাঁচ থেকে আইসক্রিম বের হয়ে আসবে।

ত্রিরত্ন আইসক্রিম

উপকরণ :
১. চিনি ১ কাপ,২. পানি ১ কাপ,৩. বেদানার রস ১ কাপ, ৪. করমচার রস আধা কাপ,৫. চেরির পিউরি আধা কাপ।

প্রণালি :
> চিনি ও পানি অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে চিনি গলিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে এই চিনির শিরায় বেদানা, চেরি ও করমচার পিউরি মিলিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে ৩-৪ ঘণ্টা। তারপর ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। আবার ফ্রিজে জমতে দিন। বের করে আবার বিট করে ফ্রিজে জমতে দিতে হবে। এভাবে কয়েকবার করে ভালোভাবে জমে গেলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

পেস্তা আইসক্রিম

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,২. পানি আড়াই কাপ,৩. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৪. জেলেটিন গোলানো ১ টেবিল চামচ,৫. সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল চামচ, ৬. চিনি পৌনে ১ কাপ,৭. ক্রিম ১ টিন,৮. তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ,৯. পেস্তার পেস্ট ১ কাপ,১০. একটু সবুজ রং,১১. ২টা ডিমের সাদা অংশ,১২. ২ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে করা মেরাং।

প্রণালি :
> প্রথমে গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি একত্রে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এটাকে জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। গরম থাকতেই এতে গ্লুকোজ মেশাতে হবে। তারপর ঠান্ডা হলে জেলেটিন ও সিএমসি মিশিয়ে ক্রিম ও পেস্তার পিউরি দিয়ে ভালোভাবে বিট করতে হবে। তারপর ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা জমতে দিন। বের করে আবারও বিট করে আবার ফ্রিজে জমতে দিন। এ রকম করে ৩-৪ বার জমাতে ও বিট করে নিন। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও চিনি ও মেরাং দিয়ে বিট করে জমাতে হবে। ভালোভাবে জমে গেলে পরিবেশন করুন।

মিক্স ফ্রুট ইয়োগার্ট আইসক্রিম

উপকরণ :
১. পানি ঝরানো টকদই ৫০০ গ্রাম,২. মিক্স ফ্রুট ২ কাপ,৩. ক্রিম ১ কাপ,৪. ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা-চামচ, ৫. গলানো সাদা চকলেট ১/৩ কাপ,৬. আইসিং সুগার সিকি কাপ,৭. ঘন তরল দুধ ১ কাপ,৮. গুঁড়া দুধ ১/৩ ভাগ।

প্রণালি :
> ক্রিমটা ভালোভাবে বিট করে নিতে হবে। সাদা চকলেট ডাবল ব্রয়লারে দিয়ে গলিয়ে নিয়ে এতে ক্রিম, টকদই, চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালোভাবে বিট করুন। গুঁড়া দুধ দিতে হবে। মিক্সড ফ্রুট (চিনির শিরায় রাখা) দিয়ে ফ্রিজে জমতে দিন। ৩-৪ ঘণ্টা পর বের করে কাঁটা চামচ দিয়ে নেড়ে আবার ফ্রিজে জমতে দিন। তারপর সারা রাত ফ্রিজে রেখে জমিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মিক্সড ফ্রুট ইয়োগার্ট আইসক্রিম।

মনোলোভা আইসক্রিম

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,২. পানি আড়াই কাপ,৩. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৪. চিনি ২ টেবিল চামচ,৫. ক্রিম ১ টিন, ৬. জেলেটিন গোলানো ১ টেবিল চামচ,৭. সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল চামচ,৮. তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ,৯. পছন্দমতো ৫টি ফলের রস ও রং,১০. ডিমের সাদা অংশ ২টা,১১. চিনি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি :
> প্রথমে গুঁড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি বিট করে নিয়ে চুলায় দিয়ে ঘন করে এতে তরল গ্লুকোজ দিন। ঠান্ডা করে এতে জেলেটিন ও সিএমসি মিশিয়ে ক্রিম দিয়ে বিট করে ফ্রিজে জমতে দিন ৩-৪ ঘণ্টা। এরপর এটাকে ৫ ভাগে ভাগ করে পছন্দমতো স্বাদ ও রং মিশিয়ে বিট করে আবারও জমতে দিন। ২ ঘণ্টা পরপর বের করে বিট করে নিন। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও চিনির মেরাং দিয়ে বিট করে ফ্রিজে জমতে দিন। তারপর পছন্দমতো গ্লাসে পরপর আইসক্রিমগুলো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চকলেট-আমন্ড আইসক্রিম

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,২. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৩. পানি আড়াই কাপ,৪. চকলেটবার ১টি,৫. কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, ৬. চকলেট ফ্লেভার আধা চা-চামচ,৭. চিনি পৌনে ১ কাপ,৮. ক্রিম ১৭০ গ্রাম,৯. আমন্ড পেস্ট আধা কাপ,১০. আমন্ড কুচি আধা কাপ,১১. জেলাটিন পাউডার ১ টেবিল চামচ,১২. গ্লুকোজ গাম সিকি চা-চামচ,১৩. ৩টি ডিমের সাদা অংশ।

প্রণালি :
> গুঁড়া দুধ, কর্নফ্লাওয়ার, পানি, চিনি, কোকো পাউডার ও চকলেট একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে চুলায় জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। আধা কাপ পানির সঙ্গে জেলাটিন পাউডার গুলিয়ে দুধের মিশ্রণের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। এতে আমন্ড পেস্ট, গ্লুকোজ গাম, ক্রিম ও এসেন্স দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বাক্সে করে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে। ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে আবার ফ্রিজে রাখতে হবে। এভাবে দুবার করতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ফোম করে আইসক্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে আমন্ড কুচি ছড়িয়ে পাঁচ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করতে হবে।

ফ্রুট ইয়োগার্ট আইসক্রিম

উপকরণ :
১. পানি ঝরানো টকদই ১ কাপ,২. কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,৩. ভ্যানিলা এসেন্স সিকি চা-চামচ, ৪. ফলের কুচি ১ কাপ,৫. আমন্ড-পেস্তা-কাজু কুচি আধা কাপ,৬. ক্রিম ১৭০ গ্রাম,৭. গুঁড়া দুধ আধা কাপ।

প্রণালি :
> আধা কাপ ফলের কুচি ও সিকি কাপ বাদাম কুচি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। কয়েক রকম ফুড কালার মিশিয়ে আলাদা আলাদা বাক্সে রেখে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে।> ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে বাকি ফলের কুচি ও বাদাম কুচি মিশিয়ে চার ঘণ্টা জমিয়ে পছন্দমতো ফলের কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। এতে পাকা আম, কলা, আপেল, সেন, স্ট্রবেরি, চেরি, আঙুর ইত্যাদি ফল ব্যবহার করা যায়।

মধু আর ফলের আইসক্রিম

উপকরণ :
১. ক্যানের কোকোনাট মিল্ক ১ কাপ,২. নারকেলের মিষ্টি চিড়া আধা কাপ,৩. খেজুর কুচি ১ কাপ,৪. সাগরকলা ২টি, ৫. কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,৬. ক্রিম ১৭০ গ্রাম,৭. মধু ২ টেবিল চামচ,৮. মিল্ক ফ্লেভার সিকি চা-চামচ।

প্রণালি :
> আধা কাপ খেজুর কুচি ও নারকেলের চিড়া বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বাক্সে রেখে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে আবার ব্লেন্ড করে তিন ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে আইসক্রিমের বাক্স বের করে আধা কাপ খেজুর কুচি ও নারকেলের চিড়া মিশিয়ে নিতে হবে। আবার ফ্রিজে চার ঘণ্টা রেখে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

স্ট্রবেরি-মালাই কুলফি

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ দেড় কাপ,২. কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন,৩. মালাই ১ কাপ, ৪. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,৫. স্ট্রবেরি সিরাপ আধা কাপ,৬. স্ট্রবেরি এসেন্স সিকি চা-চামচ,৭. পেস্তাবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ,৮. পানি দেড় কাপ।

প্রণালি :
> গুঁড়া দুধ, পানি, কনডেন্সড মিল্ক, এসেন্স ও কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে গুলিয়ে ঘন করে জ্বাল দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। এতে মালাই দিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট বিট করে বাক্সে করে ফ্রিজে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে।ফ্রিজ থেকে কুলফি বের করে স্ট্রবেরি সিরাপ ও বাদাম কুচি মিলিয়ে কুলফির ছাঁচে ঢেলে তিন ঘণ্টা জমাতে হবে।

** টিপস– 
অনেকের ধারণা, বাসায় তৈরি আইসক্রিম ভালো হয় না। আইসক্রিমের ভেতরে বরফ থেকে যায় শক্ত হয়ে যায়। আইসক্রিম নরম হয় না।    – রেসিপির নিয়ম মেনে আইসক্রিম তৈরি করতে হবে।
– আইসক্রিম ঘন করে জ্বাল দেওয়ার পর ভালো করে ব্লেন্ড অথবা বিট করতে হবে। মিশ্রণটা যেন হালকা হয়ে যায়।
– যে পাত্রে আইসক্রিম জমাতে হবে, সেটি শুকিয়ে মুছে নিতে হবে। তারপর ২০ থেকে ২৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে আইসক্রিমের মিশ্রণ ঢেলে ফ্রিজে রেখে জমাতে হবে।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

গরমে কীভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।

একজন কসমেটোলজিস্ট জানান, গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে। তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।

এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে।


সহজে ঘরে বসেই তৈরি করুন ট্যান দূর করার প্যাক:

১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়, গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর করতে ভূমিকা রাখে।

৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।

৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৫.দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম রং দূর করতে কাজ করে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   গরম   ত্বক  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কোমল ত্বক যত্নে শিশুকে রোদ থেকে দুরে রাখুন

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।

মৃদু উপসর্গ

* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত

* ব্যথা

* চুলকানি

তীব্র উপসর্গ

* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা

* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি

* ফোলা ভাব

* জ্বর, শীত শীত ভাব

* মাথা ব্যথা

* চোখে আঁধার দেখা

করণীয়

* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে

* গোসল করিয়ে দিতে হবে

* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান করাতে হবে

* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে

* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে

* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে

চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন

* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে

* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে

* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে

* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে

* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে

* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।

এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ

প্রতিরোধ

* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না

* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো

* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে


তাপ প্রবাহ   শিশু যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

তীব্র গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়!

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--

সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:  ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়  এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

 


তীব্র গরম   ঘর ঠাণ্ডা   রাখার উপায়  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।

ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।

আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।

আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।

শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।

কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।

স্বাভাবিক ত্বক

যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস

যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে।  ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

হলুদের প্যাক

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো প্যাক

টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।


ঈদ   ত্বক   যত্ন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন