নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৮ এএম, ০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
পত্রিকাটা হাতে আসার পর সবার আগেই রাশিফলের পাতাটি খুলে বসে রিয়াদ। উদ্দেশ্য ‘আজকের দিনটি কেমন যাবে’ সেটা দেখা। এই কাজটি তার নিয়মিত রুটিনের মধ্যে পড়ে। আজ কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে কিনা, অর্থযোগ কেমন হবে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে কেমন হবে দিনটি- এগুলো সে মোটামুটি প্রতিদিনই অনুসরণ করে। কোনোদিন রাশিফল কিছুটা মেলে, কখনো সেটা একদমই মেলে না। গত সকালে তার রাশিফলে লেখা ছিল কর্মস্থানে তিনি আজ সফল। কিন্তু ঘটলো তার উল্টোটা। অফিসে গিয়েই খেতে হলো বসের তুমুল ঝাড়ি। মনে হলো তার রাশিফল কি তবে তাকে ভুল নির্দেশনা দিলো?
রাশিফল, সংখ্যাচক্র পড়ে পড়ে এমন বিভ্রান্ত আমরা অনেকেই হই। খুব শখ করে রাশিফল, সংখ্যাচক্র দেখে কিছু ঘটনা হয়তো মেলে, কিছু মেলে না। এই প্রযুক্তির জয়জয়কারের মধ্যে আমরা কীভাবে এখনো রাশিফলকে বিশ্বাস করে দিন শুরু করি, সেটাই বড় প্রশ্ন।
বিভিন্ন রাশিফল-বিশারদরা, জ্যোতিষীরা নানা ইতিবাচক কথায় ভরপুর করে, নেতিবাচক বাণী অপেক্ষাকৃত কম দিয়ে, অস্পষ্ট, ধোঁয়াশা করে আপনার সম্পর্কে বানোয়াট কথা লিখে দেন হয়তো। আর আমরা জ্যোতিষীর ওপর ভরসা করে খুবই খুশি মনে এসব কথা বিশ্বাস করে নিই।
সৌরজগতের কতোগুলো গ্রহ-নক্ষত্রের প্রতীকই হলো রাশি। কল্পিত মোট ১২টি রাশি রয়েছে- মেষ, বৃষ, সিংহ, কন্যা, তুলা, মিথুন, কর্কট, ধনু, মকর, কুম্ভ, মীন ও বৃশ্চিক। জোতিষশাস্ত্রে সূর্য ১২ মাসে ১২টা রাশিতে অবস্থানের কারণে এই ১২টি রাশি। তারা বলেন, সূর্য যখন যে রাশিতে অবস্থান করে তখন কারো জন্ম হলে সে ঐ রাশির জাতক বা জাতিকা।
সংবাদপত্র বা বিভিন্ন ম্যাগাজিনগুলোতে প্রতিদিনই প্রতিদিনের রাশিফল প্রকাশ হয়। সকালে নাস্তার ফাকে বা দুপুরের কোনো এক অবসরে আমরা সেই রাশির পাতাটিতে অনেকেই ঢু মেরে আসি অনেকেই। সারাটা দিন কেমন যাবে- সেটা জানলে তো মন্দ লাগে না। রাশিতে যা লেখা থাকে, তা সারাদিনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মেলাতেও বেশ ভালোই লাগে। এমনও দেখা যায় এই রাশির সঙ্গে মিলিয়ে সারাদিনের কাজ অনেকে মিলিয়ে করার চেষ্টাও করেন।
এই ধরনের রাশি বা ভাগ্যগণনার সঙ্গে আমাদের ধর্ম আর বিজ্ঞানের কোনোরকম কোনো সম্পৃক্ততার বিষয় আমরা জানি না। রাশি কি আসলেই আমাদের ভালো-মন্দ, করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিতে পারে? আমাদের যে ভাগ্য আগে থেকেই নির্ধারিত তা রাশিফল দেখে কীভাবে বোঝা যায় সে প্রশ্নের তো কোনো উত্তর নেই।
আমাদের রাশিফলে কমন কিছু বিষয় আমরা দেখতে পাই, আবার কখনোবা মেনেও চলি। যেমন কোন রাশির মানুষ কেমন হয়, আজ অমুক রাশির অর্থযোগ রয়েছে, কোন রাশির মেযেরা কেমন, কোন রাশির ছেলেরা কেমন, কোন রাশি বিয়ে করলে ভালো যোগ হবে, কোন রাশির লোক ভালো বাবা-মা হবে, কোন রাশির লোক ব্যর্থ বা সার্থক- এই বিষয়গুলো আমাদের যেন জীবনধারারই অংশ।
মূল বিশ্বাস মতে রাশি বা গ্রহ-নক্ষত্রের মধ্যে নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। মানুষের ভাগ্যের ভালো-মন্দ রাশির প্রভাবে হওয়ার কথা না। ভালো-মন্দ, শুভ-অশুভের ক্ষেত্রে কারো কোনো প্রভাব নেই। গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবের ক্ষেত্রে জ্যোতিষীরা যা বলে থাকে, সবই অনুমাননির্ভর কাল্পনিক বক্তব্য। বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ অসংখ্য মানুষ জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বাণীর কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্যস্থানের মতো বাংলাদেশেও জ্যোতিঃশাস্ত্রের চর্চা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষগুলো জীবনযুদ্ধে বার বার ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ পন্থা হিসেবে জ্যোতিষীদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাদের দেওয়া পাথর বা পরামর্শকে ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার মনে করে ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আমরা কি ধরনের সমস্যায় পড়তে পারি-
আমাদের অনেকেই বিয়ে-শাদি, চাকরি, ব্যবসায়-বাণিজ্য, লেখাপড়া, বিদেশ গমন ইত্যাদি কাজে ভবিষ্যত সফলতার জন্য রাশির খোঁজ করি, জ্যোতিষিদের শরনাপন্ন হই। রাশিচক্র বা জ্যোতিষিরা কি বলছে সেটাই হয়তো বিশ্বাস করে বসেও থাকি। এতে করে আমাদের স্বাভাবিক জীবন তো ব্যাহত হয়ই। এছাড়া নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের কোনো চেষ্টাও আমরা করি না। অপেক্ষা থাকে যে ভাগ্য তো নিজে থেকেই বদলাবে।
আবার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডে পাকেচক্রে যদি রাশিফলে দেওয়া কোনো ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যায়, আমরা সেটাকে একেবারে সত্যি বলে বিশ্বাসই করে ফেলি। এতে করে ভেতরে বদ্ধমূল ধারণাই হয় যে এই রাশিফলই আমাদের সঠিক ভাগ্য বলে দেবে।
কার লেখাপড়া, আর্থিক উন্নতির দৌঁড় কতটুকু সেটা হাত দেখে, রাশিচক্র দেখে নিমিষেই বলে দেয় অনেকে। আমরা সেটা বিশ্বাস করেও ফেলি। এজন্য কতোই না নিয়ম মেনে চলা, এই দিনে এটা করা যাবে বা এটা করা যাবে না, এটা ওটা ধারণ বা গ্রহণ করা- কতোকিছুই না করা হচ্ছে। এতে কি আপনি সাধারণ জনসমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন না?
কখনো আবার রাশিফল দেখে মানুষের মৃত্যুর সময় নির্ধারিত করে দিচ্ছে, আয়ু গণনা করে দিচ্ছে। আমরা কতোদিন বাঁচবো, সেটা বলে দেওয়ার ক্ষমতা আদৌ গ্রহ, নক্ষত্র, বা জ্যোতির্বিদ্যার আছে কিনা এ নিয়ে আমাদের সন্দেহ থাকার পরও এগুলো আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে।
এই ভাগ্য বলে দেওয়া যদি সত্যিই হবে, তাহলে নিজের ভাগ্য বদলানোর কোনো চেষ্টাই মানুষ করতো না। কোনো ব্যক্তিই কখনো ব্যর্থ হতো না। রাশিফল মেনেই জীবনে একের পর এক সাফল্য ধরে আনা যেত।
রাশিফলের এই বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের বিষয়টি পুরোই আপেক্ষিক বিষয়। ব্যক্তিভেদে বিশ্বাস আর অবিশ্বাস মিলেমিশে যায়। আমরা কতটুকু কি বিশ্বাস করবো বা কীভাবে ধারণ করবো সেটা সম্পূর্ণই নিজের বিষয়। তবে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগে রাশিফলের বিশ্বাসযোগ্যতার কোনো ভিত্তি নেই। তাই একে বিশ্বাস করে দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করার আগে আরো একবার ভাবা তো উচিৎ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।
ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ
শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।
কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-
১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।
মন্তব্য করুন
দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--
সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।
দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।
গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।
আর্দ্র বাতাস: ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।
ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।
চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।
অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।
তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
তীব্র গরম ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।