লিভিং ইনসাইড

প্রথম চাকরির প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১১ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

পরিশ্রমী জাতি হিসেবে চীনের জনগণের বেশ সুনাম রয়েছে। আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ বছর আগে লেখা চীনা কিছু ঐতিহাসিক লিপিতে বিখ্যাত একটি উক্তি পাওয়া যায়, যা চীনারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস এবং অনুসরণ করে। তা হলো, ‘হাজার মাইলের লম্বা পথ অতিক্রমের শুরু হয় মাত্র এক পা এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে’ (A journey of thousands miles begins with a single step). সেই প্রাচীনকালে চীনের দার্শনিক এবং লেখক লাওজী’র (Laozi) লেখায় এই প্রবাদটি পাওয়া যায়, যা অনুসরণ করে চীনারা সাফল্যের শিখরে উঠতে পেরেছে বলে সবাই বিশ্বাস করে।

এই প্রবাদের সূত্র ধরেই বলা যায়, বিশাল শিল্পগোষ্ঠী বা কর্পোরেট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনিও একটি অফিসে একজন নতুন কর্মী বা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই। তাই যারা নতুন কর্মী বা এক্সিকিউটিভ হিসেবে কোনো কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে, প্রথমেই তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলবো তুমি দৌড়ের ট্র্যাকে উঠে গেছ। দৌড় শুরুর বাঁশিও বেজে গেছে। সামনে, পিছনে, ডানে, বামে সবাই ছুটছে শেষপ্রান্তের লালফিতার দিকে। সুতরাং বসে থাকার বা পিছিয়ে পড়ার আর কোনো সুযোগ নেই। সামনে যখন এগুতেই হবে, এসো জেনে নিই কীভাবে এগুলে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং রয়েছে অগ্রযাত্রা আর সাফল্যের সোনালি সম্ভাবনা।

মানসিক প্রস্তুতি

এতদিন ছিলে শিক্ষার্থী। স্যার বা ম্যাডাম বলে যাদের জানতে, তারা স্নেহের চোখে দেখতো তোমাকে। একটু দেরি, একটু ক্যাজুয়াল পোশাক, একটু অগোছালোভাব- এসবকে বড় কিছু মনে করতেন না কেউই। এখন কর্মজীবী হিসেবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তোমার কাছে প্রত্যাশাটাও ভিন্ন। বিষয়টা নিয়ে ভেবেছ কি? এই ভাবনাটাই হোক তোমার মানসিক প্রস্তুতির শুরু। এরপর এতদিন অফিসের সময়ে কি করতে যা আর করা যাবে না, তা নিয়ে ভাবতে পারো। অফিসের সময়টায় যারা ফোন করতো, আড্ডা দিতো, হ্যাংআউট প্লান করতো- তাদের অফিসের সময়টা জানিয়ে রাখতে পারো। মনে রেখো, এ এক নতুন যুদ্ধ। আর তুমিই যুদ্ধে সেনাপতি।

জামা-কাপড় তৈরি তো?

কর্পোরেট অফিসে লিখিত বা প্রচলিত একটি ড্রেসকোড থাকে, যা মোটামুটি সবাই অনুসরণ করে। ইন্টারভিউ দেওয়ার সময়ে যে ফরমাল ড্রেস পরতে হয়েছিল সেরকম পোশাকই যে পরতে হবে, তা নাও হতে পারে। সুতরাং মানবসম্পদ বিভাগ বা অফিসের পরিচিত কারো কাছ থেকে ড্রেস কোডটা জেনে নিতে হবে। আবার অফিসিয়াল ওয়েবপেইজ বা ফেইসবুক পেইজে থাকা ছবিগুলো লক্ষ্য করলেও ড্রেসকোডের ওপর একটা ধারণা পাওয়া যাবে। সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করে প্রথম সপ্তাহের ড্রেস তৈরি করা চাই।

আরও জানতে হবে

নতুন প্রতিষ্ঠান বা অফিস সম্পর্কে আরও জানতে হেবে। ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে যা জেনেছ, তা কিন্তু যথেষ্ট নয়। ওয়েবপেইজ, ফেইসবুক, টুইটারসহ যত সোশ্যাল মিডিয়া  আছে, সবকিছু দেখতে থাকো। অফিসে যারা কাজ করছে তাদের প্রোফাইল খুঁজে খুঁজে জানতে থাকো সবার সম্পর্কে। বিশেষ করে যারা শীর্ষস্থানীয়, তাদের প্রোফাইল দেখতে লিংকড ইন এবং অন্যান্য সব তথ্যভাণ্ডার খুঁজতে থাকো। এতে নিজেকে প্রস্তুত করতে এবং যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে সুবিধা হবে। আর প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, কাজের ধরন, সাফল্য, চলমান প্রকল্প, আসন্ন প্রকল্প বা প্রোডাক্ট- এসব বিষয়ে যতই জানবে, ততই তুমি সেরা হয়ে উঠবে।

যাওয়াটা যেন জুতসই হয়

নিজের বাসস্থান থেকে নতুন কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য জুতসই একটা পরিকল্পনা করতে হবে। সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে সময়ের দিকে। প্রথম দিনগুলোতে কোনোভাবেই দেরি করা চলবে না। বৃষ্টি, যানজট, গাড়ি না পাওয়া, লিফটে লম্বা লাইন- এসব অজুহাত কেউ আশা করে না। প্রয়োজনে যোগ দেওয়ার আগে প্রতিদিন যেভাবে যেতে চাও তা সরেজমিনে দুএকবার অভ্যাস বা প্র্যাকটিস করো। বিকল্প ব্যবস্থাও ভেবে রেখো। উবার, পাঠাও, সহজ বা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করতে চাইলে প্র্যাকটিসের সময় ঘড়ির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এরপর অফিসেই হয়তো একটা দল বা আশেপাশের সহকর্মীর সঙ্গে একসঙ্গে যাওয়া যাবে। বাহনের কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচনটাও জরুরি।

কাগজপত্র গুছিয়ে রাখো

নতুন অফিসে যোগ দেওয়া মাত্র যেসব কাগজ জমা দিতে হবে তার একটা তালিকা করে নাও এবং একে একে সব কাগজ গুছিয়ে নাও। আগে জমা দিলেও এক কপি বায়োডাটা, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, সত্যায়িত শিক্ষাগত যোগ্যতার কপি, প্রশংসাপত্র বা অভিজ্ঞতার সনদ, ব্যাংক হিসাব নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি প্রায় সব অফিসেই চেয়ে থাকে। তাই এগুলো রেডি করে রাখা ভালো।

প্রথম থেকেই কথা বলতে হবে সাবধানে

নতুন হিসেবে তোমাকে পরিচিত হতে হবে সবার সঙ্গে। পেশাদার কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ নতুন কেউ আসার আগেই একটা ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম তৈরি করে রাখে। তবে প্রোগ্রাম তৈরি থাকুক বা না থাকুক, তোমাকে নিজ মুখে নিজের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। কর্তাব্যক্তি থেকে টি-বয় পর্যন্ত সবাই তোমার সম্পর্কে জানতে চাইবে। বায়োডাটা তো সবার কাছে যাবে না, তাই মুখের কথাতে নিজেকে তুলে ধরতে হবে। সুতরাং কোন পর্যায়ের সহকর্মীকে কীভাবে কি বলবে তা আগেই ভাবতে হবে। বিব্রতকর বা ব্যক্তিগত প্রশ্নও করতে পারে কেউ। সুতরাং স্মার্টলি সবকিছুর উত্তর দিতে হবে। এজন্য সাবধানতা এবং পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কথা বলাই বাঞ্ছনীয়। নিজেকে বড় কিছু হিসেবে জাহির করা, কোনোকিছু বানিয়ে বলা, নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরা- কিছুই প্রত্যাশিত নয় নতুনদের কাছ থেকে। বিয়ে করেননি কেন, বাচ্চা নিচ্ছেন না কেন- এমন অবান্তর প্রশ্নও সামনে আসতে পারে। তুমি কি তৈরি? লিফটেই হয়ত দেখা হয়ে যাবে সিইওর সঙ্গে জিজ্ঞেস করবে কোন ফ্লোরে যাবেন, কার কাছে যাবেন? উত্তর রেডিতো?

প্রযুক্তি বিষয়ে জেনে নিন

প্রযুক্তির এই যুগে প্রায় সব অফিসেরই কিছু পলিসি থাকে যা জানা প্রয়োজন। যেমন কিছু অফিসে ব্যক্তিগত ল্যাপটপ নেওয়া নিষেধ। এছাড়া ট্যাব, ক্যামেরা, স্মার্টওয়াচ, এমনকি পেনড্রাইভের মতো এক্সটারনাল বা মেমোরি ডিভাইসও নিষিদ্ধ হতে পারে। অফিস চলাকালে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। এসব না জানলে শুরুতে বিপত্তি ঘটতে পারে। আবার অনেক অফিসে নিজস্ব ডিভাইস ব্যবহার প্রত্যাশিত যা Bring your own device বা BYOD Policy নামে পরিচিত। সুতরাং অফিসে ঢোকার আগে জানার চেষ্টা করলে দোষ নেই- বরং লাভের সম্ভাবনাই বেশি।

ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কেও জানতে হবে

হাতে সময় থাকলে নিজ অফিসের বাইরে একই ধরনের আরও প্রতিষ্ঠান বা সার্বিকভাবে এই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কেও জানতে হবে। ধরা যাক, তুমি কোনো বেসরকারি বিমান সংস্থায় যোগ দিচ্ছ। সুতরাং শুধু নিজের বিমান সংস্থাই নয়, দেশ-বিদেশের অন্যান্য বিমানসংস্থা বিষয়েও জেনে নিতে পারো। এই পূর্বপ্রস্তুতি পরবর্তীতে কাজে লাগবে।

নিজেকেও সময় দিতে হবে

একটা চাকরির জন্য হয়ত অনেক টেনশন গেছে। চেহারাও খারাপ হয়ে গেছে ছুটতে ছুটতে। এবার একটু স্থির হতে হবে। নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। প্রয়োজনে সেলুন বা পার্লার থেকে ঘুরে আসো অফিস শুরুর আগেই। বাবা-মা বা নিকটাত্মীয়র সঙ্গে দেখা করে আসো। বন্ধু বা প্রিয় কারো সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেওয়ারও প্রয়োজন আছে জীবনে। কি স্বপ্ন ছিল, কি হতে পারতাম, কি হারালাম- এসব নিয়ে এখন ভাবার দরকার নেই। বরং নতুন অফিসে প্রথম থেকেই কীভাবে মানিয়ে নিবে তা নিয়ে ভাবো।

নামায ও খাবার পরিকল্পনা

অফিস শুরুর আগেই নামাযের সময় এবং নামাযের নির্দিষ্ট এলাকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। নিজ অফিস বা নিজ বিল্ডিংয়ে অযু ও নামাযের ব্যবস্থা থাকলেতো ভালো। না থাকলে আশেপাশে কোথায় নামায পড়বে তা দেখে রাখা উচিৎ। একই কথা খাবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নতুন বলে লজ্জায় না খেয়ে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সময়মতো খেয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করাটাই সমীচীন। তাই নাস্তা বা দুপুরের লাঞ্চের জায়গাটা আগেই নির্বাচন করে রেখো। এতে সময় বাঁচবে। অফিসে খাবার সরবরাহ বা বাসা থেকে নেওয়া খাবার সংরক্ষণ এবং খাওয়ার ব্যবস্থা জানা থাকা ভালো। ধূমপানের বদঅভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করার এটাই উত্তম সুযোগ। আজকাল অধিকাংশ অফিসে ধূমপান নিষিদ্ধ। কোনো সিনিয়র ধূমপান করলে নতুন যোগ দেওয়া কেউ ধূমপান করবে- এটা মানবে না কেউই। তাই ধূমপানের আলাদা জায়গা না খুঁজে ছেড়েই দাও ধূমপান। অনেকে তো আবার ধূমপানের পর মুখে আর হাতে যে গন্ধ হয় সেটাও সহ্য করতে পারে না। তোমার বস যদি এমনই কেউ হয়!

ব্রিটিশ সব্যসাচী লেখক ও চিত্রশিল্পী উইলিয়াম হাজলিট (William Hazlitt) উনিশ শতকের শুরুতে লিখেছিলেন যে, ‘প্রথম সাক্ষাতে যা দেখা যায়, তা-ই সবচেয়ে বেশি সত্য হয়ে থাকে (First impressions are often the truest)। আবার ইংরেজিতে প্রবাদ আছে, ‘প্রথম অনুভূতিই শেষ অনুভূতি’ (First impression is the last impression)। সেনাবাহিনীতে প্রচলিত কথা ‘হলো একটি ভালো শুরু মানেই অর্ধেক যুদ্ধ’ (A good start is half of the battle)।

হে নতুন, তোমার শুরুটা শুভ হোক।

 

লেখক: কলামিস্ট ও গবেষক। সেনাবাহিনী ও কর্পোরেট জগতে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। বিদেশে স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এক দশক।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

অতিরিক্ত চিন্তা বন্ধের কৌশল

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের মন ভালো থাকলে যেমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা আসে, ঠিক তেমনই মন খারাপের প্রভাব পড়ে নিত্যকাজের ওপর। মন খারাপ থেকে সৃষ্টি হয় উদ্বেগ যা পৌঁছাতে পারে ডিপ্রেশনেও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা আমাদের মানসিক চাপ তৈরি করে। অল্পকিছু চিন্তা দিয়ে তা শুরু হয়, এক পর্যায়ে চলে যায় বহুদূর। তবে এসব অতিরিক্ত চিন্তা দূর করে মনকে শান্ত করার কিছু প্রাচীন জাপানি কৌশল রয়েছে। সেগুলো মানলে পাবেন অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি।

শিরিন-ইয়োকু
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক জগতের শান্ত পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যান। ‘শিরিন-ইয়োকু’ বা ‘ফরেস্ট বাথিং’ হল আমাদের ডিজিটাল জটিল অংক থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির সতেজ শ্বাস গ্রহণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজের মধ্যে সময় কাটালে স্ট্রেস হরমোন কমে যায়। ফলে মন শান্ত হয় এবং শান্ত চিন্তার পরিবেশ তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত চিন্তা আসলে পার্কে হাঁটাহাঁটি করুন বা তাজা বাতাসে শ্বাস নিন। দেখবেন ঝরঝরে পাতাগুলো আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে।

শোগানাই
‘শোগানাই’ ধারণাটি বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘এটি সাহায্য করবে না’। যার সহজ অর্থ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যা রয়েছে, তার একটি সচেতন গ্রহণযোগ্যতা। যখন আমরা মেনে নিতে পারি, অতিরিক্ত চিন্তা অতীতের ঘটনাগুলোকে পরিবর্তন করবে না বা ভবিষ্যতের ফলাফলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করবে না, তখন মানসিক দৃঢ়তা শিথিল হয়ে যায়। ‘যদি এমন হতো’ বাদ দিয়ে আমরা যখন ভাববো যা হয়ে গেছে তা আর ফিরবে না, তখন অতিরিক্ত চিন্তাও আর আসবে না।

গামন
‘গামন’ হল, ‘সহনশীলতা’ বা ‘অধ্যবসায়’। এটি অতিরিক্ত চিন্তাভাবনাকে দূর করে দেয়। সহনশীলতা মানুষকে পরিস্থিতির আলোকে মানিয়ে নিয়ে সহায়তা করে। তাই নিজের মধ্যে সহনশীলতা কম থাকলে তা বাড়িয়ে ফেলুন খুব দ্রুত। তখন অল্পতেই অতিরিক্ত চিন্তা থেকে পাবেন মুক্তি। আর চিন্তামুক্ত হয়ে কাজে মন দিলে সফলতা আসবে অতি দ্রুত।


অতিরিক্ত চিন্তা   কৌশল  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

অতিরিক্ত ঘুমে স্বাস্থ্যের উপরে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণত ঘুমের ক্ষেত্রে অনেকেরই আলাদা চাহিদা থাকে, তবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমানো মাঝে মাঝে শরীরের ভেতরের সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে। নিয়মিত চেয়ে অনেক বেশি ঘুমানোর সময় দেখে অতিরিক্ত ঘুমানোকে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি কীভাবে বুঝবেন যে আপনি যথেষ্ট বেশি ঘুমাচ্ছেন?

২০১৪ সমীক্ষা অনুসারে, ঘুম অসংখ্য শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়াকলাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানসম্পন্ন ঘুমকে সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত ঘুমকে সাধারণত প্রতি রাতে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। তবে ব্যক্তিভেদে ঘুমের চাহিদা পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপনার সাধারণ ঘুমের ধরণ এবং ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনি কেমন অনুভব করেন তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

ঘুমের ধরন ব্যক্তিভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয় এবং বয়স, জেনেটিক্স, জীবনধারা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের মতো কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের প্রস্তাবিত পরিমাণ সাধারণত প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই কম বা বেশি প্রয়োজন হতে পারে।

স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, প্রতি রাতে প্রয়োজনীয় ঘুমের পরিমাণ বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়, যেমন দিনের অভ্যাস, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং ঘুমের ধরন। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অনেকেরই ছয় ঘণ্টা ঘুমালেই পর্যাপ্ত হতে পারে তবে অন্যরা, যেমন ক্রীড়াবিদদের অতিরিক্ত সময় ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। মাঝে মাঝে, কঠোর কার্যকলাপ বা ভ্রমণের মতো পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে।

অত্যধিক ঘুম বা হাইপারসোমনিয়া হলো মানুষের জন্য স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘুমানো। অতিরিক্ত ঘুমের ফলে কিছু লক্ষণ শরীরে ফুটে ওঠে। তার মধ্যে রয়েছে ক্রমাগত ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং সকালে ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা। হাইপারসোমনিয়া, নারকোলেপসি বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো অবস্থার কারণে ঘুমের সময় বর্ধিত হতে পারে। অতিরিক্ত ঘুমের ফলে মাঝে মাঝে বিষণ্ণতা এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আবার মাঝে মাঝে দীর্ঘ সময় ঘুমানো উদ্বেগের কারণ নাও হতে পারে, তবে ক্রমাগত অতিরিক্ত ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যার মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং দুর্বল স্মৃতিশক্তি ও ইমিউন ফাংশনের ঝুঁকি রয়েছে।

এমনকি ঘুমের সময়কে প্রভাবিত করতে পারে বয়স, জীবনযাত্রার অভ্যাস, ভেতরগত স্বাস্থ্যের অবস্থা, ওষুধ, স্ট্রেস লেভেল এবং শব্দ ও আলোর এক্সপোজারের মতো পরিবেশগত কারণে। ঘুমের গুণমান উন্নত করতে নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠার সময়সূচী সেট করুন, ঘুমানোর সময় আরামদায়ক রুটিন তৈরি করুন এবং ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। বিছানায় যাওয়ার আগে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার এড়ানোর চেষ্টা করুন।


অতিরিক্ত ঘুম   স্বাস্থ   স্লিপ ফাউন্ডেশন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বৃষ্টির দিনে ঘরের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

রিমঝিম বৃষ্টি কমবেশি সবার ভালো লাগলেও কাজ বাড়িয়ে দেয় গৃহিণীর। কেননা বৃষ্টির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ঘরের পরিবেশ হয়ে ওঠে স্যাঁতসেঁতে। তাই বৃষ্টির দিনে ঘরের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যতে্নর। কয়েকদিন একটানা তাপদাহের পর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিতে আনন্দের পাশাপাশি ভোগান্তিও কম নয়। অতি আর্দ্রতায় ঘরের ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়রের ক্ষতি, মশা, ঘরে মোল্ড পড়া, পোকামাকড়সহ বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এ সময়ে ঘরের জন্য দরকার বাড়টি যত্ন। বর্ষায় অন্দরের পরিবেশ ঠিক রাখার টিপস চলুন জেনে নেয়া যাক……………….

 

১. বর্ষা শুরুর আগে অথবা একেবারে দরজা, জানালা বা গ্রিল তৈরির শুরুতেই টিনের দরজা বা জানালায় কোটিং রং ব্যবহার করা উচিত।

২. কোনো কারণে দেয়ালে ফাটল ধরলে দেয়াল ড্যাম হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো পরীক্ষা করে ফাটল ঠিক করতে হবে। ভালো হয় দেয়ালে ওয়েদার প্রুফ পেইন্ট ব্যবহার করলে।

৩. বর্ষায় অনেক সময় কাঠের আলমারিতে ফাঙ্গাস পড়ে। আবার দেখা যায় আলমারি পেছনের বোর্ড ফুলে গিয়ে কাঠ বেঁকে যায়। তাই বৃষ্টির দিনে আসবাবপত্র দেয়াল থেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া সব ক্ষেত্রে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা ভালো।

৪. বারান্দায় রাখা ফুলের টবগুলো সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অনেক সময় বারান্দায় বৃষ্টির ছাটে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। তাই ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখতে হবে। টবে পানি জমে মশা এবং পোকার আক্রমণ হতে পারে। আবার প্রচণ্ড বাতাসে বারান্দায় ঝুলে থাকা বা ছাদের রেলিংয়ে রাখা টবগুলো ভেঙে কিংবা ওপর থেকে পড়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই টবগুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে আলো-বাতাস নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

৫.বর্ষায় কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো বরং এগুলো প্লাস্টিকে মুড়িয়ে তুলে রাখুন শুষ্ক কোনো জায়গায়।

৬. প্রতিদিন মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে লেদারের সোফা। একইভাবে মাঝে মাঝে পরিষ্কার করতে হবে লেদারের অন্যসব আসবাবও।


বৃষ্টি   ঘর   যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিবাহবিচ্ছেদে উৎসব করে যে দেশের নারীরা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিচ্ছেদ মানেই অসহনীয় এক পৃথিবী, বিচ্ছেদ মানেই ‘জীবনের শেষ’ এ রকম মনে করে না মৌরিতানিয়ার নারীরা। বিচ্ছেদের পর ওই নারীর সৌজন্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তার পরিবার। স্বামীর ‘যন্ত্রণা’ পেরিয়ে মেয়েরা নিজের ঘরে আরেকবার ফিরে আসার সুযোগ পাওয়ায় দেশটিতে বিচ্ছেদ উদ্যাপন করা হয়।

পরিবারের সব সদস্যরাই বিষয়টি স্বাভাবিক চোখেই দেখেন। তারা মনে করেন, ভালোর জন্যই মেয়ে আবার পরিবারে ফিরে এসেছে। এই ফিরে আসাকে তারা ‘কলঙ্কমুক্ত’ জীবনের সুযোগ হিসেবেও দেখেন। তাই একটি ব্যর্থ সম্পর্কের ইতি ঘটায় আনন্দে। সব আয়োজন শেষ হলে বিচ্ছেদী নারী অবিবাহিতদের কাতারে চলে যান।

আরও পড়ুন: নারীর প্রতি এক পৃথিবী সম্মান থাকুক প্রতিটি পুরুষের

মরুভূমির তরুণী মেহেদি শিল্পী একাগ্রচিত্তে আলপনা আঁকছেন তার আজকের খদ্দের ইসেলেখে জেইলানির হাতে। তিনি খুবই সতর্ক, কোনোভাবেই যেন ভেজা মেহেদিতে দাগ না পড়ে! ঠিক যেমনটি ছিলেন বিয়ের আগের দিন। এবার কিন্তু তার বিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ!

