নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৮
আমাদের এত বড় পৃথিবীতে মেয়েরা এখনো তাদের কতোছোটই না মনে করে। এর বড় কারণ হলো এই পৃথিবীটাই তাদের প্রতিভা আর যোগ্যতা দেখে নিতে এখনো প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি। এই মেয়েদেরই সব ঝড়ঝঞ্ঝার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে। তাই তাদের এই মেয়ে হয়ে ওঠার জন্য, লড়াইয়ের ক্ষমতা থাকার জন্য গর্ববোধ হওয়া উচিৎ। আর এজন্য তাদের কিছু বিষয় জীবনের সঙ্গে একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখতে হবে।
বইকে ভালোবাসুন
নতুন বইয়ের গন্ধ কার আ ভালো লাগে। সবারই জানা আছে যে বইয়ের থেকে ভালো বন্ধু আর কিছু হয়না। এমনটাও বলা হয় যে, বইয়ের সংস্পর্শে থাকা মানেই পুরোপুরি স্মার্ট। তাই ভালোবাসা, প্রেম বা সুন্দর সঙ্গীর পিছনে সময় নষ্ট না করে বইকে আর বইয়ের গন্ধকে ভালোবেসে তার মধ্যে হারিয়ে যান।
পারলে বিশ্বকে ঘুরে দেখুন
ঘরে বসে থেকে কেন হাবিজাবি অনর্থক বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে? এতে করে মস্তিস্ক যে আরও এলোমেলো হয়ে যায়, সেটাও তো আমাদের ভাবা উচিৎ। এজন্য সবচেয়ে ভালো হয় আপনার ব্যাগ এবং ব্যাগেজ গুছিয়ে ফেলুন আর বিশ্ব পরিভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন। এই বেরিয়ে পড়া আপনার স্বপ্নের জানালা খুলে দিতে পারবে নিমিষেই। নতুন সূর্যের ছোঁয়া আর সুখের পৃথিবীর রাজ্যের অনভূতি নিন।
নিজেই নিজের হিরো বা আদর্শ হয়ে যান
আপনি যদি নিজেই নিজের হিরো হন তাহলে সুপারম্যানদের মতো সুপার হিরোদের তো প্রয়োজনই থাকে না। সত্যি বলতে নিজেকে অশুভ কিছু থেকে বাঁচাতে কোনোকিছুরই প্রয়োজন নেই। আপনি একাই যথেষ্ট। নিজের পায়ে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে আপনার যথেষ্ট যোগ্যতা আছে। এজন্য নিজেকে পরিস্ফুটিত করুন। সবার কাছে আপনিই আদর্শিক হয়ে উঠুন।
সৌন্দর্যের চেয়ে বুদ্ধিমত্তা আর সাহসকে প্রাধান্য দিন
আপনার চারপাশের সবাই আপনাকে আপনার সৌন্দর্য নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা করবে। কিন্তু কেউ সহজে আপনাকে সাহসী আর বুদ্ধিমান মেয়ে বলে প্রশংসা খুব কমই করবে। একটা মেয়ে সুন্দর হওয়ার থেকে আরও অনেককিছু্ই হওয়ার আছে। নিজেকে এমনভাবে তৈরি করুন যাতে আপনি যেখানেই যান, আপনাকে সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে না মেপে সাহসী আর বুদ্ধিমতী বলেই সম্বোধন করে।
উত্থানের সঙ্গে পতনকেও মনে রাখুন
আপনি আপনার সফলতাকেই শুধু মনে রাখবেন, সেটাই শুধু উৎযাপন করবেন তা নয়। ব্যর্থতা বা পতনগুলোকেও মাথায় রাখুন। ব্যর্থতা বা হৃদয়ভাঙার গল্পগুলো সময়ের সঙ্গে আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। যে বা যা কিছু আপনার হৃদয়ভাঙার জন্য দায়ী, তাকে দেখিয়ে দিন আপনিও উঠে দাঁড়াতে পারেন। সরাসরি প্রতিশোধ না দিয়ে আপনার কাজের মাধ্যমে দেখিয়ে দিন।
কান্না আসলে কাঁদুন
অনেকে কান্না আসলে সেটা চেপে রেখে দেন। এটা কখনোই উচিৎ না। খারাপ লাগলে কাঁদুন। রাত এলে চুপি চুপি নিজের মতো করে কেঁদে নিন। দেখবেন পরের সকালটা শুরু হচ্ছে একেবারে নতুন আমেজে। আপনি যদি মন ভরে কাঁদতেই না পারেন তবে হৃদয় খুলে হাসতেও পারবেন না। পৃথিবী কি বলবে সেটা নিয়ে অতো ভাববেন না। সেটাই করবেন যেটা আপনার কাছে সঠিক বলে মনে হয়।
অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসুন
রহস্য-রোমাঞ্চ প্রিয় নারী হয়ে উঠুন আর প্রতিনিয়ত অন্তরাত্মা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন, নতুন কিছু খুঁজুন। এই নতুন রহস্যই বোধহয় আপনাকে স্বপ্নের নতুন পথ দেখাবে। আপনি অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন আরও বেশি করে।
ভালো কিছু বন্ধু তৈরি করুন
আপনার চারপাশে প্রচুর মানুষ বাস করে। যাদের মধ্যে কিছু মানুষকে তো অনেক বেশি আপন আর নিজের মনের মতো বলে মনে হবেই। হুম, এদের মাঝেই বানিয়ে ফেলুন কিছু ভালো বন্ধু। তাদের পাশে থাকুন, তাদের পাশে রাখুন। দেখবেন তারাই ভালোলাগার অন্যতম উৎস হয়ে উঠবে।
অবশ্যই স্বপ্নকে সঙ্গে রাখুন
আপনার অবশ্যই কোনো না কোনো স্বপ্ন আছে জীবনে। এই স্বপ্ন আর লক্ষ্যই আপনাকে সব প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার শক্তি জোগাবে। আপনি কতোটা প্রতিকূলতার সঙ্গে ভুগছেন সেটা বিষয় না, এর মাঝেই সামনে এগোনোর পথ আপনি ঠিকই পেয়ে যাবেন।
নিজেকে ভালোবাসুন
সবার আগে প্রয়োজন নিজেকে ভালোবাসা। আপনার নিজেকে পরিবর্তনের প্রথম চাবিকাঠি আপনার কাছেই আছে। সবাইকে খুশি রাখা বা সবার মনোরঞ্জন করাই আপনার মূল কাজ নয়। আপনার নিজের তো একটা পছন্দ-অপছন্দ আছে। সেটা নিয়ে বাঁচুন।
সূত্র: আপলিফটিং স্ট্রিম
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।