বিবাহ বিচ্ছেদ উপলক্ষে পরদিন হবে উৎসব। জেইলানির মা এই আনন্দে নিমন্ত্রণ করেছেন শহরবাসীকে। উল্লসিত কণ্ঠে বলছেন, তার মেয়ে এবং মেয়ের প্রাক্তন দুজনেই ভালোভাবে বেঁচে আছে।

মায়ের কথা শুনে হাসলেন জেইলানি। তিনি তখন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাটে মেহেদির ছবি পোস্ট করতে ব্যস্ত। মেহেদির ছবি পোস্ট করা বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার আধুনিক সংস্করণ হয়ে উঠেছে। যদিও মৌরিতানিয়ায় এটি বহু পুরোনো সংস্কৃতি।

বিচ্ছেদের উৎসবে আগে ছিল নাচ, গান আর ভোজ। এখন সেলফি প্রজন্মে এসে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। আলপনা আঁকা কেক। মেয়েরা এখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্ব ভরে আনন্দের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

অনেক দেশের সংস্কৃতিতে বিবাহবিচ্ছেদকে লজ্জাজনক হিসেবে দেখা হয়। তবে পশ্চিম আফ্রিকার সুন্দর দেশ মৌরিতানিয়ায় এটি কেবল স্বাভাবিকই নয়, নারীদের কাছে আনন্দের উপলক্ষ! কারণ, শিগগিরই তার আবার বিয়ে হবে। বহু শতাব্দী ধরেই সেখানে নারীরা আরেক নারীর বিবাহ বিচ্ছেদে উৎসব করে।

মৌরিতানিয়ার ২০১৮ সালের এক সরকারি রিপোর্টে দেখা যায়, এক তৃতীয়াংশ বিয়ে ডিভোর্সের পরিণতি পেয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ নারী আবার বিয়ে করেছেন। আর ২৫ শতাংশ বিয়ে করেনি।

মৌরিতানিয়া প্রায় শতভাগ মুসলিম দেশ। এখানে ঘন ঘন বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অনেকে ৫ থেকে ১০ বার বিয়ে করে। কেউ কেউ ২০ বারেরও বেশি!

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে মৌরিতানিয়ায় এ প্রসঙ্গে খুব বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এর আংশিক কারণ হচ্ছে, এখানে বিবাহবিচ্ছেদ প্রায়শই মৌখিক হয়, নথিভুক্ত নয়।

দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদ এতটা সাধারণ কেন—সে প্রসঙ্গে দেশটির সমাজবিজ্ঞানী নেজওয়া এল কেত্তাব বলেন, মৌরিতানীয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মৌর সম্প্রদায় তাদের বাবার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে শক্তিশালী মাতৃতান্ত্রিক প্রবণতা পেয়েছে। দেশটির যাযাবর সম্প্রদায় নারীদের মর্যাদার কথা ছড়িয়ে দিয়েছে বহুদিকে। অন্যান্য মুসলিম দেশের তুলনায় মৌরিতানিয়ার নারীরা বেশ স্বাধীন।

তিনি আরো বলেন, দেশটিতে বিয়েকে পেশা হিসেবেও নেয়া যায়।

আরও পড়ুন: যুগের পরিবর্তনে আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টি ভঙ্গিতেই কি বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?

এখানে বিশেষ পরিস্থিতিতে নারীরাও বিবাহ বিচ্ছেদের পদক্ষেপ নিতে পারেন। অনেক নারী আছেন যারা কখনোই বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবেন না। এরপরও বিচ্ছেদ যদি ঘটেই যায়, তাহলে নারীদের সমাজে সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণে এখানে এমন নারীদের কেউ নিন্দা করে না, বরং সমর্থন জানায়। সমাজই পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলে।

আরও পড়ুন: দাম্পত্যে বয়সের ব্যবধান কতটা ঝুঁকির?

উল্লেখ্য, মৌরিতানিয়া হলো যাযাবর, উট আর আকাশ ভরা তারা ও উজ্জ্বল চাঁদের দেশ। কখনো কখনো ১০ লাখ কবির দেশও বলায় একে। হয়তো এ কারণেই এখানে বিবাহবিচ্ছেদও কাব্যিক!


বিবাহবিচ্ছেদে   উৎসব   নারী  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি মেটাবেন যেভাবে!

প্রকাশ: ০৮:১০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আমাদের অভিমান, অনুরাগ সমস্তই জমা হয় প্রিয়জনের নামে। সম্পর্কে প্রাধান্য বেশি থাকে বলে ভুল বোঝাবুঝির ভয়টাও থাকে বেশি। বিশেষ করে দুইজন দুই জায়গায় থাকলে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রাটা যেন বেড়ে যায়।

কাছে থাকলে একটুখানি ঠোঁটের হাসিতে, চোখের চাহনিতে যে কথা বোঝানো যায়, দূরে থাকলে তা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তাইতো একটি ইতিবাচক বিষয়ও নেতিবাচক হতে সময় লাগে না। কিন্তু এই ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়তে দিলেই মুশকিল। সেখান থেকে জন্ম নিতে পারে আরো বড় দূরত্বের।

প্রেম কিংবা বিয়ে এই দুই সম্পর্কেও সঙ্গীর সঙ্গে  নানা কারণে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর এ থেকেই বাড়ে দূরত্ব। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যায়। তাই ভুল বোঝাবুঝির হলে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে দ্রুত। সমস্যা কাটিয়ে সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু টিপস।

১. যখন কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের ভুল বোঝাবুঝি হবে তখন দুই পক্ষের কথা শুনতে হবে। শুধু নিজের কথা বলে সঙ্গীর কথা না শুনলে সমাধান আসবে না কখনও। তাই দুজনের কথা বলার সুযোগ থাকবে। এর পর দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিন সমাধানের পথ কীভাবে খুঁজবেন।   

২. ভুল বোঝাবুঝির প্রধান কারণ হল সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের অভাব। আমরা যেভাবে ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করার চেষ্টা করি সেটাই সম্পর্কের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে। রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নিয়ে আসবে না বরং দূরত্ব বাড়াবে। তাই যে সমস্যাই হোক না কেন কথা বলে সমাধান করুন।

৩. সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে অনেকেই খুব রাগারাগি করেন কিংবা তাকে ছোট করে কথা বলেন। সম্পর্ক টিকে রাখতে অন্যজনকে সম্মান করা জরুরি। তাই রাগ থাকলেও সঙ্গীকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন তার কথা শুনুন। আপনার খারাপ আচরণ তার মনে স্থায়ীভাবে আপনার জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে।  

৪. নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আলোচনার মাঝখানে বিভ্রান্ত না হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আবার দেখা যায় অনেকেই কথা বলার মাঝে রেগে যান যদি এমনটা করেন তাহলে আজ থেকেই এই অভ্যাস বাদ দিন।

৫. খুব বেশি আবেগতাড়িত না হয়ে সময় বিশেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন। আপনি যদি সবসময় নিজের আবেগ প্রকাশ করেন তাহলে সঙ্গীর কাছে আপনার গুরুত্ব কমে যেতে পারে। তাই সবার আগে এটা বুঝতে চেষ্টা করুন কোথায় এবং কখন নিজের আবেগ প্রকাশ করবেন।

৬. তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিয়ে অনেকেই ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করতে চান। এমন করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করুন। কারণ তৃতীয় পক্ষের কাছে নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা পরবর্তী সময়ে জটিলতা বাড়াতে পারে।


সম্পর্ক   ভুল   বোঝাবুঝি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন